বিশেষ কলাম

ব্যাংক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিএসআর ব্যয় প্রসঙ্গে

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদঃ বিশ্বব্যাপী বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর প্রযোজ্য। সিএসআর করার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো মূলত সমাজের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার প্রকাশ ঘটায়। এছাড়া কোনো কোম্পানি যদি সিএসআর করে, তাহলে সে কোম্পানির কর্মীদের মধ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে কাজের প্রতি তাদের উৎসাহ বাড়ে, কারণ তারা অনুভব করে যে তাদের প্রতিষ্ঠানটি শুধু ব্যবসায়িক কাজে নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজেও সম্পৃক্ত।

আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো সিএসআর করছে। আমাদেরও তাই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে হবে যে সিএসআর করার পরের দায়িত্বগুলো কী? কেননা শুধু লাভ-লোকসান নয়, সমাজের মানুষের কল্যাণে কাজ করাও ব্যবসায়িক মডেলের অংশ। সমাজের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভ করে, বিপরীতে তারা সমাজের জন্য কাজ করবে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক ইমেজ তৈরির জন্য সিএসআরের অর্থ ব্যয়ের প্রবণতা চোখে পড়ে। এটা শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে করলে চলবে না।

তাছাড়া আমাদের এখানে সিএসআর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বোর্ডের পক্ষ থেকে। আগে ‘সেলফ রেগুলেটরি’ ছিল। তবে ক্রমে বিষয়টা একটা নিয়মের মধ্যে আসছে। আমি মনে করি, এ-বিষয়ক সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে। যেমন সিএসআর বাবদ কোন খাতে কত অর্থ প্রদান করা হবে—তা করতে হবে পরিকল্পনা করে। সিএসআরের নামে কোনো দুর্নীতি গ্রহণযোগ্য নয়।

সিএসআর সংক্রান্ত আইএসওর মানদণ্ড রয়েছে। এটির পরিপালন করতে হবে, যা শুধু পরিমাণগত নয়, গুণগতও। যেমন ২০০৭-০৮ সালের দিকে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক খাতের জন্য সিএসআর নীতি প্রণয়ন করেছিলাম। সেখানে বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো তাদের সম্ভাব্য নির্দেশিকা অনুসরণ করবে। এর সঙ্গে আরো কিছু বিষয় যেমন কাজের ভালো পরিবেশ সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করবে। পাশাপাশি অডিটের ব্যবস্থা করবে নিয়মিত, যেন আমানতকারীর অর্থ নিয়ে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা না হয়। অনেক ব্যাংকই এখন সিএসআর করছে। কিন্তু যথাযথভাবে করছে কিনা তা দেখা জরুরি। এক্ষেত্রে ব্যাংকের পারফরম্যান্স ইনডিকেটরের মধ্যে যেমন অ্যাসেট-লায়াবিলিটি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও তারল্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো রয়েছে, তেমনি সিএসআরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বহুজাতিক কোম্পানির সুবিধা হচ্ছে, সিএসআরের মাধ্যমে তারা তাদের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে পারে। বহুজাতিক বহু কোম্পানি সিএসআরে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তাদের ফাউন্ডেশন আছে, তা থেকে ব্যবসায়ের জন্য ফান্ড দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। ব্র্যান্ডের ইমেজ বৃদ্ধির এ ধরনের বিষয়টি তাদের কর্মীদেরও উজ্জীবিত করে। একটা ভালো প্রতিষ্ঠানে একজন ভালো কর্মী শুধু টাকা-পয়সা নয়, এ ধরনের বিষয়গুলোর জন্যও কাজ করতে উৎসাহী হয়। কোম্পানির সুনামের বিষয়গুলোও তাই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সিএসআরে সব অর্থ ব্যয় করে পরবর্তী সময়ে অংশীদারদের বোনাস দিতে ঝামেলা হবে, তা নয়। ব্যাংকের ক্ষেত্রেও তাই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সিএসআরের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকতে হবে। গোপনে সিএসআর দেয়া যাবে না। সবাইকে জানাতে হবে। কেননা সিএসআরের নাম করে অনেক প্রতিষ্ঠান হয়তো তাদের পণ্যের প্রচার চালাতে পারে, যা সঠিক নয়। আবার অনেক বড় অনুষ্ঠান করে নামমাত্র অর্থ দান করা হলো—এটাও ঠিক নয়। সিএসআর বাবদ ১০০ টাকা দিলে কমপক্ষে ৯০ টাকা যেন উপকারভোগীদের কাছে যায় এটা নিশ্চিত করতে হবে। আবার ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য কাউকে খুশি করা হচ্ছে কিনা এবং সে হিসাব সিএসআরের মধ্যে দেখানো হচ্ছে কিনা তাও খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য সিএসআর বিষয়ে কোম্পানির পরিচালন বোর্ড কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও নিয়ন্ত্রণকারী একটি সংস্থাও তা নজরদারি করার জন্য থাকা আবশ্যক।

