বিশেষ কলাম

হুমকির মুখে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ

মোঃ জিল্লুর রহমানঃ সুন্দরবন ও এর আশেপাশের নদীতে একের পর এক ডুবছে পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এমনিতেই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন। তার ওপর কিছুদিন পর পর জাহাজ ডুবি উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়াচ্ছে পরিবেশবাদী গ্রুপ ও সচেতন মানুষকে, এ কারণে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন এখন স্ক্র্যাপ বা মেয়াদ উত্তীর্ণ জাহাজের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

সুন্দরবনের আশেপাশের নদীতে পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনা নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে জাহাজডুবির ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। গত ১০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম সংরক্ষিত এই বনের নদীতে তলা ফেটে এক ডজনের বেশি পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবেছে। সুন্দরবন ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্ধারকারী জলযান না থাকায় দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না ডুবে যাওয়া এসব জাহাজ ও পণ্য। ডুবে যাওয়া এসব জাহাজে থাকা ফার্নেস অয়েল, সার, কয়লা, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ক্লিঙ্কার, স্লাগ, জিপসান ছড়িয়ে পড়ছে। এসব বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ম্যানগ্রোভ এই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। ডুবে যাওয়া অনেক লাইটার জাহাজ উত্তোলন না করায় দ্রুত পলি পড়ে ভরাট হচ্ছে সুন্দরবনের নদ-নদী এবং দীর্ঘ মেয়াদি হুমকির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের মাছ, নানা প্রাণী, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ।

সম্প্রতি বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে কয়লা বোঝাই এম.ভি ফারদিন নামের একটি বাল্কহেড জাহাজ ডুবে গেছে। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর ২০২১ হাড়বাড়িয়া ৯ নম্বর এলাকায় অবস্থানরত এমভি এলিনাবি নামক বিদেশি জাহাজ থেকে ৬০০ টন কয়লা লোড করে ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়ার পথে অপর একটি বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। এর আগে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া দুবলার এলাকায় ৯ অক্টোবর, ২০২১ রাতে ১২০০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে এমভি বিউটি অব লোহাগড়া-২ নামে একটি লাইটার কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। তারও আগে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৩০ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার ৪০০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই এমভি ইফসিয়া মাহিন নামক একটি লাইটার কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এছাড়া, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাতে কয়লা বোঝাই জাহাজ এমভি বিবি-১১৪৮ ডুবে যায়। জাহাজের ভেতরে থাকা প্রায় ৭৫০ মেট্রিক টন কয়লা নদীর পানিতে মিশে গেছে। সুন্দরবনের অদূরে একের পর এক কয়লা বোঝাই এই লাইটার কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনায় আবারো হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এতে সুন্দরবনের জলজ, বনজ ও প্রাণীজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মতে, “কয়লা ভর্তি জাহাজ ডুবির ঘটনা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যর জন্যে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে। কয়লা, সার, তেল ইত্যাদি যেহেতু বিষ এবং ক্ষতিকর পদার্থ, তাই এগুলো জলজপ্রাণীর প্রজনন থেকে শুরু খাদ্যচক্রে বিরুপ প্রভাব ফেলছে। প্রতিনিয়ত কয়লা, তেল, সার ভর্তি জাহাজ ডুবলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।”

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

পিছনে জাহাজ ডুবির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের তথ্য মতে, ১৯৯৪ সালের আগষ্টে সুন্দরবনের কাছে পশুর চ্যানেলের বানিশান্তা এলাকায় একটি তেলবাহী জাহাজ ডুবে গেলে প্রথম বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে সুন্দরবন। এর বিষাক্ত তেল ২০ বর্গ কিমি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ১৯৯৮ সালের ১ জুলাই মোংলা বন্দরের কাছে একটি তেলবাহী লাইটার কার্গো জাহাজ দুর্ঘটনায় পশুর চ্যানেলে তেল ছড়িয়ে পড়লে সুন্দরবন আবারও বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। একই বছরের ১০ আগষ্ট সুন্দরবনের মাজহার পয়েন্টে অপর একটি তেলবাহী লাইটার কার্গো দূর্ঘটনায় পড়ে উচ্চমাত্রার সালফারযুক্ত তেল সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়ে।

সুন্দরবনে নদীতে পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনা আগে থেকে ঘটলেও ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে জাহাজ ডুবির ঘটনা আশংঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পূর্ব সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৬৩০ মেট্রিক টন সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল নিয়ে লাইটার জাহাজ এমভি হাজেরা-২ ডুবে যায়। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পূর্ব সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৬০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল নিয়ে তলা ফেটে লাইটার জাহাজ এমভি নয়ণ শ্রী- ৩ ডুবে যায়। একই বছরের ২৪ নভেম্বর পূর্ব সুন্দরবনের হরিণটানা এলাকায় তিনতলা বিশিষ্ট যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি শাহীদূত’ ডুবে যায়। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শ্যালা নদীতে তলা ফেটে সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামের একটি অয়েল ট্যাংকার ডুবে যায়। সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল নদ-নদী ও বনের প্রায় ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সুন্দরবন অস্তিস্ব সংকটে পড়ে। এঘটনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকন্ঠা তৈরি করে। ওই সময়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেলদের একটি দল ম্যানগ্রোভ এই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ছুটে আসে।

