ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম

ব্যাংকারদের ডিপ্লোমা এ মুহূর্তে কতটা জরুরি?

ড. আর এম দেবনাথঃ ‘নেই কাজ তো খৈ ভাজ’ বলে একটা কথা গ্রামাঞ্চলে চালু আছে। আমার মনে হয়, এই কাজে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক। কীভাবে? খুলেই বলি। দেশে শীতকালের দিকে গ্রামাঞ্চলে কাজ থাকে কম। তখন মহিলাদের বলা হয় খৈ ভাজতে। উদ্দেশ্য ব্যস্ত থাকা, কাজের মধ্যে থাকা।

এমন একটা অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তা না হলে হঠাৎ করে এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক খাতে ‘মেধার’ সন্ধানে বেরোত না। যেমন? কথা নেই, বার্তা নেই, দেখা গেল গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে বসেছে। সার্কুলারের শিরোনাম: ‘কর্মকর্তা পদোন্নতি নীতিমালায় ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা পাশ বাধ্যতামূলক’।

আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বর্তমানে ব্যাংকারদের জন্য কতটুকু কার্যকরী

বলা হয়েছে, মৌলিক ব্যাংকিং জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক। ব্যাংকিং নিয়মকানুন অনুশীলন সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মানদণ্ড হলো দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (আইবিবি) কর্তৃক পরিচালিত দুই পর্বের (জেএআইবিবি ও ডিএআইবিবি) ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন। এ কারণে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিনিয়র অফিসার অথবা সমতুল্য পদের পরবর্তী সব পদের পদোন্নতি যোগ্যতা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা উভয় পর্ব পাশ বাধ্যতামূলক করা হলো।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

অবশ্য ব্যাংকে যারা নন-ব্যাংকিং কাজ করেন, তাদের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয়। বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এ-ও বলা হয়েছে, এ সম্পর্কিত ভিন্ন একটি সার্কুলার (২০২০ সালের ১৩ অক্টোবরের) এতদ্বারা রহিত করা হলো। ২০২০ সালের ওই সার্কুলারে কী ছিল, যা রহিত করা হয়েছে? ওই সার্কুলারে ‘ডিএআইবিবি’ বা ডিপ্লোমা পরীক্ষা পাশ করা বাধ্যতামূলক ছিল না।

ওতে বলা হয়েছিল, দুই পার্টের পরীক্ষার জন্য কিছু নম্বর অতিরিক্ত দেওয়ার জন্য। কখন? পদোন্নতির ক্ষেত্রে। এর ফলে ডিপ্লোমা পাশ করা অফিসাররা ১০০ নম্বরের পদোন্নতির ছকে কিছু নম্বর পেয়ে এগিয়ে থাকত। বলা বাহুল্য, ২০২০ সালের অক্টোবরের সেই সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে। এবং সেই স্থলে প্রবর্তিত হয়েছে নতুন সার্কুলার-তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। অর্থাৎ মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যে এই বিশাল পরিবর্তন বা ‘ইউটার্ন’।

বলা হতে পারে, এসব পরিবর্তন তো হতেই পারে। তা হতে পরে। প্রয়োজনে অনেক পরিবর্তন হতে পারে। প্রশ্ন, বর্তমান সিদ্ধান্তের কী প্রয়োজন? এ মুহূর্তে কি ব্যাংক খাতের সমস্যা ডিপ্লোমা পরীক্ষা? বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে তো অনেক কাজ এখন। কিছু কাজ বহুদিন ধরে পেন্ডিং, কিছু কাজ তাদের আইনি দায়িত্ব। কিছু কাজ আবার আইএমএফ দিয়ে গেছে এবার। সেসব কাজের কী হবে? ওইসব কাজে মনোনিবেশ না করে, ওইসব কাজে কোনো অগ্রগতি না দেখিয়ে হঠাৎ করে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক চড়াও হলো কেন?

খেলাপি ঋণ হ্রাস, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক খাতে তারল্য রক্ষা, ডলার সরবরাহ স্থিতিশীলকরণ, ব্যাংকের মালিকদের শাসনের মধ্যে রাখা, ব্যাংকে ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, এক অঞ্চলে ঋণ কেন্দ্রীভুক্তকরণ বন্ধ করা, কয়েকজন ঋণগ্রহীতার হাতে ব্যাংকের বন্দি অবস্থার নিরসন করা ইত্যাদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরুরি কাজ এখন।

বস্তুত এসব সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের হিসাবায়ন নিয়ে জটিলতা আছে। তা শুধরাতে হবে। এসব হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি কাজ। এসব কাজ মেধা দিয়ে সম্পন্ন করা দরকার। না, দেখা যাচ্ছে জরুরি কাজে শতভাগ মনোনিবেশ না করে হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তৎপর হয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ডিএআইবিবি/ ডিপ্লোমা উন্নয়নে।

