ইসলামের দৃষ্টিতে হুন্ডি ব্যবসা কী বৈধ?
হুন্ডি (Hundi) বাণিজ্যিক আদান প্রদান বা ঋণ সংশ্লিষ্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত লিখিত এবং শর্তহীন দলিল, যার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে নির্দেশিত পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়। এই ব্যবস্থা মুগল আমলে পরিচিত লাভ করলেও কিন্তু ব্রিটিশ আমলে জনপ্রিয়তা পায়। এখনও প্রবাসী চাকুরিজীবীরা একে আড়ালে ব্যবহার করছেন।
এছাড়া হুন্ডি (Hundi) ব্যবসা বলতে যেটা আমরা জানি সেটা হচ্ছে, অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ চালান দেওয়া। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, অনেক দেশেই এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশের নাগরিকদের উচিত সেটা মেনে চলা।
কারণ, এটা এখন অশিষ্ট আচরনে পরিণত হয়েছে। এই হুন্ডির মাধ্যমে বড় বড় চোরাচালান করে তারা অবৈধভাবে এর সুযোগ নিচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এবং নানা কল্যাণ সাধনের জন্য হুন্ডি ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
একজন মুসলমানের উচিত এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা। যদিও হুন্ডি ব্যবসা সম্পর্কে হাদিসে কোনো বক্তব্য আসেনি বা এ ব্যবসা অবৈধ, সেটা উল্লেখ করা হয়নি, তথাপি এটি নিষিদ্ধ। কারণ অনেক জিনিস, যেটা সমাজের জন্য যখন অমঙ্গল হয়, তখন সমাজের সকলে মিলে বা মুসলিম প্রশাসন যদি সেটাকে নিষিদ্ধ করে, তাহলে সেটা আমাদের সবার মেনে চলা উচিত।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলব, যেহেতু হুন্ডি ব্যবসা অথবা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর নিষেধ করা হয়েছে, তাই আমাদের বৈধ উৎসের দিকে যেতে হবে, বৈধভাবেই টাকা হস্তান্তর করতে হবে।