এরপর ২০১৫ সালের ৫ মে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের মরাভোলা নদীতে তলা ফেটে এমভি জাবালে নূর নামের সার বোঝাই একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। সুন্দরবনের নদীর পানিতে গলে ছড়িয়ে যায় ৫০০ মেট্রিক টন পটাশ সার। ওই একই বছরের ২৭ অক্টোবর সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে তলাফেটে ৫১০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমবি জিয়ারাজ নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শ্যালা নদীতে ১,২৩৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে তলা ফেটে এমভি সি হর্স -১ নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারী সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের মোহনায় ১ হাজার টন কয়লা বোঝাই এমভি আইচগাতি নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে তলাফেটে ডুবে যায়। একই বছরের ৫ জুন সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৮২৫ মেট্রিক টন সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল স্লাগ নিয়ে এমভি সেবা নামের অপর একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। এছাড়া, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ মোংলা বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীর হারবাড়িয়ায় সুন্দরবনের মধ্যে ৭৫০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই একটি লাইটার জাহাজ এমভি বিলাস ডুবে যায়।

সুন্দরবনে প্রতিটি জাহাজ জাহাজ ডুবির পর বন বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং কমিটির রিপোর্টে উঠে আসে সুন্দরবনের নদ-নদীর মূল চ্যানেল না চিনে জাহাজ চালানো, ফিটনেসবিহীন মেয়াদ উত্তীর্ণ জাহাজের চলাচল, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালকদের কারণে সুন্দরবনে ডুবোচরে জাহাজ উঠিয়ে দেয়ায় জাহাজগুলোর তলা ফেটে দুর্ঘটনা ঘটছে। আসলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তদারকির অভাবে এসব মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইটার জাহাজগুলো পণ্য পরিবহন করে আসছে। সুন্দরবন বন বিভাগ প্রতিটি জাহাজ ডুবির পর বনের জলজপ্রাণীসহ জীব বৈচিত্র্যের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে আদালতে মামলা করলেও তা কোনটিই নিষ্পত্তি হয়নি। অন্যদিকে ডুবে যাওয়া অনেক লাইটার জাহাজ উত্তোলন না করায় দ্রুত পলি পড়ে ভরাট হচ্ছে সুন্দরবনের নদ-নদী।

সুন্দরবনে একের পর এক লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যনেল ও নদ-নদীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রন না করায় বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই বনের নদ-নদী এখন ডুবন্ত জাহাজের ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। এত করে সুন্দরবনের গাছের শ্বাসমূলসহ জীববৈচিত্র্য, বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতিসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, কয়েক শত প্রজাতির মাছসহ জলজ-প্রাণির প্রজননে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সুন্দরবনে জলভাগে এভাবে পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবির কারণে জাহাজের পণ্য দ্রবিভূত হয়ে ম্যানগ্রোভ এবনের পানি দূষিত হচ্ছে। এর ফলে সুন্দরবনের কয়েক শত প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। দূর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও পণ্য ওঠানো সম্ভব হলে সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি অনেক কম হতো।

সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এটি। জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর সুন্দরবন সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অন্যতম এক আকর্ষণীয় স্থান। শৌর্য-বীর্যের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রিয় আবাসভূমি এটি। ঘুর্ণিঝড় সিডর, আইলা, ফনী ও বুলবুলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবেলা করে সগৌরবে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে সুন্দরবন, যা দেশের অহঙ্কার। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম মানগ্রোভ বনভূমি আমাজনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস আর সুন্দরবনকে বলা হয় বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার ফুসফুস। কিন্তু সেই সুন্দরবন মনুষ্য সৃষ্ট নানা অবহেলায় আজ জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ চরম হুমকির মুখে। কখনও অগ্নিকাণ্ডে, কখনও জাহাজ ডুবি আবার কখনও নানা অজুহাতে নির্বিচারে গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে বনটি।

গবেষকরা বলছেন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার অন্যতম শক্তি সুন্দরবন। সিডর, আইলা ও বুলবুলের সময় সুন্দরবন মানববর্মনের ন্যায় রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করেছে অথচ মানব সৃষ্ট কিছু কারণে সুন্দরবন ও এরকম প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। আর সুন্দরবনের পাশে নির্মিতব্য রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া সুন্দরবন। এভাবে চলতে থাকলে একমাত্র প্রাকৃতিক বর্মন সুন্দরবন হারিয়ে যেতে বেশি দিন সময় লাগবে না। এজন্য সকলকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলার সাফল্য ধরে রাখতে হলে সুন্দরবন রক্ষায় জাহাজ চলাচল বন্ধ সহ আমাদেরকে আরও সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।

মোঃ জিল্লুর রহমানঃ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ফ্রিল্যান্স লেখক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button