শেয়ার বাজার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই)

বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ মাধ্যমিক শেয়ারবাজার হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। ১৯১৩ সালের কোম্পানির আইনের আওতায় এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৫৪ সালে নিবন্ধিত হয়ে East Pakistan Stock Exchange Association Ltd. নামে ১৯৫৬ সালে যাত্রা শুরু করে। ১৯৬২ সালে এ প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “East Pakistan Stock Exhange Ltd.” এবং ১৯৬৪ সালে তা পুনরায় পরিবর্তিন করে বর্তমান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নামকরণ করা হয়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ১৯৭১ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ছিল ১৯৬টি যার পরিশোধিত মুলধনের পরিমাণ ছিল ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা। বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্চ এর কোম্পানির সংখ্যা হলো ৫৬৩টি। এটি ১৮ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমেই শুধুমাত্র এ প্রতিষ্ঠানের সদস্য হওয়া যায় এবং লেনদেনে অংশগ্রহণ করা যায়। সাধারণত শেয়ারবাজারের গতি বা সার্বিক অবস্থা বুঝার জন্য সূচক ব্যবহার করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তিনটি সূচক ব্যবহার হয়। যেমন-
ক. ডিএসই ব্রড সূচক
খ. ডিএসইএস সূচক এবং
গ. ডিএসই ৩০ সূচক।

ডিএসই পরিচিতিঃ
১৯৫২ সালে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জে পাকিস্তানি কোম্পানির শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ লেনদেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আলাদা একটি স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় সরকারের সামনে। তখন পাকিস্তানের শিল্প সংক্রান্ত প্রাদেশিক পরামর্শক কাউন্সিল পূর্ব পাকিস্তানে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠন করে। ১৯৫৩ সালের ১৩ই মার্চ অনুষ্ঠিত ওই কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পূর্ব বাংলার সরকারের বাণিজ্য, শ্রম এবং শিল্প বিভাগের সচিব এ খলিলি’র সভাপতিত্বে ইডেন ভবনের কেবিনেট রুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তখন কেন্দ্রীয় সরকার ঢাকায় করাচি স্টক একচেঞ্জের একটি শাখা খোলার প্রস্তাব করে, কিন্তু সভায় তা সমর্থন পায়নি। তার বিপরীতে পূর্ব পাকিস্তানে একটি স্বতন্ত্র স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার পক্ষেই জোরালো মত উঠে আসে সভায়। সভায় এটা প্রস্তাব করা হয়েছিল যে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উচিত তাদের সকল সদস্যের জন্য ২০০০ রুপি করে প্রস্তাবিত স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদে প্রতিটি কার্ড কিনে নেয়া। এটা মনে করা হয়েছিল যে এক্সচেঞ্জের অবস্থান ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ কিংবা চট্টগ্রাম হওয়া উচিত। এক্সচেঞ্জ গঠন করার জন্য জনাব মেহদি ইস্পাহানিকে আহ্বায়ক করে প্রদেশের শিল্প ও বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠিত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সাংগঠনিক কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ চেম্বার সভার মতামত ও তথ্য সংস্থাটির সদস্য এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়, তারা প্রস্তাবিত স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনে আগ্রহী কিনা। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালের ৭ জুলাই চেম্বারের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রায় ১০০ ব্যক্তি ঐ এক্সচেঞ্জ গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করে। ঐ সভার আহ্বায়ক জনাব এম মেহদি ইস্পাহানিসহ মোট আটজন ব্যক্তিকে এক্সচেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি তাদের ঐ এক্সচেঞ্জের মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন তৈরীরও অধিকার দিয়ে কোম্পানিজ অ্যাক্ট ১৯১৩ এর অধীনে এটিকে নিবন্ধিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়। এক্সচেঞ্জের অন্য ৭ জন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন- জে এম এডিসন-স্কট, মোহাম্মদ হানিফ, এ সি জৈন, আবদুল জলিল, এ কে খান, এম সাব্বির আহমেদ এবং সাখাওয়াত হোসেন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, এক্সচেঞ্জের সদস্য ফি হবে ২০০০ রুপি এবং মাসিক চাঁদা হবে ১৫ রুপি। এক্সচেঞ্জের ১৫০ জনের বেশি সদস্য থাকা যাবে না। ১৯৫৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত চেম্বারের পৃষ্ঠপোষকদের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন তৈরীর জন্য ওরর ডিগনাম এন্ড কোং কে আইনজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ করা হবে এবং এই মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশনের মধ্যে অন্যান্য দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের প্রচলিত নিয়মগুলো অন্তর্ভূক্ত করে তার সঙ্গে স্থানীয় পরিবেশ বিবেচনায় আনা হবে।

