চলতি মূলধন ঋণ সীমা বর্ধিতকরণ সংক্রান্ত সার্কুলার

বৈশ্বিক বাজারে সম্প্রতি উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের উপকরণ ও পরিবহন খরচ বেড়েছে। এতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে আগের থেকে বেশি অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ার ফলে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাড়তি অর্থের সরবরাহ নিশ্চিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চলতি মূলধন ঋণসীমা উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২৭ এপ্রিল, ২০২২) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৭) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় চলতি মূলধনের জন্য ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঝুঁকি ও ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবসার চলতি মূলধনে বিনিয়োগের আর কেনা সীমা থাকছে না।

নির্দেশনায় বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। ফলে ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এরই মধ্যে মঞ্জুরি করা চলতি মূলধন ঋণসীমার সর্বোচ্চ ব্যবহার সত্ত্বেও চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য পরিশোধ এবং উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আমদানি-রপ্তানিসহ চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখা এবং আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে ব্যাংক কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে এরই মধ্যে মঞ্জুরিকৃত চলতি মূলধন ঋণসীমা প্রয়ােজনের নিরিখে অন্তর্ব্তীকালীন সময়ের জন্য ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ ঝুঁকি নিরসন করে এবং গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা যাচাইপূর্বক যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানোর জন্য আপনাদের নির্দেশনা দেওয়া হলাে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দেওয়া হলাে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।