প্রথমে আমি হতবাক হয়ে যাই এ সিদ্ধান্তে। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত কেন? গভর্নর পরিবর্তনের কারণে? নতুন গভর্নরকে ভুল বুঝিয়ে কেউ কি এটা করল? না, পরে একটি খবরে আসল কারণ বুঝলাম। ওই খবরে বলা হয়েছে: ‘আইবিবির আয় বাড়ানোর দায় ব্যাংকারদের ঘাড়ে’। খবরটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, ব্যাংকিং ডিপ্লোমা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আইবিবির আয় কমে গেছে।

এ জন্য আয় বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটির কাউন্সিল সদস্যরা পরীক্ষার্থী বাড়ানোর পক্ষে মত দেন। তারা বলেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ‘ডিপ্লোমা’ পাশ করা বাধ্যতামূলক করা হোক। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদাধিকার বলে গভর্নর বলেই জানি। সংশ্লিষ্ট খবরটিতে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় ২১ ডিসেম্বর ২০২২-এ। আর এর পরেই পরীক্ষা/ডিপ্লোমা পাশের এই নতুন সার্কুলার।

ভাবা যায় আইবিবির আয় বাড়ানোর জন্য এত বড় সিদ্ধান্তের কথা! এখানে মূল সমস্যাটা কী? মূল সমস্যা ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (আইবিবি)-এর আয়। তাদের আয় নেই। তাহলে করণীয়? তাদের মতে, করণীয় হলো আয় বাড়ানো। আয় কীভাবে বাড়বে? ডিপ্লোমা পাশ বাধ্যতামূলক করা হলে। এতে ব্যাংকাররা বাধ্য হবে পরীক্ষা দিতে, কোচিং করতে। আইবিবির আয় বাড়বে। চলবে তাদের সংসার। কী অদ্ভুত যুক্তি! আয় তো বাড়ানো যেত ব্যাংকগুলোর চাঁদা বৃদ্ধি করে। কাউন্সিলের সদস্যরা সবাই চাঁদা দেন আইবিবিকে।

মুরব্বি হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও বেশি চাঁদা দেওয়ার কথা। যদি তারা বার্ষিক চাঁদা বাড়িয়ে দেয়, তাহলেই তো সমস্যা শেষ হয়ে যায়। তারা তা না করে পরীক্ষা পাশ বাধ্যতামূলক করা হলো ব্যাংকারদের পরীক্ষায় বসতে বাধ্য করতে। বড়ই মুশকিলের কথা। ইস্যুটা তো এভাবে ব্যাংকারদের বাধ্য করা বিষয়ক নয়। মূল ইস্যু হচ্ছে পরীক্ষা করে দেখা কেন ব্যাংকাররা এই পরীক্ষায় বসেন না, আইবিবির সিলেবাস ঠিক আছে কিনা, পরীক্ষা ঠিকমতো নেওয়া হয় কিনা, পাশের হার কত, কেন এত ব্যাংকার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়, কেন আইবিবি তার মান-মর্যাদা রক্ষা করতে পারছে না ইত্যাদি।

ব্যাংকারদের তো স্বেচ্ছায় সেখানে যাওয়ার কথা। কেন তারা ডিপ্লোমা নিতে যাচ্ছেন না? এই ডিপ্লোমার কার্যকারিতা কী? এসব ছিল বিচার্য বিষয়। কাউন্সিলের উচিত ছিল এসব বিষয় খতিয়ে দেখা। তা না করে তারা সিদ্ধান্ত নিল উলটোটি। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের করিৎকর্মা অফিসাররা সুযোগ পেয়ে ব্যাংকারদের ঘাড়ে চেপে বসলেন। আজ থেকে ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক! একেই আমি বলছি ‘নেই কাজ তো খৈ ভাজ’।

খৈ ভাজার কাজ এখন নয়। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কাজ। সেগুলো করা দরকার। দেখা দরকার বাংলাদেশ ব্যাংক, আইবিবি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান তাদের ওপর দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা। আইবিবির বয়স দেশের স্বাধীনতার বয়সের প্রায় সমান। এ প্রতিষ্ঠানটির কেন এ দশা হলো? কেউ কেউ বলেন, এটি অবসরপ্রাপ্তদের একটি আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। যেমন হয়েছে বিআইবিএম। অথচ বিআইবিএম ও আইবিবি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বড় উদ্দেশ্য নিয়ে। বিআইবিএম করবে উচ্চতর প্রশিক্ষণ, কনসালটেন্সি। আইবিবি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ডিপ্লোমার ব্যবস্থা করবে।

বিআইবিএম এখন কার্যত একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তারা এমবিএম ডিগ্রি দিয়ে টিকে আছে। আইবিবি ধুঁকছে ‘ক্রেডিবিলিটি’ সমস্যায়। মাঝখানে এ প্রতিষ্ঠানটি বহু বদনাম কামাই করেছিল। দেখা যাচ্ছিল মেধাবী ব্যাংকাররা, যারা বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করে ব্যাংকে ঢুকছে, তারা ডিপ্লোমা পাশ করতে পারছে না। অথচ পাশ করছে তারা, যাদের পাশ করার কথা নয়। নানা গুজব রটে এ কারণে। বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর কারণে ধীরে ধীরে ব্যাংকাররা এই ডিপ্লোমার কাছ থেকে দূরে আসে। এ ছাড়া আরও কারণ আছে।