আটজন পৃষ্ঠপোষক নিয়ে ১৯৫৪ সালে গঠন করা হয় ইস্ট পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড। নব গঠিত দি ইস্ট পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন সাদ্রি ইস্পাহানী। ১৯৫৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর স্টক এক্সচেঞ্জের আনুষ্ঠানিকভাবে লেনদেন শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিভ ভবনে। ১৯৬২ সালের ২৩ শে জুন একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে এটির পুনঃনামকরণ করা হয় ইস্ট পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, আবার ১৯৬৪ সালের ১৪ জুন ইস্ট পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড”।

যাত্রার শুরুতে এক্সচেঞ্জের অনুমোদিত মূলধন ছিল ৩০০,০০০ রুপি, যা ১৫০টি শেয়ারে বিভক্ত। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখে একটি বিশেষ সাধারণ সভার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্য ফি ২০০০ রুপির পরিবর্তে এক্সচেঞ্জের অনুমোদিত মূলধন বাড়িয়ে ৫০০,০০০ রুপি করা হয় যেটা ২,০০০ রুপির ২৫০টি শেয়ারে বিভক্ত ছিল। এক্সচেঞ্জের পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৪৬০,০০০ রুপি যা ২,০০০ রুপির ২৩০টি শেয়ারে বিভক্ত। যদিও ২,০০০ রুপির ২৩০ শেয়ারের মধ্যে ৩৫টি শেয়ার ৭,৯৯৮,০০০ রুপি প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি মাত্র ৮,০০০,০০০ রুপিতে ছাড়া হয়েছিল।

১৯৫৪ সালে যাত্রা শুরু করলেও, ১৯৫৬ সালে লেনদেন শুরু করার অনুমতিপত্র পাওয়ার পরই নারায়ণগঞ্জে স্টক এক্সচেঞ্জের আনুষ্ঠানিকভাবে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু ১৯৫৮ সালে এটি ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার বিল্ডিং-এ এর কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৫৭ সালের ১ অক্টোবর স্টক এক্সচেঞ্জ সরকারের কাছ থেকে ৮.৭৫ কাঠার একটি জমি কিনে ৯ এফ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় এবং ১৯৫৯ সালে নিজের জায়গায় স্টক এক্সচেঞ্জকে স্থানান্তর করা হয়।

আইনগত নিয়ন্ত্রণঃ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি নিবন্ধিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী এবং এটি নিয়ন্ত্রিত হয় আর্টিকেলস অফ এসোসিয়েশন এর নিয়মকানুন এবং উপবিধি সহকারে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স-১৯৬৯, কোম্পানীজ এক্ট ১৯৯৪ এবং সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এক্ট ১৯৯৩ দ্বারা।

ডিএসই এর মূল কাজগুলো হচ্ছেঃ
❏ কোম্পানীগুলোকে তালিকাভুক্ত করা (লিস্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী)।
❏ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের জন্য পর্দার উপর স্বয়ংক্রিয় লেনদের ব্যবস্থা সরবরাহ করা।
❏ লেনদেনের নিষ্পত্তি করা (সেটেলমেন্ট অব স্ট্রান্সজেকশন রেগুলেশনস অনুযায়ী)।
❏ উপহার হিসেবে দেয়া শেয়ার বা লেনদেন ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে এক্সচেঞ্জে শেয়ার বিনিময়/স্থানান্তরে অনুমোদন প্রদান করা (লিস্টিং রেগুলেশনস ৪২ অনুযায়ী)।
❏ বাজার পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ।
❏ বাজার তদারকি করা।
❏ মাসিক রিভিউ প্রকাশ করা।
❏ তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ (লিস্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী)
❏ বিনিয়োগকারীদের জন্য অভিযোগ সেল গঠন (উপবিধি ১৯৯৭ অনুযায়ী অভিযোগ নিষ্পত্তি করা)।
❏ বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল (ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড রেগুলেশনস ১৯৯৯ অনুযায়ী)।
❏ অনলাইনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর মূল্য সংবেদনশীল অথবা অন্যান্য তথ্য ঘোষণা করা।

