ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম

ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পেশাভিত্তিক পরীক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজের সক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে। বিষয় ভিত্তিক নিয়োগ ছাড়া প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ডিগ্রিধারীদেরকে চাকরিতে নিয়োগ প্রদান করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, চাকরির সাথে সরাসরি বিষয় ভিত্তিক খুব কম সংখ্যক কর্মী থাকে। ফলে সবার জন্য এমন একটি প্রশিক্ষণ/ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে যাতে প্রশিক্ষণে/ পরীক্ষায় সকল অংশগ্রহণকারীদের নিকট গ্রহণযোগ্য করার এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করার জন্য সকল বিষয়ের সংক্ষিপ্তসার প্রশিক্ষণ সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ ধরণের প্রশিক্ষণকে বুনিয়াদি অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের প্রশিক্ষণ/ পরীক্ষা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের চাকরিতে বিপুল সংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এ সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। আর নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের ব্যাংকিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা সৃষ্টির লক্ষ্যে বুনিয়াদি সহ বিভিন্ন সময়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ/ পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য ও বাস্তব কার্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।

এছাড়াও সকল ব্যাংকারদের জন্য দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (আইবিবি)-এর ব্যাংকিং ডিপ্লোমার ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাংকারদের পদোন্নতিতে আইবিবি-এর ব্যাংকিং ডিপ্লোমার একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। আর এই ব্যাংকিং ডিপ্লোমাকে দুইটি পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে। যা জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট অফ দি ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (JAIBB) ও ডিপ্লোমায়েড অ্যাসোসিয়েট অফ দি ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (DAIBB) নামে পরিচিত। আইবিবি ব্যাংকিং ডিপ্লোমার দুই পর্বে ৬+৬=১২টি বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ে থাকে। বছরে দুইবার (সাধারণত জুন ও ডিসেম্বর) পরীক্ষা হয়, যার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় সাধারণত এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা (Banking Diploma) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (আইবিবি)। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা পাস নম্বর ৫০।

এই পরীক্ষায় পাশে আর্থিক অনুদানের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট নেতিবাচক মনোভাব ও ক্ষোভ রয়েছে ব্যাংকারদের মধ্যে। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিতদের কার্যকলাপে মনে হয় ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা উত্তীর্ণ হওয়ার চেয়ে অকৃতকার্য হলে তারা বেশি খুশি হয়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

যারা বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিশ্ব বিদ্যালয়) হতে বিভিন্ন পরীক্ষায় বিশেষত কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হয়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে যোগদান করেছেন সেই সকল মেধাবী শিক্ষার্থীরা চাকরিতে যোগদানের পর ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় বছরের-পর-বছর অকৃতকার্য হয়ে আসছেন। এই সকল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার একাধিক কারণের মধ্যে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। যার মধ্যে একটি হলো পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ের জন্য তৈরি প্রশ্নের মধ্যে ত্রুটি ও অকৃতকার্যতা। আর দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরীক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তন না করা এবং অসাধু পন্থা অবলম্বন।

ফলে বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে দুর্নীতির রাস্তা উন্মুক্ত হবে বা উন্মুক্ত হওয়া রাস্তা অবিলম্বে বলবৎ থাকবে। পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রশ্নপত্র সঠিকভাবে প্রণয়ন করা হয় নাই। পরীক্ষা পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের ভিত্তিতে পরিবর্তন এনে প্রশ্ন পত্র তৈরির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া যাতে ৭০% পরীক্ষার্থী আইবিবি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button