ব্যাংক ক্যারিয়ার

সরকারী ব্যাংকে জব: যোগ্যতা এবং প্রাপ্তি

ফেরদৌস কবিরঃ সরকারী ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিলেকশন প্রোসেস। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন [ফরমালি (কাগজে কলমে) এগুলোকে “রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন” বলেই ডাকা হয়। কারণ এগুলোর মিনিমাম ৫১% এর মালিকানা সরকারের। ইনফরমালি এগুলোকে “রাষ্ট্রায়ত্ত” বা “সরকারী” ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। এগুলোর তিনটি ক্যাটেগরি আছেঃ বাণিজ্যিক , বিশেষায়িত এবং অতফসিলভুক্ত (বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ৩৭(২) ধারা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত না এবং নিজ নিজ আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত)] ১২টি ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বিডিবিএল, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয়, ব্যাংক) এবং ২টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এবং হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন) এর মালিক বলতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে। সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় নীতিনির্ধারণী কার্যক্রম পরিচালনা এবং দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

এর আগে এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজ নিজ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এই নিয়োগগুলো ঘিরে চরম দুর্নীতি শুরু হওয়ার কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখের একটি গেজেটের মাধ্যমে “ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি” গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এরই প্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্টের একটি সার্কুলারের মাধ্যমে “ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়” নামে নতুন একটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করা হয় যার কাজ হলো রাষ্ট্রায়ত্ত সকল ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১ম ও ২য় শ্রেণীর (বর্তমানে ৯ম ও ১০ম গ্রেড) যাবতীয় নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সাচিবিক কার্যক্রম গ্রহণ করা। প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগের জন্য তাদের চাহিদা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়কে জানালে তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদানসহ, নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান নির্বাচন এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তদারক করে থাকে।

সরকারী ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাইভেট ব্যাংকের মতো কোন শর্টলিস্টিং করা হয় না। আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতা থাকলেই আপনি খুব সহজে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং…এ যোগ্যতাও খুবই শিথিল। সরকার অনুমোদিত যেকোন ধরণের ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স (পাসকোর্স হলে তার সাথে মাস্টার্স থাকতে হবে) থাকলেই এনাফ। এসএসসি, এইচএসসি এবং অনার্সের মধ্যে ন্যুনতম দুইটিতে ১ম শ্রেণীর (শ্রেণীর সংজ্ঞায়ন কোন একটা সার্কুলারে দেখে নিয়েন) রেজাল্ট থাকতে হবে এবং কোনটিতেই ৩য় শ্রেণী থাকতে পারবে না।

আগে আবেদন করার জন্য কোন টাকা লাগতো না। গত দুইটি বিজ্ঞপ্তি থেকে আবেদনের জন্য ২০০ টাকা করে নিচ্ছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়। এর আগে সরকারী অর্থের প্রচুর অপচয় হতো। বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩০-৪০% মাত্র। বাকী সবাই অংশগ্রহণ না করলেও পরীক্ষা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে মাথাপিছু একটা অ্যামাউন্ট ঠিকই প্রদান করতে হয় সরকারকে। এ অপচয় এড়াতেই ২০০ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা চিন্তা করে যে, যারা সিরিয়াসলি পরীক্ষায় অংশ নিতে চায় তারাই টাকা দিয়ে আবেদন করবে শুধু।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

যারা নিজের ভুলের কারণে অথবা নানারকম পারিপার্শ্বিকতার কারণে রেজাল্ট খারাপ করে ফেলেছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ।

পরীক্ষার পারফরম্যান্সটাই সবকিছু এখানে। আলাদা কোন স্কিলের টেস্ট নেওয়া হয়না এখানে। আপনি যদি নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করতে পারেন তাহলেই হবে, অতীত কোন ব্যর্থতার জন্য কোনধরণের বিরূপ প্রভাব পড়বেনা আপনার ফলাফলে। সিজিপিএ বেশী খারাপ হলে ভাইভা বোর্ডে বড়জোর জিজ্ঞেস করা হতে পারে কারণ। এর বেশী কিছু না।

নিয়োগ পরীক্ষায় ৩টি অংশ থাকে। প্রিলিমিনারি সিলেকশন ১০০ মার্কের এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নের মাধ্যমে হয়। এখান থেকে নির্বাচন করা হয় কারা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এখানে প্রাপ্ত মার্কসের ভূমিকা এ পর্যন্তই; মূল নিয়োগে এটার কোন প্রভাব নেই। লিখিত অংশটা ২০০ মার্কসের যেখানে ইংলিশ এবং ম্যাথসে আপনার দক্ষতা পরিমাপ করা হবে। এখানে যারা (সাধারণত মোট পদসংখ্যার ৮-১০ গুণ) ভালো করবেন তাদেরকে ২৫ মার্কের একটি মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার উপরে ভিত্তি করেই চূড়ান্ত ফলাফল তৈরী করা হয়।