এক নজরে ডিএসইঃ

ইস্ট পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন লিঃ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি২৮ এপ্রিল,১৯৫৪
আনুষ্ঠানিকভাবে লেনদেন শুরু১৯৫৬
ইস্ট পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ নামে পুনঃনামকরণ২৩ জুন,১৯৬২
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নামে পুনঃ নামকরণ১৩ মে,১৯৬৪
নতুন রাষ্ট্রীয় নীতিমালার অধীনে লেনদেন স্থগিত করা হয়১৬ ডিসেম্বর,১৯৭১
বাংলাদেশে লেনদেন পুনরায় শুরু হয়১৬ আগস্ট,১৯৭৬
সার্বিক মূল্য সূচকের হিসাবনিকাশ শুরু১৬ সেপ্টেম্বর,১৯৮৬
আইএফসির নিয়মে শেয়ারের মূল্য সূচকের হিসাবনিকাশ শুরু১ নভেম্বর,১৯৯৩
স্বয়ংক্রিয় লেনদেন শুরু১০ আগস্ট,১৯৯৮
ডিএসই-২০ সূচকের হিসাবনিকাশ শুরুজানুয়ারী ২০০১
ডিএসই সাধারণ সূচকের হিসাবনিকাশ শুরু২৭ নভেম্বর,২০০১
সিডিবিএলের মাধ্যমে সিডিএস শুরু২৪ জানুয়ারী,২০০৪
ডিএসই সার্বিক মূল্য সূচক (ডিএসআই) পুনঃপ্রবর্তন২৮ মার্চ,২০০৫
রেগুলেশনস ২০০৬ প্রবর্তন১২ এপ্রিল,২০০৬
ডিএসই চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অভিষেক২২ নভেম্বর,২০০৭
ডিএসই সিলেট কার্যালয়ের অভিষেক৩০ মার্চ,২০০৮
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রবর্তন২০১০
ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেন সফটওয়্যার এমএসএ প্লাসের অভিষেক১০ জুন ,২০১২
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেস এর করেসপন্ডেন্ট সদস্যপদ লাভ১৪ অক্টোবর ,২০১২
ডিএসই ব্রডসূচক (ডিএসইএক্স) এবং ডিএসই ৩০ সূচক (ডিএস৩০) শুরু (এসএ্যান্ডপি দ্বারা)২৮ জানুয়ারী ,২০১৩
বাংলা ওয়েবসাইট চালু১৮ ফেব্রুয়ারী ,২০১৩
দি এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ সংসদ কর্তৃক গৃহীত২৯ এপ্রিল, ২০১৩
দি এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ কার্যকরের তারিখ২ মে, ২০১৩
শরীয়াহ্‌ সূচক চালুর জন্য এসএ্যান্ডপি ডাও জোন্স এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
একটি ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জে রূপান্তরিত২১ নভেম্বর, ২০১৩
ডিএসইএক্স শরীয়াহ্‌ সূচক (ডিএসইএস) শুরু২০ জানুয়ারী, ২০১৪
বিশ্বের নেতৃস্থানীয় লেনদেন সফটওয়্যার প্রদানের জন্য নাসডাক ওএমএক্স এবং ফ্লেক্সট্রেড সিস্টেমস এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর২১ মার্চ, ২০১৪
পরবর্তী প্রজন্মের স্বয়ংক্রিয় লেনদেন সিস্টেমের উদ্বোধন১১ ডিসেম্বর, ২০১৪
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেস এর করেসপন্ডেন্ট সদস্যপদ এফিলিয়েটেডে উন্নীত৩ মার্চ, ২০১৫
ডিএসই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের উন্নত সংস্করণের উদ্ভোধন১২ এপ্রিল ২০১৫
লেনদেনে সার্কিট ব্রেকারের মান নির্ধারণ৩০ এপ্রিল ২০১৫
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নতুন লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ অফিসিয়াল গেজেটে প্রকাশিত১২ জুলাই ২০১৫
এক্সচেঞ্জ ট্রেডড ফান্ড চালুর ব্যাপারে আলোচনা১২ আগস্ট, ২০১৫
রিসেন্ট দেভেলপমেন্ট ইন ডিএসই এ্যান্ড রেগুলেটরি রিফর্মস ফর ক্যাপিটাল মার্কেট, এর উপর সিম্পোজিয়াম১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট কনফারেন্স২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
মোবাইল এ্যাপ “ডিএসই ইনফো” চালু২৫ নভেম্বর, ২০১৫
“ডিএসই মোবাইল” চালু০৯ মার্চ, ২০১৬
নতুন বুক বিল্ডিং সফটওয়্যার চালু২৬ মে, ২০১৬
আই.এস.ও 9001: 2008 অর্জন৩০ অক্টোবর, ২০১৬
অগ্রগতির অভিযাত্রায় ডিএসসি২৩ জানুয়ারী, ২০১৭
ডিএসই এবং বিএসই এর মধ্যে বোঝাপড়া স্মারক১২ মে, ২০১৭
ডিএসই’র WFE এর সম্পূর্ণ সদস্যপদ অর্জন করেছে৬ জুন, ২০১৭
আই.এস.ও 9001: 2015 অর্জন০৫ জুলাই, ২০১৮

