ব্যাংকের এমডিদের বিদেশ ভ্রমণে যেসব তথ্য দিতে হবে
ব্যাংকের এমডিদের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত সার্কুলারে পরিবর্তন আনলো বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রায়ই বিদেশ গমন করেন। অনেকে বিদেশে গিয়ে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন। এমন প্রবণতায় নিরুৎসাহিত করে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের বিদেশ যাত্রায় বিধিনিষেধ আরোপ করে ২৩ মার্চ, ২০২০ তারিখে বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৬ জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহীরা বিদেশে যেতে চাইলে এখন থেকে নিজেদের কতগুলো তথ্য দাখিল করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। যদিও আগে থেকেই এমডিদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আজ সোমবার (০৫ জুলাই, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-৩৪) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৬ এর সাথে সংযুক্ত ‘পরিশিষ্ট-ক’ পরিমার্জন
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, উক্ত সার্কুলারের (বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৬) সাথে সংযুক্ত ‘পরিশিষ্ট-ক’ পরিমার্জন করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, এখন থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণের অনুমোদন গ্রহণের নিমিত্তে ব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরিত আবেদন পত্রের সাথে পরিমার্জিত ‘পরিশিষ্ট-ক’ অনুযায়ী তথ্যাবলি দাখিল করতে হবে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
পরিশিষ্ট-ক অনুযায়ী ব্যাংক-কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণের বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্যাবলীতে যে সকল তথ্য দিতে হবে-
০১। ব্যাংক-কোম্পানীর নাম:
০২। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম:
০৩। জাতীয় পরিচয়পত্র নং:
০৪। পাসপোর্ট নং:
০৫। ভ্রমণের উদ্দেশ্য:
০৬। ভ্রমণের প্রস্তাবিত সময় (যাতায়াত সময়সহ):
০৭। পর্ষদের অনুমোদনের তারিখ:
০৮। দেশের বাইরে অবস্থানকালীন ঠিকানা (একাধিক দেশ হলে প্রত্যেক দেশের নাম, সম্ভাব্য অবস্থানের মেয়াদ):
০৯। সর্বশেষ কখন, কতদিনের জন্য এবং কী উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণ করা হয়েছে।
উক্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৬/২০২০ এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
এর আগের সার্কুলারে বলা হয়েছিল, ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, এর দায়-দায়িত্বের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলোর সুষ্ঠু পরিপালনার্থে ব্যাংক-কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সম্প্রতি পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, কতিপয় ব্যাংক-কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাফতরিক কাজে কিংবা ব্যক্তিগত ছুটিতে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে সার্বিক গতিশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত ঝুঁকিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
উক্ত সার্কুলারে আরও বলা হয়েছিল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণ আবশ্যকীয় হলে দেশের বাইরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এরূপ অনুমোদন গ্রহণের নিমিত্তে ব্যাংকের পাঠানো আবেদনপত্রের সঙ্গে ভ্রমণের ১৫ (পনেরো) কর্মদিবস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে (ক) পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের অনুলিপি, (খ) ভ্রমণের প্রস্তাবিত সময় (যাতায়াত সময়সহ), (গ) ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং দেশের বাইরে অবস্থানকালীন ঠিকানা (একাধিক দেশ হলে প্রত্যেক দেশের নাম, সম্ভাব্য অবস্থানের মেয়াদ ও ঠিকানা) দাখিল করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক উক্ত সার্কুলারে আরও বলেছিল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত হলে, তার অনুপস্থিতকালীন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি, দাফতরিক ফোন, সেল ফোন নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রধান নির্বাহীর কর্মস্থল ত্যাগের আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সচিবালয় এবং ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
আরও পড়ুন:
◾ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণিকরণ সংক্রান্ত সার্কুলার
◾ ঋণ শ্রেণিকরণের নতুন সার্কুলার
◾ সিডিউল অফ চার্জ সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার
◾ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স নবায়নের শর্ত শিথিল
◾ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন প্রণোদনা সুবিধা