ব্যবসা ও বাণিজ্য

ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত কতিপয় প্রশ্ন ও উত্তর

যেকোন বৈধ ব্যবসার জন্য নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক অনুমতি নেওয়ার বৈধ কাগজ হলো ট্রেড লাইসেন্স। অর্থাৎ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপনি কোন ভাবেই ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না। আর ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিস্তারিত জ্ঞানের অভাবে একটা ভীতি কাজ করে অনেকের মধ্যে। চলুন জেনে নিই ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত কতিপয় প্রশ্ন ও তার উত্তরসমূহ।

প্রশ্ন ১: ট্রেড লাইসেন্স কি এবং কেন প্রয়োজন?
উত্তর: নাম শুনেই নিশ্চই বুঝতে পারছেন ট্রেড লাইসেন্স মানে ব্যবসার অনুমতি পত্র। আপনি যদি একজন নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, দেশের আইন অনুসারে ব্যবসা পচিালনা করার জন্য আপনাকে স্থানীয় কর্তপক্ষের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। সেটাই ট্রেড লাইসেন্স। ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স অপরিহার্য।

প্রশ্ন ২: স্থানীয় কতৃপক্ষ বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: স্থানীয় সরকারকে বুঝায়। সাধারণত মেট্রো সিটিতে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভায় পৌর কতৃপক্ষ আর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে।

প্রশ্ন ৩: ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কি ব্যবসা করা যায় না?
উত্তর: এই প্রশ্নে এক কথায় উত্তর হবে ‘না’। আপনি যদি ছোটো খাটো ব্যবসা করতে চান, পান দোকান, টি স্টল বা স্বাধীন ছোট পেশা যেমন রাজমিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, কার্পেন্টার, পাইপ ফিডার যেগুলোর জন্য অফিস প্রয়োজন হয় না সেক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হবে না। তবে আপনার যদি ট্রেড লাইসেন্স না থাকে তাহলে আপনি বড় কোনো কোম্পানীর কাজ পাবেন না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

তাছাড়া নৈতিক ভাবেও লাইসেন্স ছাড়া পেশা বা ব্যবসা পরিচালনা করা ঠিক নয়। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। মনে রাখবেন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এবং আইনজীবিদের জন্যও ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। তবে আপনি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে কেউ আপনাকে বাঁধা দিতে আসবে না। কিন্তু আইনগতভাবে সেটা সঠিক নয়।

প্রশ্ন ৪: কোন কোন ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়?
উত্তর: বলতে গেলে সব ব্যবসা ও সা¦ধীন পেশার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়। এমনকি ফুটপাতে বসে যিনি তালপাতার পাখা বিক্রি করবেন। অথবা যিনি ঠেলাগাড়ি চালান তার জন্যও আইন মোতাবেক ব্যবসায়িক লাইসেন্স নিতে হবে। আমাদের দেশে অনেকে জিনিসটাকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু নামকরা কোম্পানীগুলো ট্রেড লাইসেন্স নেই এমন কারো সাথে ব্যবসা করতে চায় না।

প্রশ্ন ৫: ট্রেড লাইসেন্স আর কি কি কাজে লাগে?
উত্তর: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি প্রশ্ন। আমাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড যেমন ভোটদান ছাড়াও নানা কাজে লাগে তেমনি ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসায়িক নানা কাজে লাগে। বলতে গেলে প্রতি পদে পদে এর প্রয়োজন হয়।
ক. মনে রাখবেন ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব দিয়ে আপনি ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপনি ব্যবসায়িক হিসাব বা সিডি একাউন্ট বা চলতি হিসাব খুলতে পারবেন না। এক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স এর বিকল্প নেই।
খ. অনেক সময় ব্যবসার শুরুতে বা কোনো পর্যায়ে ব্যাংক লোন দরকার হতে পারে। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপনি ব্যাংক লোন এর কথাই ভাবতেই পারবেন না।
গ. ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা করতে হলে তারা আপনার ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা তা জানতে ও দেখতে চাইবে।
ঘ. কোনো ব্যবসায়িক এসোসিয়েশন এর সদস্য হতে হলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স অবশ্যই লাগবে।
ঙ. এছাড়া ভ্যাট ও টিন এর জন্যও ট্রেড লাইসেন্স অপরিহার্য। তাছাড়া আরো অনেক কাজে এর প্রয়োজন পড়ে।