এই নিয়োগ পরীক্ষায় মূল খেলাটা কিন্তু আপনার ইংলিশ এবং ম্যাথসে দক্ষতার উপরেই নির্ভর করবে। বাকী বিষয়গুলো (সাধারণ জ্ঞান, বাংলা, আইটি) আপনাকে প্রিলিমিনারি সিলেকশনে কিছুটা এগিয়ে রাখলেও ইংলিশ এবং ম্যাথসে পর্যাপ্ত দক্ষতা না থাকলে রিটেনে ঠিকই ধরা খাবেন। (পরীক্ষায় ভালো করার উপায় নিয়ে অনেক পোস্ট আমার প্রোফাইলে দেওয়া আছে। কষ্ট করে পড়ে নিয়েন যাদের আগ্রহ আছে জানার)

বেকারত্ব কাটানো এবং নিশ্চিত একটা চাকুরীজীবনের জন্য সরকারী ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জব কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে খুবই জনপ্রিয়। আপনার মোটামুটি স্কিল থাকলেই আপনি চোখ বন্ধ করে এখানে সিলেক্টেড হতে পারবেন। প্রচুর পদ থাকা এবং প্রতিবছরই নিয়মিত নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কারণে এ সূযোগ আরও বাড়ছে দিন দিন।

সরকারী ব্যাংক ও প্রাপ্তি
২০১৫ সালের পে-স্কেল ঘোষণার পর থেকে এমনিতেই সরকারী জবের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। এখন যে বেতন পাবেন ৯ম গ্রেডে যোগ দিলে তা দিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটানো যায়। আমার এখনও মনে আছে ১১০০০ টাকার স্কেলে যখন চাকুরী করতাম তখন চলতে কেমন কষ্ট হতো। আমার ক্ষেত্রে যদিও খুব একটা সমস্যা হতোনা কারণ কোচিং-এ ম্যাথসের ক্লাস নিয়ে বেশ ভালো একটা এক্সট্রা ইনকাম হতো আমার।

এখন ৯ম গ্রেডে (সিনিয়র অফিসার) সরাসরি যোগ দিলে মূল বেতন শুরু হয় ২৩১০০ টাকা থেকে। বাড়ী ভাড়া বাবদ পাবেন মূল বেতনের ৪৫-৫৫%। চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা। অফিসে উপস্থিত হলে লাঞ্চ ভাতা পাবেন ২০০ টাকা করে। সব মিলিয়ে ৪০০০০ ক্রস করে যায়।

বছর শেষ হলেই পাবেন ইনসেন্টিভ বোনাস। যদিও ব্যাংকভেদে আলাদা আলাদা হয় এর পরিমাণ। গতবছর এমনকি লাভ না করা স্বত্ত্বেও সোনালী, জনতা, রুপালী, অগ্রণীর এমপ্লয়িরা ৩টি মূলবেতনের সমান ইনসেন্টিভ বোনাস পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট পরিমাণ লাভ করলে যা এর চেয়ে বেশী হয়। অন্যদিকে আইসিবি’র এমপ্লয়িরা ৬-৭টা পর্যন্ত বোনাস পেয়েও থাকেন মাঝে মাঝে।

অথরিটেটিভ পাওয়ার খারাপ না। পারফরম্যান্স ভালো থাকলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হতে সময় লাগে না। আমার ইউনিভার্সিটির একজন ক্লাসমেইট অফিসার থাকা অবস্থাতেই জনতা ব্যাংকের কুমিল্লার একটা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার হয়ে গেছিলো। জেলা শহরের ব্রাঞ্চগুলোতে অবশ্য ম্যানেজার হতে প্রিন্সিপ্যাল অফিসার (৬ষ্ট গ্রেড) হতে হয়। ম্যানেজার হওয়া মানেই সমাজের উচ্চতম শ্রেণীর মানুষদের সাথে আপনার সখ্যতা হওয়া জাস্ট সময়ের ব্যাপার।

ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স করা খুব সহজ। আপনি যদি নিখাদ একজন “ফ্যামিলি গাই” হতে চান তাহলে এরচেয়ে ভালো জব খুব কমই আছে। দুই-একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া ৮ ঘন্টার অফিস মানে ৮ ঘন্টার অফিস। বাকী সময়ে অফিসের কোন ঝামেলা নিতে হবেনা আপনার।

সরকারী ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বিভিন্ন লোন সুবিধা। চাকুরী শুরুর এক বছরের পার হলেই পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানভেদে আশি হাজার থেকে এক লক্ষ টাকার কম্পিউটার লোন এবং তিন লক্ষ টাকার মোটরসাইকেল লোন। ২-৩টি ব্যাংকে ম্যারেজ লোনও দেওয়া হয় শুনলাম। তবে এই চাকুরীর সবচেয়ে ভালো সুযোগ গৃহ নির্মাণ আগাম। প্রতিষ্ঠান ভেদে চাকুরী শুরুর তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আপনি প্রায় ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার গৃহনির্মাণ আগাম।

