কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট সহজ করল
বিদেশ ভ্রমণে বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট সহজ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ যতবছরের থাকবে তত বছরের জন্য এক সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট করা যাবে। অর্থাৎ যদি কারও পাসপোর্ট এর মেয়াদ পাঁচ বছর থাকে তাহলে তিনি পাঁচ বছরের জন্য একসঙ্গে ৬০ হাজার ডলার এনডোর্স করাতে পারবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (এফই সার্কুলার নং-৩০) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সকল অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও দেখুন:
◾ ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের ১৯ কোটি টাকা উধাও
উক্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক সংশ্লিষ্ট নিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তির অনুকূলে তার পাসপোর্টের মেয়াদ থাকাকালীন আন্তর্জাতিক কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় ও নির্ধারণ করতে পারবে। তবে এডি ব্যাংককে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হবে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
বাৎসরিক সীমা ১২ হাজার মার্কিন ডলার অতিক্রম করতে পারবে না। ভ্রমণ কোটার অব্যবহৃত অংশ পরবর্তী বছরে স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া বিদেশে চাকরি ও ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে কিংবা শিক্ষার জন্য বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদকালীন এনডোর্সমেন্ট করা যাবে না বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে। তবে সম্পূরক কার্ডধারী ব্যক্তি তার ভ্রমণ কোটার আওতায় এ সুবিধা পাবে।
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে জানুয়ারি ১ তারিখ থেকে ডিসেম্বর ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হয়ে থাকে। তবে নির্দিষ্ট ভ্রমণ পরবর্তী বছরের মধ্যে পড়লে ডিসেম্বর ৩১ তারিখ সময় পর্যন্ত একটি কোটা এবং জানুয়ারী ১ তারিখ থেকে অন্য বছরের কোটা ব্যবহার করতে হবে।
পাসপোর্টের মেয়াদ থাকাকালীন বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় বা নির্ধারণ সুবিধা গ্রহণ করা না হলে কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়ের ক্ষেত্রে ঘটনাত্তর এনডোর্সমেন্ট করার সুবিধা সার্কুলারে রাখা হয়েছে।
যৌক্তিক কারণে কার্ডের মাধ্যমে ভ্রমণ ব্যয় বাৎসরিক কোটা সীমা অতিক্রম করলে ওই অর্থ গ্রাহকের নিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি দ্বারা সমন্বয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ জাতীয় হিসাব না থাকলে পরবর্তী বছরের ভ্রমণ কোটার সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার সমন্বয় করা যাবে।
এছাড়াও উক্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করার রুটিন সহ বিদেশ ভ্রমণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা রিলিজ সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। অনুগ্রহ করে উপরোক্ত নির্দেশাবলী অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
পাসপোর্টের মেয়াদ থাকাকালীন বৈদেশিক মুদ্রা আন্তর্জতিক কার্ডের মাধ্যমে ছাড়করণের সুবিধা বিদেশগামী যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করবে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।