প্রশ্ন ৬: ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে?
উত্তর: খুব বেশী কিছু নয়। তিন কপি পার্সপোর্ট সাইজ ছবি, যদি একাধিক অংশীদার থাকেন তাহলে প্রত্যেকের তিন কপি করে ছবি। ভোটার আইড কার্ড এর কপি এবং যে বাড়িতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে বা অফিস রয়েছে তার বাড়িওয়ালার সাথে সম্পাদিত চুক্তির ফটোকপি। যে চুক্তিটি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পাদিত হয়েছে। এই তিনটি জিনিস অতি দরকারী। আর বর্তমানে ইউটিলিটি বিলের কপি জমা দিতে হয় অথবা সার্ভিস চার্জ এর রশিদ। আমাদের দেশে অনেক কিছুই লাগে আবার অনেক কিছু ছাড়াই অনেক কিছু হয়ে যায়।

প্রশ্ন ৭: ট্রেড লাইসেন্স খরচ কেমন?
উত্তর: ব্যবসা অনুসারে ট্রেড লাইসেন্স এর খরচ। যেমন ঠেলাওয়ালার জন্য হয়তো ২শ টাকা, আর আমদানী রপ্তানী এর জন্য তা হয়তো ২০ হাজার টাকা। তবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এর অধীনে ৫শ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত রেট আছে। ই-কমার্সের যেহেতু কোনো ক্যাটাগরি নেই তাই সফটওয়ার, আইটি বা জেনারেল সাপ্লায়ার হিসেবে লাইসেন্স নিতে হয়। এজন্য সরকারী ফিস ৮৫০ থেকে ১৭০০ কিন্তু আপনার খরচ পড়বে কম বেশী ৪ হাজার। আর কোন ফার্মের সাহায্য নিলে ৫ হাজার।

প্রশ্ন ৮: ই-কমার্স ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য খরচ কেমন?
উত্তর: আসলে আমাদের সব কিছু একটু ব্যাকডেটেড, আমাদের ব্যবসায়িক তালিকায় এখনো ই-কমার্স যুক্ত হয়নি। এই ক্যাটাগরিতে এখনো লাইসেন্স দেয়া হয় না। তবে আইটি অথবা সফটওয়ার ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স নেয়া যেতে পারে। এজন্য দাপ্তরিক খরচ ১১শ টাকা থেকে ১৫শ কিন্তু অন্যান্য খরচ যেমন সাইনবোর্ড ট্যাক্স, ফিজিক্যাল ভিজিট ট্যাক্স আর সংশ্লিস্ট খরচ মিলিয়ে এটা ৪-৫ হাজারে গিয়ে ঠেকে।

প্রশ্ন ৯: কোথায় গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বানাবো?
উত্তর: আপনি সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভায় গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বানাতে পারেন। তবে আজকাল অনেক কনসালটেন্সি ফার্ম আছে যারা নির্দিস্ট সার্ভিস চার্জ এর বিনিময়ে এসব কাজ করে দিয়ে থাকে। নিজে ঝামেলা পোহাতে না চাইলে কোনো ফার্মের হেল্প নিতে পারেন।

প্রশ্ন ১০: সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এর সাথে আর কি কি প্রয়োজন?
উত্তর: প্রথমত আপনি একটি অফিস ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন। তারপর আপনার প্রয়োজন হবে।
ক. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে এই টিআইএন বা টিন সার্টিফিকেট নেয়া। এটা আজকাল খুব সহজ। বিনা খরচে ইন্টারনেট এ ফরম ফিলাপ করে টিন সার্টিফিকেট নেয়া যায়। তবে কনসালটেন্সি ফার্ম ধরলে তারা হাজার খানেক টাকা সার্ভিস চার্জ নিতে পাওে টিন বাবদ।
খ. এরপর যে জিনিসটি সবচে বেশী প্রয়োজন তা হলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা। সব ব্যাংকে এই একাউন্ট খোলা যায়। কোনো ব্যাংকে গিয়ে আপনি বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
গ. এরপর ক্ষেত্র বিশেষে মূসক বা ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন দরকার হয়। এক্ষেত্রে সরকারী ফিস ১ থেকে ৫ হাজার টাকা হলেও বাস্তবে কাজ করতে গেলে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগে। যাদের আমদানী রফতানীর ব্যবসা আছে তাদের আরো বেশী টাকা লাগেত পারে।