এই সব আগাম বা ঋণের জন্যই নির্ধারিত সুদের হার বর্তমানে ৫%। এই আগামের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আপনাকে আর পিছনে তাকাতে হবেনা। আমি এরকম আনেককেই চিনি যারা এই টাকা সঠিকভাবে রোলিং করে এখন ঢাকা শহরে ২-৩ টি বাড়ির মালিক। এজিএম লেভেলে গেলে পাবেন ২৩ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মোটরকার আগাম। মোটরকার আগাম সম্পূর্ণ সূদমুক্ত (অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মোটরকার আগামের সুদ ৫%)। সাথে পাবেন প্রতিমাসে মোটরকার মেইনটেন্যান্স ভাতা বাবদ ৪০০০০ টাকা।

প্রোমোশন পলিসি ভালো। আপনার পারফরম্যান্স ভালো হলে এবং উপরের পদ খালি থাকলে অটোম্যাটিক্যালি প্রোমোশন হয়ে যাবে৷ তবে প্রতিষ্ঠানভেদে কিছু কিছু জায়গায় বাধা আছে। উদাহরণস্বরূপঃ রূপালী ব্যাংকে প্রোমোশন খুব মসৃন। অন্যদিকে সোনালী এবং জনতা ব্যাংকে প্রোমোশন পেতে হলে আপনাকে একদিকে প্রোমোশনের জন্য এলিজিবলও হতে হবে অন্যদিকে তদবির ও করতে হবে সিবিএ টাইপ এসোসিয়েশনের কাছে।

এক্সেপশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগ আছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এ চাকুরী করলে। দেশের সরকারী জব গুলোর মধ্যে এটাকে একটু আলাদা চোখে দেখা হয়। অন্যগুলোর থেকে এখানে আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণও অনেক বেশী। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চাইলেই ব্যাংকিং স্কিলগুলো অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পারবেন। তিক্ত সত্য হচ্ছে বেশীরভাগ মানুষই সরকারী জবে ঢুকতে চায় কাজের প্রেশার কম একারণে। যদিও ব্যাংকগুলোতে কাজের প্রেশার কম এটা বলার সুযোগ নেই। তবে এখানেও অনেকেই খুব স্কিলফুলি ফ্রি রাইডার হয়ে যান।

তবে যারা কাজ করতে চান, তাদের জন্য কাজের সুযোগ অবারিত৷ কেউ বাধা দেবেনা। উল্টা বেশীরভাগ মানুষই নিজের কাজ আপনার উপরে গছিয়ে দেবে এমনিতেই। সুতরাং নিজের স্কিল বাড়ানোর সুযোগ এখানে সবসময়েই থাকবে। এই স্কিল দেখিয়ে পরবর্তীতে অনেকেই চড়া বেতনে (মাসে ৩-৪ লাখ টাকা বেতনের রেঞ্জ খুবই কমন) প্রাইভেট ব্যাংকে সুইচ করেন খুব উপরের পোস্টে। প্রাইভেট ব্যাংকের মতোই চাইলেই খুব সহজে আপনার ব্যাংকিং এক্সপেরিয়েন্স দেখিয়ে কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে স্কিলড মাইগ্রেশন করতে পারবেন।

সবচেয়ে বড় কথা…সরকারী ব্যাংকে জব করলে দেশের মানুষকে সরাসরি সেবা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। ব্রাঞ্চের ম্যানেজারের পাওয়ার কম না। শুধুমাত্র সদিচ্ছা থাকলেই তৃণমূল পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের জীবন চেঞ্জ করে দেওয়া যায় যোগ্য ঋণপ্রার্থীকে হ্যাসল ফ্রি সেবা দিয়ে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও কিন্তু তাতে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখা হলো।

(এখন ডিসিশন নেন যে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকলে কোনদিকে যাবেন। তবে বর্তমান সিচুয়েশনে সুস্থ থাকাটাই সবচেয়ে আগে। সবাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার যতটুকু সম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করেন। বেঁচে থাকলে অনেক কিছুই করতে পারবেন জীবনে। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।)

লেখকঃ ফেরদৌস কবির, ডেপুটি ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ব্যাংক- দি সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বাংলাদেশ।

৩ মন্তব্য

  1. লেখার শিরোনামের সাথে ভেতরের লেখার মিল নেই কোথাও। শিরোমান হওয়া উচিত ছিল… “সরকারী ব্যাংক জবের সুবিধা ও কিছু না দিয়েই আপনি কিভাবে সব পেতে পারেন”. দেশের মানুশকে সরাসরি সেবা দেওয়ার সুযোগ পাবেন… একথাটা প্রহসন মাত্র।

  2. বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন bank এ সারকুলার হয়েছে। এইচ এসসি পাশে নাকি আবেদন করতে পারবে। আবার শুধু মাত্র science এ যারা পাশ করছে তারা নাকি আবেদন করতে পারবে।। এটা কি সঠিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button