এখনকার সময়ে যারা ব্যাংকে ঢোকে, তাদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত। আগের মতো অবস্থা নেই। এমন একটা সময় ছিল যখন ‘ম্যাট্রিক পাশ’ অফিসারও ব্যাংকের এমডি হয়েছেন। এখন এ অবস্থা নেই। এমবিএ, এমকম পাশ করা ব্যাংকারে ভর্তি এখন ব্যাংক। ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং, ব্যাংকিংয়ে পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েরা ব্যাংকে ঢুকছে। এরা মেধাবী ও তরুণ। তারা অনেক আধুনিক জ্ঞানের অধিকারী।

যেসব পড়াশোনা তারা করে আসে, তার চেয়ে বেশি কিছু দেওয়ার ক্ষমতা আইবিবির নেই বলেই জানি। উচ্চশিক্ষিত এ নতুন প্রজন্মের ব্যাংকারদের জন্য রয়েছে সব ব্যাংকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। রয়েছে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। সেগুলোতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিআইবিএমে হয় উচ্চতর প্রশিক্ষণ। তারা ব্যাংকিংয়ে ‘মাস্টার্স’ও দেয়। এমন কোনো ব্যাংক নেই, যেখানে নিয়মিত প্রশিক্ষণ হয় না। অন-দ্য-জব রোটেশন হয়। বিদেশে পাঠানো হয় প্রশিক্ষণের জন্য। বিশেষ বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও আছে। গুগল, ইন্টারনেট থেকে শুরু করে এমন সব মাধ্যম রয়েছে, যেখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষা লাভ করা যায়। আগে শিক্ষক লাগত।

এখন ‘গুগলে’ গেলে সব পাওয়া যায়। মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে হয় না। এ অবস্থায় আইবিবির বিশেষ গুরুত্ব কী যে তার কাছে যেতে হবে ডিপ্লোমার জন্য? হতে পারত যদি আইবিবিতে এমন সব অধ্যাপক থাকতেন যারা জ্ঞানী, গুণী, প্রথিতযশা ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ। কিন্তু তা কি আছে সেখানে? আমার জানা নেই। আমার বিচারে প্রথমে আইবিবির ওপর গবেষণা হোক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হোক।

৫০ বছরে এর সফলতা কী, ব্যর্থতা কী, কেন এ প্রতিষ্ঠান একটা সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে পারল না, কেন তাকে ৫০ বছর পরে আয় বাড়ানোর জন্য ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিতে হয়-এসব জরুরি প্রশ্ন। বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে আইবিবির ওপর জরিপ চালানো হোক প্রথমে। একে আধুনিকীকরণ করা হোক। সিলেবাস, শিক্ষক-অধ্যাপক ঠিক করা হোক। পরীক্ষা পদ্ধতি, খাতা দেখা ইত্যাদি বিষয় পরীক্ষা করে দেখা হোক। এসব হচ্ছে জরুরি কাজ। ‘খৈ ভাজলে’ হবে না। ইত্যবসরে যে সার্কুলার বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করেছে, তা প্রত্যাহার করা হোক।

এ সার্কুলারের ফলে ব্যাংকারদের মনে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যাংকে কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। হাজার হাজার কর্মকর্তাকে পদোন্নতিবঞ্চিত করে আর যাই হোক ব্যাংক চলবে না। পরিণামে যা হবে বলে মনে হয়, তাতে মালিকরা উপকৃত হবেন। আইবিবির আয় বাড়াবে না, বাড়বে মালিকদের। তারা ‘ডিপ্লোমার’ অজুহাতে পদোন্নতিবঞ্চিত করবে হাজার হাজার কর্মকর্তাকে। আবার এমনও হতে পারে, ডিপ্লোমা পাশ করার জন্য কর্মকর্তাদের ‘খরচ’ বেড়ে যাবে, যেমন গার্জিয়ানরা করে ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য।

অতএব করণীয় কী, মাননীয় গভর্নর সাহেব তা বুঝবেন আশা করি। তিনি আরও দেখবেন প্রজাতন্ত্রের কোন কোন চাকরিতে ডিপ্লোমা নেওয়া পদোন্নতির জন্য দরকার। একবার একটি পরীক্ষায় পাশ করে আর কোনো ডিপ্লোমা না নিয়ে যদি সরকার চালানো যায়, তাহলে ব্যাংকে ডিপ্লোমা লাগবে কেন? বিষয়টি পরীক্ষা করা দরকার।

লেখকঃ ড. আর এম দেবনাথ, অর্থনীতি বিশ্লেষক, সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button