যে সকল সাবধানতা মেনে চেক লিখতে হয়

যে সকল সাবধানতা মেনে চেক লিখতে হয়- টাকা বা অর্থ লেনদেন করার জন্য যে জিনিসটিকে সব থেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নিরাপদ বলে মনে করা হয় সেটি হল চেক। আর এটি যতই নিরাপদ হোক চেক সই করে কাউকে দেওয়ার সময়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। না হলে সেই চেক বাতিল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নেই চেক লেখার সময় যে সকল সাবধানতা মেনে চেক লিখতে হয়।

✓ যাকে টাকা দেবেন তার নাম চেক-এ লিখতে হয়। কিন্তু সেই নাম লেখার সময়েও খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ধরুন- অমিত রায় নামক কোন ব্যক্তির নাম লিখলেন। নাম ও পদবীর মধ্যে অল্প ফাঁকা জায়গা রাখুন। না হলে অমিতকে অমিতা বানিয়ে ফেলতে খুব একটা সমস্যা হবে না। এই ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচতে যাকে টাকা দিচ্ছেন তার নামের পাশে তার অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও যুক্ত করে দিন।

আরও দেখুন:
◾ চেক এর বৈশিষ্ট্য সমুহ কি কি?

✓ যাকে টাকা দেবেন তার নাম লেখা শেষ করে তার নামের পাশে একটি লাইন টেনে দিন।

✓ ‘বেয়ারার বা বাহক চেক’ কাউকে দিলে অবশ্যই ‘বেয়ারার বা বাহক’ অপশনে টিক দিয়ে দিন। ধরুন আপনি কাউকে ‘বেয়ারার বা বাহক চেক’ দিচ্ছেন যদি সেই চেক-এ ‘বেয়ারার বা বাহক’ অপশনে টিক না দেন তা হলে ঐ চেক থেকে যে কেউ টাকা তুলে নিতে পারবে।

✓ চেকের উপরে লিখে দিন ‘অ্যাকাউন্ট পেয়ি/ এসি পেয়ি’। তা হলে যাকে চেক দিচ্ছেন শুধু তার অ্যাকাউন্ট থেকেই ওই চেক ভাঙানো যাবে।

✓ চেক-এর অ্যামাউন্ট বসানোর পরে অবশ্যই ‘/-‘ এই চিহ্ন দেবেন। তাতে কোন ভাবেই অতিরিক্ত কোনও সংখ্যা বসিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবে না। প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে যেন কোন ফাঁকা জায়গা না থাকে।

✓ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে যে স্বাক্ষর করেছেন সেই স্বাক্ষরটিই চেক দেওয়ার সময়ে করবেন। আপনি যদি কোন কোম্পানির হয়ে টাকা দেন তাহলে কোম্পানির সিল দিয়ে দিতে হবে।

✓ চেক-এ যদি ভুল কিছু লিখে থাকেন তাহলে সেই ভুল লেখার উপরে বা নিচে স্বাক্ষর করে দিন।

✓ অনেক সময় অনেক চেক বাতিল হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চেকটি ছিঁড়ে ফেলুন। আর না হলে চেকটিতে ‘ক্যানসেলড’ লিখে দিন।