ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম

ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পাস মার্ক ৪৫ হচ্ছে

ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সমমানের পদ থেকে পদোন্নতি পেতে ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ব্যাংকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকারদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকাররা বলছে, নির্দেশনা অপ্রয়োজনীয়, নিবর্তনমূলক ও অবিবেচনা প্রসূত।

এই বিতর্ককে সামনে রেখে ব্যাংক পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাস বাধ্যতামূলক রেখে পরীক্ষা পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরীক্ষায় পাস মার্ক ৫০ এর পরিবর্তে ৪৫ করা হচ্ছে। সিলেবাসের আরও পরিবর্তন ও পরিমার্জন হবে। প্রথম পর্বে অ্যাকাউন্টিং থাকছে না। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও খাতার মূল্যায়নে গুনগত মান বৃদ্ধি করা হবে। তবে পরীক্ষার হলে নকল প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও দেখুন:
◾ ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অ্যাকাউন্টিং থাকছে না

জানা যায়, ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সমমানে পদোন্নতির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কর্মকর্তা ও সমমানের পদ থেকে মহাব্যবস্থাপক ও সমমানের পদ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত মোট নম্বরের মধ্যে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পাসের জন্য নির্দিষ্ট নম্বর বরাদ্দ রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও নির্দেশ দেওয়া হয় সার্কুলারে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে জোর দেন। তিনি বলেন, ডিপ্লোমায় সনদপ্রাপ্ত ব্যাংকারদের অর্জিত জ্ঞান ও মননশীলতা আর্থিক খাতের উন্নতি ত্বরান্বিত করবে।

অন্যদিকে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করাকে নিপীড়ন বলে মনে করছে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলছে, ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক অপ্রয়োজনীয়। একই সঙ্গে কারিকুলাম ও পরীক্ষা ত্রুটিমূলক। অনেকটা পোশাকি ও তত্ত্বমূলক। যা বাস্তব ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কহীন।

এ বিষয়ে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী মো. শফিকুর রহমান বলেন, প্রমোশনের ক্ষেত্রে আগে ডিপ্লোমার জন্য নম্বর বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন সার্কুলার দিয়ে এটা বাধ্যতামূলক করা হল। বিআইবিএম’এ একটি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। এরপরও যদি মনে করে একজন কর্মকর্তার ট্রেনিং প্রয়োজন তখন তাকে ব্যাংকের নিজস্ব একাডেমি ও বিআইবিএম’এ নির্দিষ্ট কোর্স করানো হয়। এ সব বিবেচনায় আমরা বলছি ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বিকল্প নেই। তাই যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা বহাল থাকবে। এ নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি আছে। তবে ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যেমন ডিপ্লোমার প্রথম পর্বে অ্যাকাউন্টিং নামের সাবজেক্টটি আর থাকবে না। প্রথম পর্বে ব্যাংকিং সুশাসন নিয়ে আলোকপাত করা হবে। অ্যাকাউন্টিংয়ের বিষয়টি দ্বিতীয় পর্বে থাকতে পারে। তাছাড়া পরীক্ষা পদ্ধতি এবং সিলেবাস নিয়ে যেসব পরিবর্তন আসবে সে সম্পর্কে খুব দ্রুতই জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button