সিএসআরের অর্থ কেন এবং কোন খাতে ব্যয় করা হবে এ-সম্পর্কিত নির্দেশনা থাকতে পারে। যেমন এ অর্থটা সামাজিক উন্নয়নের জন্য খরচ করতে হবে, অর্থনৈতিক কাজে নয়—এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। অর্থটা তহবিল আকারেও দান করা যায় কিংবা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা যায়। আবার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, দৃষ্টিশক্তিহীন, পঙ্গু ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্যও দেয়া যেতে পারে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষার জন্যও ব্যয় করা যেতে পারে।

আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণগত অনেক বিষয় রয়েছে, যা সরকারের পক্ষে সবসময় করা সম্ভব হয় না। সিএসআরের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো এ কাজগুলো করতে পারে। বন ধ্বংস, নদী ভরাট—এগুলো টেকসই উন্নয়নের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তাই সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাস্তার দুই পাশে গাছ রোপণ ও তা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। আগে যেমন কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি ছিল—এটা সিএসআরে সংযুক্ত করা কিংবা যার বাড়ির সামনে গাছ সে এর রক্ষণাবেক্ষণ করবে—এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

পাশাপাশি খেলাধুলার বিষয়গুলোকেও উৎসাহিত করা যেতে পারে। যেমন দেশের দক্ষ কোনো নারী বা পুরুষ ক্রীড়াবিদকে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেয়া। তার খরচ বহন করা। সবার জন্য খেলার মাঠ তৈরি করে দেয়া বা নারীদের জন্য আলাদা মাঠের ব্যবস্থা করা।

সিএসআর করার জন্য আমাদের দেশে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যা করতে পারে তা হচ্ছে আরো ভালোভাবে সিএসআরের বিষয়গুলোকে কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে-বিষয়ক নির্দেশনা প্রদান। আমি নিয়ন্ত্রণের কথা বলছি না। যেমন কোনো কোম্পানি হয়তো অর্থসহায়তা করেছে, এখানে দেখার বিষয় হচ্ছে তারা যথাযথভাবে তা করেছে কিনা। কিংবা যথার্থ কাজে সেটা ব্যয় হচ্ছে কিনা। সর্বোপরি কোম্পানিগুলো সিএসআরের মাধ্যমে যে সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের কথা বলছে তা কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তা দেখা জরুরি। ব্যাংকগুলো যদি সরকারি তহবিলে ২ কোটি বা ৫ কোটি টাকা দিয়ে বলে যে তারা সামাজিক কল্যাণে ব্যয় করেছে, তা কিন্তু যথাযথ হবে না। তাদের নিশ্চিত করতে হবে যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই জনগোষ্ঠীর কাছে সাহায্যটা পৌঁছাচ্ছে কিনা।

ধরা যাক, কোনো একটা সচ্ছল ক্লাব, যা সদস্যভিত্তিক যদি বলে যে আমাদের ভবনটাকে ছয়তলা করে দেন, তাহলে ওই খাতে অর্থ ব্যয়টা সিএসআরের মধ্যে পড়বে না। বরং ব্যাংকগুলো যদি স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতাল নির্মাণে বা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ব্যয় করে তাহলে তা যথাযথ। প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য অর্থ ব্যয় না করে যদি সচ্ছল কোনো গোষ্ঠী বা ব্যবসায়িক স্বার্থে সিএসআরের অর্থ ব্যয় করা হয়, তা যথাযথ হবে না। সিএসআরের অর্থ ব্যয় করতে সরকারের অনুমতি নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় মনে হয়েছে। এভাবে নজরদারি নিশ্চিত করা যাবে, তেমনি আবার ব্যাঘাতও সৃষ্টি হতে পারে। তাই এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের প্রভাবে যেন সিএসআরের টাকা অন্য কোনো কাজে না যায়, সেটার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকতে হবে।

