ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি হলেন তৌহিদুল আলম খান
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি হলেন তৌহিদুল আলম খান- বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. তৌহিদুল আলম খান। তিনি মেহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি, ২০২৪) ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তৌহিদুল আলম এরই মধ্যে ব্যাংকে যোগ দিয়েছেন।
ন্যাশনাল ব্যাংক জানায়, ব্যাংকিং খাতে ৩১ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ব্যাংকার এর আগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার ব্যাংকিং কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রাইম ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মধুমতি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক-এ সিবিও, সিআরও ও ক্যামেলকো হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশে দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে তার নেতৃত্বেই প্রথম শরিয়াহ্ ভিত্তিক সিন্ডিকেশন বিনিয়োগ চুক্তি এবং সূচনাকালীন সময়ে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেশন টার্ম লোন সম্পাদনের মাধ্যমে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি আইসিএমএবির একজন ফেলো সদস্য এবং বাংলাদেশের প্রথম সনদধারী সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং অ্যাস্যুরার (সিএসআরএ)।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
তৌহিদুল আলম খান তার লেখনীর স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সম্মেলনে অবদান রেখেছেন।
এদিকে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, অর্থ লুটপাট, পর্ষদের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে দেশের প্রথম প্রজন্মের ন্যাশনাল ব্যাংকের (এনবিএল) পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়। আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে ব্যাংক কোম্পানি আইনে দেওয়া ক্ষমতা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার গত ২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) এক আদেশে সমস্যা-জর্জরিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেন। এর পরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাত সদস্যবিশিষ্ট নতুন পর্ষদ গঠন করে।
নতুন করে যে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে সেখানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারকে। যিনি বর্তমানে মেঘনা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া পরিচালক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, পারভিন হক সিকদার, উদ্যোক্তা পরিচালক খলিলুর রহমান, সিকদার ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক মো. সফিকুর রহমান ও উদ্যোক্তা শেয়ারধারী হিসেবে পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন।