বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

ঋণ বিতরণের নীতিমালা শিথিল করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে এখনও মন্দা বিদ্যমান থাকায় ঋণ বিতরণের নীতিমালা আরও শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে অভ্যন্তরীণ ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার স্কোর আরও নমনীয়ভাবে বিবেচনা করা হবে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি অগ্রহণযোগ্য গ্রাহক হিসাবে গণ্য হবেন। এই ধরনের গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-০৭) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

উক্ত সার্কুলারের বিধিবিধান এখন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ সার্কুলারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। ওই দিন থেকে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারের বিধিবিধান কার্যকর হবে।

ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন গ্রাহকদের বছর শেষে আর্থিক বিবরণী তৈরি করে তা ব্যাংকে দিতে হয়। আর্থিক বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে আগের নিয়মে ৭৫ শতাংশের বেশি পেলে অতি উত্তম, ৬৫ শতাংশের বেশি থেকে ৭৫ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৫৫ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫৫ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। তবে ৪৫ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

করোনার কারণে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এই মান অনেকের পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নীতিমালাটি শিথিল করার দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই নীতিমালা শিথিল করেছে। এখন থেকে অতি উত্তম ও ভালো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে একই মান রাখা হয়েছে। তবে প্রান্তিক ও অগ্রহণযোগ্য গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫০ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে গড়ে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।

আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকারদের ন্যূনতম বেতন নিয়ে রুলের শুনানি ২ মার্চ

নীতিমালা অনুযায়ী অতি উত্তম গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া ও আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে কোনো বাধা থাকবে না। ভালো গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। প্রান্তিক গ্রাহকদের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে সতর্ক হতে হবে। তাদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না। অগ্রহণযোগ্য গ্রাহকদের নতুন ঋণ দেওয়া যাবে না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করা যাবে।

তবে কোনো গ্রাহক ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হবেন। তিনি নতুন ঋণ পাবেন না। আগের খেলাপি ঋণ নবায়ন করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button