আরো একটা বিষয় হচ্ছে, সিএসআরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কর ছাড় পাওয়া যায় না। আমি মনে করি এটা একটা দুর্বলতা। অনেকেই ভালো কাজ করতে চাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চ্যারিটি কাজের জন্য কোম্পানিগুলোকে বিশেষ কর ছাড় দেয়া হয়, বাংলাদেশে তা নেই। আমাদের দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পায় তবে আঞ্চলিক অনেক সংস্থা রয়েছে যারা এটা পায় না। আমার মনে হয়, নির্দিষ্ট কয়েকটি সংস্থার কথা না বলে যদি উল্লেখ করা হয় যে, এক্ষেত্রে সিএসআর কার্যক্রমে যুক্ত সংস্থাগুলো কর ছাড় পাবে, তখন তারা তাদের কাজগুলো তুলে ধরবে। অনেকেই সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ নিজের ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে করছে। কেউ দরিদ্রদের খাওয়াচ্ছে, কেউ ছোট স্কুল করেছে। অথচ আমরা শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা প্রদান করছি। জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ে সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গকে যদি কর রেয়াত সুবিধা প্রদান করা হয় তাহলে সিএসআরে অনেকেই উৎসাহিত হবে।

অভিযোগ আছে, আমাদের অনেক বড় বড় কোম্পানি দানশীলতা বা এ ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করে না। তারা কীভাবে আসবে, সরকার থেকে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে না। আমার মনে হয়, সিএসআর কার্যক্রমে কর ছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়া উচিত। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর যে ঘাটতি রয়েছে, সিএসআরের মাধ্যমে সে ঘাটতি পূরণ হতে পারে। ৬০টি ব্যাংক যদি ১০ কোটি টাকা ব্যয় করে, তাহলে এখানেই কিন্তু ৬০০ কোটি টাকা হয়। এভাবে সিএসআর বাবদ পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করা সম্ভব।

আমাদের দেশের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান সিএসআরের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার, প্রসারে মনোযোগী। আমাদের দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী অনেকটাই দুর্বল, স্বাস্থ্য ব্যয় অনেক বেশি, সেখানে সিএসআরের মাধ্যমে অনেক ভালো কাজ করা সম্ভব। যেমন অনেক হাসপাতালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইসিইউ, যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো কিন্তু এ ধরনের কাজে আরো এগিয়ে আসতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে অপচয়টা অনেক বেশি, অথচ এ অর্থ দিয়ে অনেক ভালো সেবা দেয়া সম্ভব।

ভারতে যেমন টাটা গ্রুপ একটি অনন্য উদাহরণ। টাটার পাশাপাশি বিড়লা, গোদরেজের ভালো কাজ রয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় বেশির ভাগ ভালো হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ভলান্টারি কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমেরিকায় পাবলিক ব্রডকাস্টিং টেলিভিশন স্টেশন ছিল, ওরা কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করত না, জনগণের চাঁদায় চলত। চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ লোকজন এখন আর চাঁদা দেয় না। তাছাড়া বড় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো দু-একটি ছাড়া বাকিদের তেমন অংশগ্রহণ নেই। তবে পশ্চিমা দেশগুলোতে জনহিতৈষী কাজগুলো এখনো মোটামুটি সন্তোষজনকভাবে পরিপালন করা হয়। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো যে সরকারি অনুদানে চলছে তা নয়, বেসরকারি সহযোগিতা রয়েছে।

ব্যবসা করতে কেউ মানা করে না। সেখানে স্বাভাবিক মুনাফাও প্রযোজ্য, কিন্তু ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক বিষয়গুলোও দেখা জরুরি। সিএসআরের মূল বিষয়টা হচ্ছে ‘রেসপন্সিবল ব্যবসা, এথিক্যাল ব্যবসা ও পরিবেশবান্ধব ব্যবসা’। আমি সমাজ থেকে গ্রহণ করব, বিনিময়ে সমাজের মানুষের উপকারে আসব। কারণ ব্যবসাটা শুধু আর্থিক বিষয় নয়, সেবা প্রদানও।

লেখকঃ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button