ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম

পদোন্নতিতে ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করায় ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে কি?

ড. আর এম দেবনাথঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিগতি বোঝা দায়! তাদের আজকের সিদ্ধান্ত এক, অন্যদিনের সিদ্ধান্ত আরেক। ২০২২ সালের দিকে তারা ব্যাংকারদের পরম বন্ধু, আবার ২০২৩ সালে এসে তারা খড়গহস্ত। তফাত এক বছরও না। এক বছরের মধ্যে তাদের এ ইউটার্ন। কেমন ইউটার্ন? দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো সিদ্ধান্তের কথা ব্যাংকগুলোকে জানায়। ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি কত হবে, শিক্ষানবিশকাল শেষে সর্বনিম্ন বেতন কত হবে, সর্বোচ্চ পদাধিকারী এবং সর্বনিম্ন পদাধিকারীর মধ্যে বেতন-ভাতার পার্থক্য কত হবে, চাকরি স্থায়ীকরণ বা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য আমানত সংগ্রহকে শর্ত করা যাবে না, শুধু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও অদক্ষতার অজুহাতে কাউকে পদোন্নতি বঞ্চিত করা যাবে না, জাতীয় নিম্নতম বেতন নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহু প্রশংসা পায়। কারণ এসব সমস্যায় জর্জরিত ছিল ব্যাংকের কর্মীরা। নিয়োগ, সর্বনিম্ন বেতন, বেতন-ভাতা, পার্থক্য, টার্গেট-ভিত্তিক পদোন্নতি, বিনা অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত ছিল অনেক ব্যাংক কর্মী। ব্যাংকাররা, তরুণ ব্যাংকাররা, প্রধান ব্যাংকাররা ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত জীবন যাপন করতেন। কোনো প্রতিকার ছিল না। একটা ভীতিকর পরিবেশে সবাই চাকরি করতেন।

বলা বাহুল্য, এই দুর্দিনে, অর্থনৈতিক দুর্দিনে, করোনাকালে চাকরির অনিশ্চয়তা ব্যাংকে ব্যাংকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে। সেই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় নামে। কর্মীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা প্রশংসা কুড়ায়। আমি নিজে তাদের প্রশংসা করে নিবন্ধ লিখেছি। লিখেছি অসহায়, অসংগঠিত, নিরীহ ব্যাংকারদের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্ত অবস্থান নেয়ার জন্য। অথচ এমন কী ঘটল বছর দুয়েকের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিল, যাতে ব্যাংকে ব্যাংকে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কর্মচারী-কর্মীরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছেন, তাদের ওপর অবিচার করা হচ্ছে। অনেক প্রথিতযশা ব্যাংকারও বলছেন, সর্বশেষ এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকে বৈষম্যের সৃষ্টি করবে। কী এ সিদ্ধান্ত? সিদ্ধান্তটি ব্যাংকারদের পদোন্নতি সম্পর্কিত। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার নং ৩ মারফত জানানো হয়েছে, আগামী বছর থেকে পদোন্নতি হবে ডিপ্লোমা পরীক্ষা পাস করলে। ডিপ্লোমা মানে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, যাকে বলা হয় ‘‌ডিএআইবিবি’। এটি দেয় ‘‌ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ’ (আইবিবি), যার প্রধান হচ্ছেন পদাধিকারবলে গভর্নর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি বলেছেন, ‘‌গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’ একটি খবরে দেখলাম তিনি বলছেন, ‘‌ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে ব্যাংকারদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’ এর মানে কী? মানে হচ্ছে আগামী বছর থেকে ডিপ্লোমা পাস না করলে ব্যাংকারদের উচ্চপদে আর পদোন্নতি হবে না।

আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকারদের পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক থাকছেই

পেশাগত দক্ষতা দরকার, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে বলাই বাহুল্য, প্রজাতন্ত্রের সব চাকরিতেই এবং প্রশাসনিক কাজেও পেশাগত দক্ষতা দরকার। যারা আজ এক মন্ত্রণালয় চালাবেন, পরের দিন আরেক মন্ত্রণালয় চালাবেন, তাদের যেমন পেশাগত দক্ষতা দরকার, তেমনি দরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে বিবেচ্য আর কোন কোন চাকরিতে ডিপ্লোমা পাস করে পদোন্নতি নেয়ার ব্যবস্থা করা আছে? এই হচ্ছে প্রথম প্রশ্ন। দ্বিতীয় প্রশ্নের জন্ম হয়েছে আরেকটি খবর থেকে। একটি খবরে দেখলাম বর্তমান সিদ্ধান্তের পেছনের খবর ভিন্ন। বলা হয়েছে আইবিবির আয় কমে গেছে। কেন আয় কমেছে? কমেছে কারণ আইবিবির ডিপ্লোমা নিতে ব্যাংকাররা উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। ফলে আইবিবির ‘রোজগার’ কমে গেছে। তাহলে উপায়? উপায় ‘‌ডিপ্লোমা’ পাস করা বাধ্যতামূলক করা হোক!

