ব্যাংকার

একজন ব্যাংকারকে কেন বিয়ে করবেন?

ব্যাংকিং ব্যবসায় পরিচালনার সাথে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিবর্গকে ব্যাংকার বলা হয়৷ ভালো পরিমাণে বেতন আর বাড়তি সুযোগ সুবিধা নিয়ে এখন ব্যাংকিং হয়ে উঠেছে সময়ের সাথে তালমিলিয়ে চলার পেশা। আকর্ষণীয় বেতন, সামাজিক সম্মান, ক্যারিয়ারে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এই সবকিছু যে গুটিকতক পেশায় মেলে; ব্যাংকিং তার মধ্যে একটি। আজকের দিনের তরুণ পেশাজীবীদের কাছে ব্যাংকিং পেশাটি ক্রমেই পরিণত হয়েছে আকর্ষণীয় ও চ্যালেঞ্জিং একটি পেশায়। আর এই কারনেই বিয়ের বাজারে ব্যাংকারদের কদর দিনে দিনে বেড়েই যাচ্ছে।

১. ব্যাংকে চাকরী করলে অদূর ভবিষ্যতে ব্যাংকারদের একটা বাড়ি এবং একটা গাড়ি থাকবে এটা নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে চোখে সুরমা লাগিয়ে নিজের বাড়ি গাড়ির স্বপ্নটা আপনি দেখতেই পারেন। লোকে বলে ব্যাংকে ১২ মাস চাকরী করে ১৮ মাসের বেতন পাওয়া যায় (কথা কিন্তু শতভাগ সত্য)।

২. সততার পরীক্ষায় ব্যাংকারদের চেয়ে উপরে কেউ নাই। কোটি টাকার মধ্যে বসে থেকে নিজের লোভ লালসা সংবরণ করে যে নৈতিক চর্চা হয়, তা অটুট থাকে জীবন চর্চার সব সময়।

৩. পৃথিবীতে এসেছেন খালি হাতে, যাবেন খালি হাতে। তেমনি ব্যাংকে ঢুকার সময় আপনার পকেট ফাকা, বের হওয়ার সময়েও পকেট ফাকা। মাঝখানে রঙের দুনিয়ায় বসবাস। এই যে দার্শনিক চিন্তা ও ধর্মীয় চিন্তার ভেতরে থেকে ব্যাংকাররা প্রতিদিন তাদের জীবন শুরু ও শেষ করে, এর মাধ্যমেই ব্যাংকারদের মানবিক, দার্শনিক ও ধার্মিক গুণাবলী ফুটে উঠে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৪. অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। বাট ব্যাংকারদের মস্তিষ্ক কখনো অলস থাকে না বলে তাদের সাথে শয়তানী শব্দটা যায় না। কর্মশীল, সারাক্ষণ এক্টিভ একটা মস্তিষ্ক সর্বদা সুচিন্তায় মশগুল থাকে।

৫. কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে কলিগের সাথে প্রেম, অফিস ফাকি দিয়ে পরকিয়া এসব অনেক কিছুর কথা শোনা যায়। বাট আপনি আপনার ব্যাংকার স্বামী নিয়ে এটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন, এই রোবট এক কাপ চা খাওয়ার জন্যেও নিচে যেতে পারবে না, আর সুন্দরী কলিগের রূপ দেখার জন্য পাশে তাকানোর অবসর তার কখনই হবে না।

৬. বিভিন্ন প্রফেশন যেমন- শিক্ষকদের মধ্যে পরিমলের ধর্ষণ, পুলিশের মধ্যে ডিআইজির জোর করে বিয়ে, প্রশাসনের মধ্যে বউ পিটিয়ে হত্যা অনেক কিছু শোনা গেলেও ব্যাংকারদের চরিত্র নিয়ে আজ অবধি কোন কিছু শুনা যায় নাই। এরা সচ্চরিত্র, কারণ কুকাজ করার মত সময়ই পায় না।

৭. অফিসে এরা এত ব্যস্ত থাকে যে, বাসায় ফিরে বউ এর কথার বিরুদ্ধে কথা বলার মত মনোবল এদের থাকে না। বউ ইজ অলওয়েজ রাইট নীতিতে বিশ্বাসী ব্যাংকাররা আপনাকে দিবে অঢেল সম্মান। সেক্ষেত্রে আপনিই হতে পারেন সংসারের প্রধান কর্তা।

৮. ব্যাংকাররা নাকি বউকে সময় দিতে পারে না। মাসে ৮ দিন করে বছরে ৯৬টা শুক্র + শনিবার, ২৪ দিন সরকারী ছুটি, ১৫ দিন ক্যাজুয়াল লিভ, ১৫ দিন ম্যান্ডাটরি লিভ, টোটাল (৯৬+২৪+১৫+১৫=১৫০), মানে ৩৬৫ দিনের মধ্যে জামাইকে ১৫০ দিন ফ্রি পাইয়াও যদি বলেন জামাই সময় দেয় না, তাইলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়া ঘর জামাই + কাজের লোক বিয়া করেন।

