ব্যাংকিং ডিপ্লোমাব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম

আইবিবি এর ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ও কিছু প্রস্তাবনা

গত কিছু দিন আগে আইবিবি এর ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার রেজাল্ট দিল, যারা পাশ করলেন, তদের অভিনন্দন, যারা পাশ করেননি, তাদের জন্য সমবেদনা। গত পরীক্ষায় আমিও একজন পরীক্ষার্থী ছিলাম ডিএআইবিবির। ঘনিষ্ঠ কলিগরা জিজ্ঞেস করল, কেমন হল? বললাম MA পাশ করলে সব পাশ করবো ইনশাআল্লাহ!

কিন্তু সবার আশা পুরন হলেও IBB এর পরীক্ষার্থীদের সব আশা একসাথে কোন দিনই পূরন হবার নয়, MA পাশ করলেও Agriটা ফেইল মাইরলাম, ৬টা পরীক্ষা দিয়েও শুধু ২টাতে পাশ, ৪টা ডাইরেক্ট ফেইল!! আমি যেন এই কয়দিন একটা ট্রমার ভিতর ছিলাম! অথচ এর চেয়ে বেশি লেখা কোনদিনই মনে হয় লেখিনি, অবাক, হতাশ ও ক্ষুব্ধ হলাম!! যেখানে ৬৮% বা ৭০% মার্ক পাওয়ার আশা, সেখানে ৫০% মার্কও কপালে জুটলো না!!

আমার ছোট মাথার কিছু প্রস্তাবনা ছিল, জানিনা আইবিবি এইরকম কখনো চিন্তা করেছিল কিনা বা তাদের কাছে এই কথাগুলো যাবে কিনা, আপনাদেরও মতামত থাকতে পারে, কমেন্টে যোগ করলে একটা শেয়ারিং রেজাল্ট হবে! আমার প্রস্তাবনাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

০১. খাতা মূল্যায়ন ১০০% ন্যায় ও নীতির সাথে করা।
০২. পাশ না করলে স্ক্রটুনির ব্যবস্থা দ্রুত করা, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফি নিয়ে তার রেজাল্টও অনলাইনে দিয়ে দেয়া।
০৩. অনলাইনে একটা ইউজার আইডি (এনরোলমেন্ট নাম্বারও এটা হতে পারে) ও পাসওয়ার্ড থাকবে, প্রতি পরীক্ষায় মার্কশীট ওই আইডি এর সাথে ট্যাগ করা থাকবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

০৪. স্ক্রুটিনি এর আবেদন কর্মকান্ড শেষ হলেই কেবল ডিপ্লোমার বাকী সাবজেক্টের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, একদিকে স্ক্রুটিনি অন্যদিকে নতুন পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ, এটা কেমন দ্বীমুখি নীতি হয়ে গেল না?
০৫. আবেদন ও রেজাল্ট ফুল অটেমেশন করা, এ ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর www.ibtra.com এর DIB পরীক্ষার সিস্টেম থেকে কিছু ধারণা নেয়া যেতে পারে।
০৬. ফি ইন্টারনেট ব্যাংকিং/ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধমে নেয়া।

০৭. পাশ মার্ক ৪০ করা যেতে পারে।
০৮. ১ম বার সব সাবজেক্টের ফি নিলেও পরের বার থেকে যত সাবজেক্ট পরীক্ষা দিবে তত সাবজেক্টের ফি নেয়া, ধরুন- ১ম বার ১৫০০/- টাকা, পরের বার ২ সাবজেক্ট বাকী, ১ সাব্জেক্ট ২০০ করে ধরলে ২ সাব্জেক্ট ২০০*২=৪০০/- টাকা। এতে করে বিপুল টাকার অপচয় কমবে এবং আইবিবি এর প্রতি ব্যাংকারদের ক্ষোভও কিছু কমবে।
৯. পরীক্ষা চলাকালীন সম্মানিত কতৃপক্ষ ও গার্ডদের আচরণ আরো আন্তরিক হওয়া উচিত, সবাইকে চোরের মত মনে করার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

১০. সার্টিফিকেট নেয়ার সময় আবার ফি কেন?
১১. কেনইবা আগে প্রভিশনাল সার্টিফিকেট অবশ্যই নিতে হবে, আবার এর জন্য নতুন করে আবার টাকা, কি ভয়ংকর!
১২. জীবনকে সহজ করুন, কঠিন নয়।

এলোমেলো কিছু লিখলাম, লেখাটা বড় হয়ে গেছে, দুঃখিত! আপনারও অভিজ্ঞতা এবং সুন্দর সাজেশন থাকলে, কমেন্ট বক্সে দিন, নিজেরা একটু ব্রেইন স্ট্রমিং করি। সবার জন্য অনেক অনেক প্রীতি ও শুভ কামনা!

কার্টেসিঃ আনোয়ারুল ইসলাম

একটি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button