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

তাহলেই ব্যাংকাররা বাধ্য হবেন ডিপ্লোমার জন্য ভর্তি হতে। কারণ তা না হলে পদোন্নতি বন্ধ। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে দলে দলে ব্যাংকাররা ডিপ্লোমা করার জন্য লাইন দেবেন। ‘‌ফার্স্ট ক্লাস’। আইবিবির ডিপ্লোমা কেউ নিতে চান না, তাই একে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কে করেছে? করেছে কাউন্সিল, যেখানে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এখানে ইস্যু কী? আইবিবির আয়। আইবিবি চলে বিভিন্ন ব্যাংকের চাঁদায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি চাঁদা দেয় বলে মনে হয়। যদি তা-ই হয় তাহলে এ প্রতিষ্ঠানকে চালু রাখতে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে আপত্তি কোথায়? ব্যাংকের সংখ্যা ৬০-এর অধিক। ১ লাখ টাকা করে আদায় করলে হয় ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক তার হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা থেকে ২-৪-১০ কোটি টাকা চাঁদা বাড়িয়ে দিলে কেউ আপত্তি করবে কি? দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এদিকে যায়নি। তারা চড়াও হয়েছে অসহায় ব্যাংকারদের ওপর। ডিপ্লোমাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই মুহূর্তেও ডিপ্লোমা আছে, কিন্তু তা বাধ্যতামূলক নয়। ডিপ্লোমা করা থাকলে পদোন্নতির সময় কিছু মার্ক যোগ হয় মাত্র। এতে যারা ডিপ্লোমা করেন তারা কিছুটা সুবিধা পান। এ ব্যবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এতেই ব্যাংকগুলোর এই উন্নতি, সম্প্রসারণ।

জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাংকিং সেবাও সম্প্রসারিত হয়েছে/ হচ্ছে। ব্যাংকগুলো আধুনিক হয়েছে। তাদের ব্যবসা বেড়েছে শতগুণ। দক্ষতা, মেধা না থাকলে তা হয় কী করে? এর পরও হঠাৎ ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডিপ্লোমার জন্য ব্যাংকাররা আগ্রহী নন কেন? এটা হওয়ার কথা মূল প্রশ্ন। এই ডিপ্লোমাটা যদি উপকারী হতো, তাহলে ব্যাংকাররা নিঃসন্দেহে তার প্রতি আকৃষ্ট হতেন। কেন তারা আগ্রহী নন, এর বিচার-বিবেচনা করা দরকার। এখনো আইবিবির বয়স বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় সমান। এত বছরে প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্যাংকারদের মুখে মুখে থাকার কথা। থাকার কথা একটা প্রশংসনীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে। কেন তা হচ্ছে না/ হয়নি? কেন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী যারা বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে ব্যাংকে ঢুকেছেন তারা ডিপ্লোমা পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারেন না? অথচ যার জীবনেও পাস করার কথা নয় তিনি পাস করেন। কী পড়লেন এবং কারা পড়ালেন, কারা প্রশ্ন করেন, কারা খাতা দেখেন, এসব কী কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা সেখানে আছে? মাঝখানে প্রতিষ্ঠানটি বহু বদনামের ভাগীদার হয়। ব্যাংকারদের মুখে মুখে ছিল নানা গুঞ্জন যা এখনো আছে। এসব গুঞ্জনের ভিত্তি কী? তা কি বিচার-বিবেচনা করে দেখা হয়েছে? ‌ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার আগে এসব বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার। তা না করে হঠাৎ করে ‌ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা কোনোভাবেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। ডিপ্লোমাকে আকর্ষণীয় করা দরকার, যাতে স্বেচ্ছায় ব্যাংকাররা এ ডিপ্লোমা নিতে আগ্রহী হন।