প্রশ্ন ১১: ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: ক. ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসা ও পেশার অনুমতি আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন হলো ব্যবসা এনজিও সমাজসেবা প্রভৃতির জন্য।
খ. ট্রেড লাইসেন্স একটা নির্দিস্ট এরিয়ায় কার্যালয় স্থাপনের জন্য আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন সারা বাংলাদেশের জন্য।
গ. ট্রেড লাইসেন্স হলে ব্যবসার করার জন্য কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন এর প্রয়োজন নেই কিন্তু কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন হলেও ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়।
ঘ. ট্রেড লাইসেন্স আপনি প্রতিষ্টানের যে নাম দেবেন তা আবার অন্য কেউ দিতে পারবে আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন করলে একই নামে আর কোনো ব্যক্তি কোম্পানী খুলতে পারবে না। যদি খোলে আপনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
ঙ. ট্রেড লাইসেন্স এর খরচ ব্যবসার ক্যাটাগরি অনুসারে আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন এর খরচ কোম্পানী কত টাকা বিনিয়োগ করবে তার উপর। কোং রেজি খরচ ৩০,০০০ থেকে শুরু।
চ. ট্রেড লাইসেন্স সাধারণ স্থানীয় ব্যবসার নিয়ম নীতির উপর চলে আর কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন এ কোম্পানী গঠিত হয় কোম্পানী আইন অনুসারে। এর নির্দিস্ট ফরমম্যাট রয়েছে।
ছ. ট্রেড মার্ক: আর আলদাভাবে পন্য বা ব্রান্ড রেজিস্ট্রেশন এর জন্য ট্রেড মার্ক নিবন্ধন করতে হয়। যাতে সে নাম এবং মার্কটি অন্যকেউ ব্যবহার করতে না পারে। যেমন বাটা কোকাকোলা এগুলো কেউ হুবহু একই রকম নাম এবং লেখা ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রশ্ন ১২: ব্যবসা শুরু ৩/৬ মাস পর ট্রেড লাইসেন্স করলে চলবে কি?
উত্তর: এটা নির্ভর করছে আপনার ব্যবসার পরিধি কতটুকু তার উপর। আপনার পাড়ার অনেক দোকানদার ১০ বছর পরেও করেছে। কেউ হয়তো সারাজীবনও ট্রেড লাইসেন্স করেনি। আপনি যদি সাধারণ মানুষের সাথে কাজ করেন তাহলে জরুরী নয়। বড় পার্টিও সাথে কাজ করতে গেলে জরুরী। তবে ট্রেড লাইসেন্স থাকলে সহজে মানুষ বিশ্বাস করবে।

আমি বলবো আপনি কাজ শুরু কওে দিনে যখনি প্রয়োজন হবে। ট্রেড লাইসেন্স করে নেবেন। আবারো বলছি ট্রেড লাইসেন্স একটা আইনগত ব্যাপার। বিয়েতে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। যারা করে না তাদেরকে পুলিশ এ্যারেস্ট করে কি? কিন্তু কাবিননামাটা একসময় সত্যি সত্যি দরকার হয়ে পড়ে। তাই মানুষ নিজের গরজেই এটা করে।

প্রশ্ন ১৩: আমি ব্যবসা করি রংপুরে, কিন্তু কাস্টমার সব ঢাকায়। রংপুর থেকে ঢাকায় মাল পাঠতে হবে? আমাকে কোথায় এবং কয়টা ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে।
উত্তর: যেখানে আপনার অফিস বা ব্যবসার ঠিকানা শুধু সেখানেই ট্রেড লাইসেন্স নেবেন। তবে ঢাকায় যদি আরেকটা অফিস নেন। তখন এখানে আরেকটা ট্রেড লাইসেন্স এর প্রশ্ন আসবে। কিন্তু ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স কোনো বাঁধা নয়।

প্রশ্ন ১৪: ট্রেড লাইসেন্স করার পর কোনো প্রয়োজনে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় কি?
উত্তর: ফি প্রদান ও এফিডেবিটের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য পরিবর্তণ করা যায়।

প্রশ্ন ১৫: একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে কি বিভিন্ন ধরনের পন্য বা ব্যবসা করা যায়?
উত্তর: না একটি ট্রেড লাইসেন্স শুধু মাত্র একটি ব্যবসার জন্যই প্রযোজ্য অর্থাৎ যে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্সটি করা হয় শুধু সেই ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা যাবে অন্য কোন ধরনের ব্যবসার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। নতুন কোন ব্যবসা শুরু করলে তার জন্য নতুন ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। তবে বিভিন্ন রকমের পন্য বিক্রি করা যায়। সেক্ষেত্রে ক্যাটাগরি হবে জেনারেল সাপ্লায়ার।

