বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অসমন্বিত ব্যয়েও প্রভিশন রাখতে হবে

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অগ্রিম প্রদত্ত বেতন-ভাতা, ভ্রমণ ব্যয়, আপ্যায়ন ব্যয়, বিজ্ঞাপন ব্যয়, ব্যবসায় উন্নয়ন ব্যয়সহ অসমন্বিত অন্যান্য ব্যয় এখন থেকে আর সম্পদ হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে না। এসব ব্যয়ের বিপরীতেও ভিন্ন ভিন্ন হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

আজ রোববার (০৩ অক্টোবর, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (ডিএফআইএম সার্কুলার নং-১০) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ব্যাংকাররা

সার্কুলারে বলা হয়েছে, অগ্রিম বেতন-ভাতা, ভ্রমণ ব্যয়, আপ্যায়ন ব্যয়, বিজ্ঞাপন ব্যয়, ব্যবসায় উন্নয়ন ব্যয় প্রভৃতি ফান্ডসমূহ ১২ মাস বা তার বেশি সময় অসমন্বিত অবস্থায় থাকলে তা ‘মন্দ ও ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকরণপূর্বক এ ধরনের দফাসমূহের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। একইসঙ্গে যে কোন অনিষ্পন্ন আইনি ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকায় এ সংশ্লিষ্ট অসমন্বিত আইনি ব্যয় ‘সন্দেহজনক’ মানে শ্রেণিকৃত হবে এবং এসব ব্যয়ের বিপরীতে ৫০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

কোন নিষ্পন্ন আইনি ব্যবস্থার বিপরীতে অসমন্বিত ব্যয় থাকলে সেগুলোকে ‘মন্দ ও ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকরণ করে এসব ব্যয়ের বিপরীতে ১০০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, জাল-জালিয়াতি, সংঘটিত ডাকাতি, অর্থ আত্মসাৎ, তহবিল তছরূপ প্রভৃতি তাৎক্ষণিকভাবে হিসাবায়নের জন্য এ ধরনের খাত/সম্পদ সৃষ্টি করা হয়।

গুণগত মাপকাঠির ভিত্তিতে বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক প্রোটেস্টেড বিল হতে আদায়ের সম্ভাবনা থাকলে তা ‘সন্দেহজনক’ মানে শ্রেণিকরণ করে এর বিপরীতে ৫০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে। তবে, প্রোটেস্টেড বিল হতে অর্থ আদায়ের কোন সম্ভাবনা না থাকলে তা ‘মন্দ ও ক্ষতি’ মানে শ্রেণিকরণ করে এর বিপরীতে ১০০ শতাংশ সংস্থান সংরক্ষণ করতে হবে।

উক্ত সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, প্রতি তিন মাস পরপর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অন্যান্য সম্পদের শ্রেণিকরণ এবং সংস্থান সংরক্ষণ করবে। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button