আরো কথা আছে। ব্যাংকিংয়ের কাজকর্ম-পরিধি যেমন সম্প্রসারিত হয়েছে, ব্যাংকিংয়ে অনেক গুণগত পরিবর্তনও হয়েছে। ৫০-৫২ বছর আগের ব্যাংকিং নেই। সেই সঙ্গে ব্যাংকারদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও যথেষ্ট বেড়েছে। স্বাধীনতার পরপর সময়ে এমবিএ, এমবিএম ইত্যাদি ডিগ্রি ছিল না। ছিল বড়জোর বিকম এবং এমকম, যা ছিল বাণিজ্য-ব্যাংকিং বিষয়ক। এখন ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, যেখান থেকে শত শত এমবিএ, এমবিএম পাস করা ছাত্রছাত্রী বেরোচ্ছেন। এসব ডিগ্রির গুণগত মানও ভালো। ব্যাংকিং, ফাইন্যান্স, মার্কেটিং, অ্যাকাউন্টিং ইত্যাদি বিশেষায়িত জ্ঞান নিয়ে তরুণরা ব্যাংকিং পেশায় জড়িত হচ্ছেন। তারা মেধাবী, দক্ষ, আধুনিক দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। বলা বাহুল্য, এ ধরনের পড়াশোনা করে আসা তরুণ ব্যাংকাররাই আজকের ব্যাংকগুলোর নেতৃত্বে আসছেন। আগের দিনের অবস্থা আজ আর নেই। এমন দিনও গেছে তখন ব্যাংকারদের শিক্ষাগত মান ছিল খুবই নিচু। তাতেই কাজ চলত। সবাই মনে করত ব্যাংকিং পেশা কেরানির পেশা। আজকে এ অবস্থা নেই। যেসব ছেলেমেয়ে ব্যাংকে যোগদান করেন তারাই বিসিএস পরীক্ষায়ও ভালো করেন। তিনটা/ চারটা প্রথম শ্রেণী নিয়ে তরুণ ব্যাংকাররা ব্যাংকে যোগদান করেন। ব্যাংকে নিবিড় প্রশিক্ষণ নেন। জব রোটেশন হয়। বিআইবিএমে প্রশিক্ষণ হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশিক্ষণ দেয়। বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে ব্যাংকে ব্যাংকে। প্রায় প্রতিটি ব্যাংকে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে, যা আগে ছিল না।

আরও দেখুন:
◾ আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক

এ আবহে নিঃসন্দেহে আইবিবিকে উচ্চমানের প্রতিষ্ঠান হতে হবে। অবসরপ্রাপ্তদের আশ্রয়স্থল হলে চলবে না। সেখানে আসতে হবে প্রথিতযশা ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, অ্যাকাউন্ট্যান্ট ইত্যাদি পেশার লোক। বিশেষায়িত জ্ঞানের অধিকারী থাকতে হবে। গুগলে টিপ দিলেই জ্ঞান/ পরিসংখ্যান/ তথ্য পাওয়া যায়। তার জন্য আইবিবিতে যাবেন কেন ব্যাংকাররা? এমতাবস্থায় আইবিবির গুণগত মান উন্নত করার ব্যবস্থা করা দরকার। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সচ্ছলতার জন্য বিশেষ ফান্ডের দরকার। সর্বোপরি আরেকটি কথা বলা দরকার। দৃশ্যত মনে হচ্ছে, আইবিবির আয় বাড়ানোর জন্য ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছ। কিন্তু শেষ বিচারে ফল হবে উল্টো। শেষ বিচারে আয় বাড়বে ব্যাংক মালিকদের। ব্যাংক মালিকরা এমনিতে ব্যাংকারদের ন্যায্য বেতন দেন না, পদোন্নতি দেন না। নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি করেন না। এখন ডিপ্লোমার অজুহাতে তারা এসব কাজ আরো বেশি করে করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে তাদের আয় বাড়বে। বাধ্য করে আইবিবিমুখী করা যাবে না ব্যাংকারদের। এখন ব্যাংকে ব্যাংকে দরকার উদ্যম, গতিশীলতা, সৃজনশীলতা, কাজ করার পরিবেশ। কিন্তু ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করায় হাজার হাজার ব্যাংকার পড়েছেন নতুন অনিশ্চয়তায়। তারা অনিশ্চিত জীবনের আশঙ্কায় অন্ধকার দেখছেন ভবিষ্যৎ। অতএব অবিলম্বে এ সার্কুলার রদ করে ব্যাংকারদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা দরকার।

লেখকঃ ড. আর এম দেবনাথ: অর্থনীতি বিশ্লেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button