প্রশ্ন ১৬: একই নামে কি একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ পারে, তবে যদি আপনি চান যে আপনি যে নামে প্রতিষ্ঠান করবেন সে নামে যেন আর কেউ না করে, অথবা আপনার নামটা যেন কারো সাথে মিলে না যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে কোম্পানী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তখন প্রথম তারা তল্লাশি দিয়ে দেখে নেবে যে আপনার প্রস্তাবিত নামে আরো কোনো কোম্পানী আছে কিনা?

প্রশ্ন ১৭. ট্রেড লাইসেন্স কি দ্বৈত হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ পারে, সেক্ষেত্রে দুজনেরই ছবি ও তথ্য দরকার হবে।

প্রশ্ন ১৮: একজন ব্যক্তির কি একাধিক ট্রেড লাইসেন্স থাকতে পারে?
উত্তর: একজন ব্যক্তির একাধিক ট্রেড লাইসেন্স থাকতে পারে, এবং সেটা একই ঠিকানায় হতে পারে এবং একাধিক ঠিকানায় হতে পারে।

প্রশ্ন: ১৯: গ্রাম থেকে ই-কমার্স চালালেও কি ট্রেড লাইসেন্স লাগবে?
উত্তর: যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো ব্যবসার আইনগত বৈধতার জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। আপনি যদি লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করেন সাধারণত কেউ আপনাকে দাবড়াবে না। তবে লাইসেন্সটা থাকলে বিপদে আপদে কাজে লাগবে। তবে গ্রামে কিন্তু খুব অল্প টাকা দিয়েও ট্রেড লাইসেন্স করা যায়।

প্রশ্ন ২০: একটি ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ কতদিন, মেয়াদ পূর্ণ হলে কি করতে হবে?
উত্তর: একটি ট্রেড লাইসেন্স এর মেয়াদ এক অর্থ বছর। মেয়াদ শেষ হলে নবায়ন ফি দিয়ে আপনি নবায়ন করে নিতে পারবেন। তবে নবায়ন না করলে যে আপনার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়। বিষয়টা হলো নবায়ন করলে আপনার একটা আইনগত বৈধতা থাকলো।

প্রশ্ন: ২১: পুরনো ট্রেড লাইসেন্স থাকার সুবিধা কি?
উত্তর: অনেক সুবিধা রয়েছে, আপনি প্রমান করতে পারবেন যে আপনি একজন পুরনো ব্যবসায়ী, লোন নেয়ার সময় কাজ দেবে। আরো অনেক সুবিধা রয়েছে।

প্রশ্ন: ২২: এক এলাকার ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে কি অন্য এলাকায় ব্যবসা করা যায়?
উত্তর: আইনগতভাবে করা যায় না। তবে বাংলাদেশে এটা কমন বিষয়, আবাসিক এলাকায় যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। তাদের কারো ঠিকানা সে এলাকা নয়। সাধারণত সিটি কতৃপক্ষ আবাসিক এলাকার নামে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে না বলে তারা অন্য ঠিকানা দিয়ে লাইসেন্স নিয়ে থাকেন।

প্রশ্ন: ২৩: কারা ট্রেড লাইসেন্স করতে পারবেন?
উত্তর: নারী, পুরুষ উভয়ই ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে তবে অবশ্যই তাকে কোন না কোন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে হবে। বয়স ১৮ বছর এর উপরে হতে হবে।

প্রশ্ন: ২৪: একটি ট্রেড লাইসেন্স কি একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেন?
উত্তর: না একটি ট্রেড লাইসেন্স শুধু মাত্র একজন ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তা ব্যবহার করতে পারবেন অর্থাৎ যে ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তার নামে ট্রেড লাইসেন্সটি করা হয়েছে এটি শুধু তার জন্যই প্রযোজ্য। এটা কোনভাবেই হস্তান্তর যোগ্য নয়।

প্রশ্ন: ২৫: ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে এবং কোথায় থেকে নবায়ন করতে হয়?
উত্তর: যে অফিস থেকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়, সেখান থেকেই ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা হয়। ট্রেড লাইসেন্স সাধারণত ১ বছরের জন্য ইস্যু করা হয়। প্রতি বছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। পুরানো ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

৩ মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button