আপনি যদি ঝামেলাবিহীন, চিন্তাবিহীন, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, সৎ আয়ের, নিয়মতান্ত্রিক জীবন চান, কিংবা বিশ্বস্থ, সৎ, সুচরিত্রের অধিকারী, সময়জ্ঞান সম্পন্ন কাউকে বিয়ে করতে চান, তবে একজন ব্যাংকারই হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।

কার্টেসিঃ নাজিরুল ইসলাম নাদিম (পরিমার্জিত)
উৎসর্গঃ ব্যাংকিং পেশায় নিয়োজিত সকল ব্যাংকারদের।

৮ মন্তব্য

  1. আমি একজন এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষক, ২০১৩ সালে আমার বেতন ছিলো ১২,০০০/- টাকা। জীবন সঙ্গী হবে সুন্দরী এই রকম একটা আশা সারাজীবন মনের মধ্যে পোষণ করতাম। কিন্তু আয়-ব্যয় ভয়ে ও কিছু অজানা ভয়ে বিয়ে করতে দেরি হয়, ২০১৩ সালে বিয়ে করি, তখন আমার বয়স ৩৮ বছর, পাত্রী ডিভোর্সী বয়স ৩৩ বছর, ১৪ বছর পূর্বে ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করে, জানতাম না। হিসাব বিজ্ঞানে এমকম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ করে। প্রথমে গার্মেন্টেসে চাকুরি করে। ছেলে বন্ধুর রেফারেন্সে লোন রিকভারিতে একটি ব্যাংকে চাকুরী পায়। প্রথম দেখাতেই আমাকে পছন্দ করে। পাত্রী সুন্দরী হওয়ায় ও বয়সের বিবেচনায় আমিও আগ্রহী হই। কিন্তু আমার মা, ভাই-বোনদের ম্যানেজ করতে ৬ মাস সময় লাগে, ছয়মাস পর আবার যোগাযোগ করি, আমার যে কোনো শর্তে সে
    ও তার পরিবার রাজি হয়। আমার বেতন, আয় সম্পূর্ণ ফিগারসহ বলি তাদের টোটাল ১২,০০০/- টাকা আয় বলি, তার কি চাকুরী কি বেতন কোনটাই জানতে চাইনি। বিয়ের দিন হতে কেন তাকে ছয়মাস আগে বিয়ে করিনি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রাগারাগি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার সাথে এডজাস্ট করতে পারছে না বলে জানায়। কাপড়-ছোপর অফিসের পাশে লন্ড্রীতে আয়রণ করতে হবে বলে আমাকে একটু এগিয়ে দিতে বলে, আমি সরলভাবে বিশ্বাস করি, বিকেলে ফোন করে জানায় আর আসবে না, আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে, অনেক অনুনয়-বিনয় করলাম, পরে কিছু মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ডিভোর্স পাঠায় সে। দাগলেগে যায় আমার জীবনে। আত্নীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশির চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে আবার বিয়ে করলাম, তার চেয়ে ৩ বছরের ছোট, অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও বিএড, শহরে দুইটা ফ্ল্যাট, ২ টা গাড়ী তাদের, কিন্তু আমার মন পড়ে রইল আগের জনের কাছে, কারণ তাকে অনেক আগ্রহ নিয়ে বিয়ে করেছিলাম। নতুন বিয়ের ২০ মাসের মাথায় আল্লাহর রহমতে কোনো ধরণের ডাক্তারী চিকিৎসা ছাড়া আমার এক কন্যা সন্তান আসল দুনিয়ায়। কিন্তু আমার মন এখনও সেই প্রথম জনের প্রতিই স্থির আছে। সে অবশ্য অনেক উন্নতি করেছে, এখন বড় একটা ব্যাংকে কর্মরত, মহিলা ব্যাংকার। আমার সারাজীবনের স্বপ্ন, মনের মতো বউ, আমার জীবন ধ্বংস করে দিলো সে এক নিমিষে, জানি না কি অপরাধ আমার ছিলো, আমি শিক্ষক, আমার বেতন ১২,০০০/- এটা জানার পরও সে ব্যাংকার হয়ে আমাকে কেন বিয়ে করলো, কেন আমার স্বপ্ন হত্যা করল, জীবনে কোনো দিন কারো কিছুর প্রতি লোভ ছিলো না, এখনও নাই, শুধু একটা সুন্দরী বউ ছাড়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button