শেয়ার বাজার

শেয়ার বাজার ও মুদ্রা বাজারের মধ্যে পার্থক্য কি?

শেয়ার বাজার ও মুদ্রা বাজারের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। নিম্নে শেয়ার বাজার ও মুদ্রা বাজারের মধ্যে পার্থক্য সমূহ তুলে ধরা হলো।

১. সংজ্ঞাগত পার্থক্য
সাধারণ অর্থে যেখানে শেয়ার কেনাবেচা হয় তাকে শেয়ার বাজার বলে। শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন সসীম দায়বদ্ধ কোম্পানি (পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি) যারা স্টক একচেঞ্জে নিবন্ধিত তাদের শেয়ার বেচা কেনা করা হয়। সিকিউরিটি মার্কেটকে ব্যাপক অর্থে পুজিবাজারও বলা হয়। শেয়ার বাজারে সরকারী ও বেসরকারী এবং বিভিন্ন প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানির শেয়ার- এর লেনদেন হয়ে থাকে।

অন্যদিকে মুদ্রা বাজার একটি দেশের আর্থিক বাজারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর্থিক দলিলের ব্যবসায় পরিচালনার জন্য মুদ্রা বাজারের বিভিন্ন অংশকে একীভূত করা হয়। বাজার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণত কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই। যে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুদের বিনিময়ে স্বল্পমেয়াদি তহবিল গ্রহণ এবং প্রদান করে ঐ সমস্ত কার্যক্রম দ্বারা মুদ্রা বাজার আগাগোড়া পরিবেষ্টিত। মুদ্রা বাজারের অংশ হিসেবে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ চাহিদার ভিত্তিতে তাদের শাখার মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করে থাকে।

২. সময় ও পরিধিগত পার্থক্য
শেয়ার বাজার ও মুদ্রা বাজারের মধ্যে বিশেষ যে পার্থক্যটি বিদ্যমান সেটি হল সময় পরিধীর পার্থক্য। মুদ্রা বাজার হচ্ছে সল্পকালের বাজার, সেখানে খুবই অল্প সময়ের জন্য লেনদেন হয়। যেমন: ইন্টার ব্যাংক মানি মার্কেট এ বাজারের সুদ বা লাভ নির্ভর করে মুদ্রার চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। এখানে অনূর্ধ এক বছরের জন্য পুজি সরবরাহ করা হয়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

অন্যদিকে শেয়ার বাজার বা পুজি বাজারে বিনিয়োগ হবে বেশ কিছু সময়ের জন্য। বিনিয়োগ করে কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করা হয় এবং কোম্পনি লাভ করলে বছর বছর “ডিভিডেন্ড” দেবে, বোনাস শেয়ার দেবে। এই বাজারে ঝুঁকির বিষয়টি বেশি থাকে। ঝুঁকি উঠা-নামা করে থাকে শেয়ারের বাজার দরের উত্থান-পতন থেকে। এখানে ৫ বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের জন্য পূজি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button