ডিএসই ক্লিয়ারিং এন্ড সেটেলমেন্টঃ
লেনদেন পরবর্তী সকল কর্মকান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করার জন্য অটোমোটেড ক্লিয়ারিং এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম (সিএনএস) তৈরী করা হয়। এর মূল অংশীদাররা হচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজ, সিডিবিএল, ক্লিয়ারিং ব্যাংক এবং ডিএসই’র ফিন্যান্স বিভাগ। এই পদ্ধতির মূল কাজ হচ্ছেঃ

ক্লিয়ারিংঃ ক্লিয়ারিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিএসই ক্রেডিট নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রেতা ব্রোকারকে অর্থ পরিশোধ করে এবং ডিসিবিএল-এর ক্লিয়ারিং কার্যক্রমের মাধ্যমে শেয়ার বিতরণ করে।

সেটেলমেন্টঃ সেটেলমেন্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিএসই বিক্রেতা ব্রোকারের কাছ থেকে সকল মাসুল এবং পাওনা অর্থ গ্রহণ করে এবং সিডিবিএল সেটেলমেন্ট সূচীর মাধ্যমে বিক্রেতা ব্রোকারের ক্লিয়ারিং হিসাবের বিক্রিত শেয়ারগুলোকে আলাদা করে। সেটেলমেন্ট অফ স্টক এক্সচেঞ্জ স্ট্রানজেকশনস রেগুলেশনস ১৯৯৮-এর রেগুলেশন ৪ কে নিয়মিতভাবে প্রয়োগ করা হয়।

এ গ্রুপঃ মোট সিকিউরিটিজের সংখ্যা ৪৭৪ (২০২+৮ডি+ ৪১এম+২২৩টিবি)। এখানে ডি মানে হচ্ছে ডিবেঞ্চার, এম মানে হচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ড এবং টিবি মানে হচ্ছে ট্রেজারি বন্ড। (পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে একমাত্র ডিএসই ক্লিয়ারিং হাউজের মাধ্যমে টি+১, টি+২ এর ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়)।আমাদের টেসা লেনদেন সফটওয়ারে ব্যাসেস কলামগুলোতে নন-ডিম্যাট এবং ডিম্যাট সিকিউরিটিজগুলোকে “এ” এবং “ডিএ”হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপরের চিত্রটি পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে এ,বি,জি এবং এন ক্যাটাগরি সিকিউরিটিজের লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

