বিশেষ কলাম

বিদেশী বিনিয়োগে সহজিকরণ, অর্থনীতি ও রাজস্ব উন্নয়ন ভাবনা

মো: আবুল বরকত সেরনিয়াবাতঃ আরজেএসসি থেকে জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানী ও ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী এর নতুন নিবন্ধন বা নিবন্ধিত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির জন্য বিদেশী বিনিয়োগ কারীদের ক্ষেত্রে Encashment Certificate ই-মেইল, মোবাইল বা টেলিফোন বা অন্য কোন ভাবে ভেরিফিকেশন বা সত্যতা যাচাই করে নতুন কোম্পানী নিবন্ধন বা নিবন্ধিত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহজীকরণের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে ব্যবসা সহজীকরন করে বৈদেশিক মুদ্রা আহরনের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করনের সহযোগীতা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন “এবিসি” লিগ্যাল কোড এন্ড ইকোনোমিক কনসালটেন্সী ফার্ম এর কোম্পানি, ট্যাক্স, ভ্যাট, কনসালটেন্ট (রাজস্ব উন্নয়ন) মো: আবুল বরকত সেরনিয়াবাত।

উক্ত আবেদনে বলা হয়েছে, বানিজ্য মন্ত্রনালয় এর অধিনস্থ পরিদপ্তর আরজেএসসি থেকে জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানী ও ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধন দেয়া হয়। বর্তমান সরকারের প্রথম ডিজিটাল অফিস আরজেএসসি। যেখানে কিছু জটিলতা ও পুরানো নিয়ম কানুন অপরিবর্তীত রাখার কারনে জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানী, ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধন হতে ৭ দিন থেকে ১০দিন সময় লাগে, অনেক সময় ১৫ দিন সময় লাগে, যেটা বিদেশী বিনিয়োগ কারীদেরকে ডিজিটাল এর নামে একরকম হয়রানীর সামিল, যে Encashment Certificate টি ই-মেইল, মোবাইল বা টেলিফোন এ বা অন্য কোন ভাবে ভেরিফিকেশন বা সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় তাহলে জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানী, ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধন করতে ৪ ঘন্টা থেকে ২৪ ঘন্টা সময় লাগবে, আর দেশি লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধন করতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ ২ দিন।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সু-যোগ্য কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য পুত্র ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নাতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল। সেখানে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী ও একটি ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধন হতে ৭ দিন থেকে ১০ দিন সময় লাগে অনেক সময় ১৫ দিন সময় লাগে। তাহলে আমাদের বাংলাদেশে, বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহ পাওয়ার পরিবর্তে নিরুৎসাহিত হবে বলে আমি মনে করি কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বিদেশী বিনিয়োগ যাচ্ছে Encashment Certificate যাচাই এ জটিলতা ও অতিরিক্ত সময় অতিক্রম হওয়ার কারনে বিদেশী বিনিয়োগ ফেরৎ যাচ্ছে তাই Encashment Certificate যাচাই সহজি করণ হওয়া উচিত, কারণ বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত বিশ্বের কাতারে দাড়িয়েছে।

জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানী ও ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী নতুন নিবন্ধন করার সময় বা নিবন্ধিত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিদেশী পরিচালকগন যে পরিমাণ শেয়ার নেন, যেই শেয়ারের সমপরিমান টাকা বা যে ডলার হয়, সেই ডলারের সমপরিমান টাকা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসে, সে গুলো ব্যাংক এর মাধ্যমে আসতে হয়। বিদেশ থেকে ডলার বা টাকা ব্যাংকে আসার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এর শাখা কোম্পানী বা পরিচালকের নামে Encashment Certificate প্রদান করেন। আরজেএসসি উক্ত Encashment Certificate টি যাচাই করার জন্য উক্ত ব্যাংক শাখার নিকট চিঠি পাঠান, যা সেই আদি যুগের মতো পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে ডাকযোগে চিঠি পাঠান, অবস্থা দেখে মনে হয় বিদেশীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ব্যাংক শাখা কর্তৃপক্ষ উক্ত Encashment Certificate টি যাচাই-বাচাই বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পোষ্ট অফিস বা কুরিয়র যোগে আরজেএসসিতে পাঠিয়ে দেন। ব্যাংকের শাখা এবং আরজেএসসি এর এই Encashment Certificate নিয়ে টানা-টানির কারণে বিদেশী বিনিয়োগ কারীদের কোম্পানী নিবন্ধন করতে ১০-১৫ দিন বা আরও বেশী সময় লেগে যায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এই টানা-টানির কারণে বিদেশী বিনিয়োগ এক সময় মুখ থুবড়ে পরে যেতে পারে বলে আমার ধারনা। কোন এক অশুভ শক্তি বা অপ শক্তির কারনে বা পরিকল্পিত ভাবে বিদেশী বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্থ করতে এভাবে একটি ডিজিটাল অফিসে Encashment Certificate যাচাই এর জন্য ম্যানুয়াল ভাবে ডাকযোগে চিঠি আরজেএসসি থেকে ব্যাংকে পাঠানো হয়। যেখানে বিদেশী বিনিয়োগ কারীরা বাংলাদেশে বছরে শত-শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সেখানে বিদেশী বিনিয়োগ কারীদেরকে Encashment Certificate যাচাই এর ব্যাপারে সহযোগিতা না করে হয়রানি করার যোক্তিকতা কোথায়, অনেক বিদেশীদের সাথে কথা হয়, দেখা যায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন বিদেশীরা কিন্তু এজন্য বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ চান তারা।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে একাধিক বার আরজেএসসি এর কর্মকর্তার সাথে Encashment Certificate ই-মেইলে বা মোবাইলে বা টেলিফোনের মাধ্যমে বা অন্য কোন ভাবে যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা স্বত্তেও সহযোগিতা না করে বরং সে তার অফিসের সকলকে ম্যানুয়াল ভাবে বা ডাকযোগে চিঠি পাঠানোর জন্য নির্দেশ বহাল রাখেন, যা প্রতিটি জয়েন্ট ভেঞ্জার লিমিটেড কোম্পানী বা ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে পাওয়া যাবে যে ১৫-২০ পরে নিবন্ধন হয়েছে। তাই বিদেশী বিনিয়োগ কারীদের নতুন জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানী ও ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধন বা নিবন্ধিত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে Encashment Certificate ই-মেইল, মোবাইল বা টেলিফোন এ ভেরিফিকেশন বা সত্যতা যাচাই করে কোম্পানী নিবন্ধন বা নিবন্ধিত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির জন্য সহজীকরণের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগ কারীদেরকে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সুযোগ করে দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আহরনের যেন সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করিতেছি যাহাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ এর মাধ্যমে দেশে রাজস্ব বৃদ্ধি পায়।

এতে আরো বলা হয়েছে, আরজেএসসি থেকে জয়েন্ট ভেঞ্চার লিমিটেড কোম্পানী ও ১০০% ফরেইন লিমিটেড কোম্পানী নিবন্ধন বা নিবন্ধিত কোম্পানী এর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির জন্য বিদেশী বিনিয়োগ কারীদের ক্ষেত্রে Encashment Certificate ই-মেইল, মোবাইল বা টেলিফোন এ ভেরিফিকেশন বা সত্যতা যাচাই করে কোম্পানী নিবন্ধন বা নিবন্ধিত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির জন্য সহজীকরণের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সুযোগ করে দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আহরনের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য সহায়তা করা হয় তাহার বিহীত বিধান করার আজ্ঞা হয়।

মো: আবুল বরকত সেরনিয়াবাত
কোম্পানি, ট্যাক্স, ভ্যাট, কনসালটেন্ট (রাজস্ব উন্নয়ন)
“এবিসি” লিগ্যাল কোড এন্ড ইকোনোমিক কনসালটেন্সী ফার্ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button