বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

ঋণ শ্রেণিকরণের নতুন সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঋণের মোট কিস্তির ২০ শতাংশ চলতি বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে খেলাপি করা যাবে না জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিস্তির বাকি টাকা সর্বশেষ কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ রোববার (২৭ জুন, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৩) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

উক্ত সার্কুলারে ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৩ এবং ২৪ মার্চ ২০২১ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৫ এর প্রতি ব্যাংকগুলোকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৫/২০২১ এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা এবং একইসাথে ব্যাংকিং খাতে ঋণ প্রবাহের গতিধারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে এই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল যে, ০১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে অশ্রেণিকৃত হিসেবে প্রদর্শিত চলমান, তলবী এবং মেয়াদী প্রকৃতির ঋণ/বিনিয়োগ পরিশোধ/সমন্বয়ের ক্ষেত্রে মার্চ/২০২১ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুন ২০২১ তারিখের মধ্যে পরিশোধ/সমন্বয় করা হলে উক্ত সময়ে ঋণ/বিনিয়োগসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের গতিশীলতা বজায় রাখা এবং বেসরকারী খাতে ঋণ/বিনিয়োগ প্রবাহের গতিধারা স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে কাংখিত বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে এই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে যে, সূত্রোল্লিখিত সার্কুলারসমূহের মাধ্যমে প্রদত্ত সুবিধার আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ পরিশোধের ক্ষেত্রে জুন/২০২১ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিসমূহের মোট পরিমাণের ন্যূনতম ২০(বিশ) শতাংশ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩১ আগষ্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হলে উক্ত সময়ে ঋণ/বিনিয়োগসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

এক্ষেত্রে জুন/২০২১ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির অবশিষ্টাংশ সংশ্লিষ্ট সার্কুলার এর নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বশেষ কিস্তির সাথে প্রদেয় হবে। এছাড়া অন্যান্য কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।

এছাড়া উক্ত সার্কুলারসমূহের অন্যান্য নির্দেশনাবলী অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।

আরও পড়ুন:
◾ সিডিউল অফ চার্জ সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার
◾ অফিস সহকর্মী সম্পর্কঃ পেশাদারি নাকি বন্ধুত্বপূর্ণ
◾ ব্যাংকার হতে চান? আরেকবার ভাবুন
◾ একজন ব্যাংকারের যে সকল গুণাবলী থাকা জরুরী

২ মন্তব্য

  1. এই করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন অজুহাতে দফায় দফায় লকডাউন দিতেছে, এতে আমরা যারা ছোটখাট মাঝারি ব্যবসায়ীরা ব্যাংক বা এনজিও গুলো থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি তাদের এখন কি হবে? আমরা তো দোকান পাট খুলতে পারছি না৷ একদিকে ব্যাংকের ঋণের বোঝা অন্য দিকে দোকান ভাড়া বিদ্যুৎ বিল সহ নানান রকমের সমস্যায় আমরা৷ ঋণের জন্য প্রতিনিয়ত ব্যাংক থেকে চাপ দিচ্ছে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের জন্য কি করবে?

    1. ব্যাংকগুলো বাসায় এসে লোনের কিস্তির জন্য যা তা ব্যবহার করছে কিন্তু সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নিরব ভুমিকা পালন করছে। মনে হয় আমরা এ দেশের জনগন নই, দেশের অর্থনীতিতে আমাদের কোনো ভুমিকা নেই। অবাক হই এ সব দেখে৷ কথা বলার মত কোনো জায়গা আমাদের নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button