বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

আন্তঃব্যাংক লেনদেনে যুক্ত হলো চীনের মুদ্রা ইউয়ান

আন্তঃব্যাংক লেনদেনে যুক্ত হলো চীনের মুদ্রা ইউয়ান- এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তির অনলাইন মাধ্যম হলো রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস)। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন শুরু হয়। নতুন করে আরটিজিএসে চীনের মুদ্রা ইউয়ান যুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি, ২০২৪) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

আরও দেখুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার

সার্কুলারে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রায় ক্লিয়ারিং কার্যক্রম আধুনিক, যুগোপযোগী ও তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এফডিডি’র পরিবর্তে আরটিজিএস চালু করা হয়। তখন মার্কিন ডলার, পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও কানাডিয়ান ডলারে লেনদেন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এরই ধারাবাহিকতায় আরটিজিএসে চীনের মুদ্রা ইউয়ান যুক্ত করা হলো।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আরটিজিএস ব্যবস্থায় চায়নার মুদ্রা ইউয়ানে লেনদেন চালু করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের আগে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন বা ক্লিয়ারিং দেশে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হতো। এ পদ্ধতিতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের সঙ্গে কাগুজে নথি ব্যবহার করে ব্যাংকের কর্মকর্তারা হাজির হয়ে লেনদেন নিষ্পত্তি করতেন। এতে সময় ও ব্যয় বেশি লাগতো। আরটিজিএস পদ্ধতিতে সেসব ঝামেলা এড়িয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।

আরটিজিএস পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নীতিমালা জারি করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, আরটিজিএস একটি স্বতন্ত্র লেনদেন প্ল্যাটফর্ম পদ্ধতি। এর সঙ্গে অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মের সংযুক্তি নেই। এ পদ্ধতিতে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য একটি বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খুলতে হবে। এখান থেকে কেবল ডলারের বিপরীতে ডলারে, ইউরোর বিপরীতে ইউরো- এভাবে লেনদেন নিষ্পত্তি করা যাবে। অন্য এক মুদ্রার বিপরীতে অন্য বৈদেশিক মুদ্রায় নিষ্পত্তি করা যাবে না। তবে যে কোনো অঙ্কের লেনদেন নিষ্পত্তিতে কোনো বাধা নেই।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, পরিশোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টের ধরন উল্লেখ করতে হবে। একটি লেনদেনে ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ নিতে পারবে। আরটিজিএস পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তঃব্যাংক তারল্য সুবিধা নেওয়া যাবে না। লেনদেন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে গাইডলাইনস ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন (জিইএফটি) মেনে চলতে হবে।

এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকে অর্থ পাঠানোর পর সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে সুবিধাভোগীর হিসাবে অর্থ দিতে হবে। এটি না করতে না পারলে অর্থ ফেরত যাবে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে আরটিজিএসের স্থানীয় মুদ্রায় নিষ্পত্তির নীতিমালা মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button