বি গ্রুপঃ সিকিউরিটিজের সংখ্যা ১৮ (পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে ডিএসই ক্লিয়ারিং হাউজের মাধ্যমে টি+১, টি+২ এর ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়)।আমাদের টেসা লেনদেন সফটওয়ারে ব্যাসেস কলামগুলোতে নন-ডিম্যাট এবং ডিম্যাট সিকিউরিটিজগুলোকে “বি” এবং “ডিবি” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জি গ্রুপঃ সিকিউরিটিজের সংখ্যা ০। (পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে ডিএসই ক্লিয়ারিং হাউজের মাধ্যমে টি+১, টি+২ এর ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়)।আমাদের টেসা লেনদেন সফটওয়ারে ব্যাসেস কলামগুলোতে নন-ডিম্যাট এবং ডিম্যাট সিকিউরিটিজগুলোকে “জি” এবং “ডিজি” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এন গ্রুপঃ সিকিউরিটিজের সংখ্যা ৬।(পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে ডিএসই ক্লিয়ারিং হাউজের মাধ্যমে টি+১, টি+২ এর ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়)।আমাদের টেসা লেনদেন সফটওয়ারে ব্যাসেস কলামগুলোতে নন-ডিম্যাট এবং ডিম্যাট সিকিউরিটিজগুলোকে “এন” এবং “ডিএন” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জেড গ্রুপঃ সিকিউরিটিজের সংখ্যা ১৭।(পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে ডিএসই ক্লিয়ারিং হাউজের মাধ্যমে টি+১, টি+৯ এর ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়)।আমাদের টেসা লেনদেন সফটওয়ারে ব্যাসেস কলামগুলোতে নন-ডিম্যাট এবং ডিম্যাট সিকিউরিটিজগুলোকে “জেড” এবং “ডিজেড” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই চক্রটি পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে শুধুমাত্র জেড ক্যাটাগরি সিকিউরিটিজের লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

স্টক মার্কেটে লেনদেনকৃত সকল গ্রুপের সিকিউরিটিজসমূহঃ

উপরের চক্রটি এ, বি, জি, এন এবং জেড ক্যাটাগরীরর সিকিউরিটিজের লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

সকল গ্রুপের সিকিউরিটিজের বিদেশী লেনদেনের (ডিভিপি)ক্ষেত্রেঃ

উপরের চক্রটি এ, বি, জি, এন এবং জেড ক্যাটাগরী সিকিউরিটিজের বিদেশী লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

মন্তব্যঃ
❏ যদি কোন সিকিউরিটিজকে বাধ্যতামূলক স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তাহলে ব্লক এবং অড-লট মার্কেটে ঐ সিকিউরিটিজের লেনদেন স্পট মার্কেটের মত সম্পন্ন করা হবে।
❏ পাবলিক, ব্লক এবং অড-লট মার্কেটে লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্য হাওলা ব্যায়, লাগা ব্যায় এবং কর ডিএসই’র নিকট পে-ইন তারিখে পরিশোধযোগ্য।
❏ স্পট মার্কেটে লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্য হাওলা ব্যায়, লাগা ব্যায় এবং কর ডিএসই’র নিকট টি+১ দিনের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।
❏ ১০ই ডিসেম্বর ২০০৬ হতে “এ” গ্রুপ সিকিউরিটিজের জন্য আউটসাইড-অফ-নেটেড সেটেলমেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
❏ ডিভিপি লেনদেনগুলো অফ-মার্কেট সেটেলমেন্ট (ব্রোকার থেকে ব্রোকার)।

বিভিন্ন ক্যাটাগরির সিকিউরিটিজের সেটেলমেন্টঃ
০১) এ গ্রুপের সিকিউরিটিজের জন্যঃ

বাজারের নামলেনদেনের জন্য লেনদেন ব্যবস্থাসেটেলমেন্ট এবং সেটেলমেন্টের সময়
পাবলিকলেনদেনের জন্য লেনদেন*টি+১ এবং টি+২
অড+ব্লকলেনদেনের জন্য লেনদেনটি+১ এবং টি+২
স্পটলেনদেনের জন্য লেনদেনটি+০ এবং টি+১

০২) বি গ্রুপের সিকিউরিটিজের জন্যঃ

বাজারের নামলেনদেনের জন্য লেনদেন ব্যবস্থাসেটেলমেন্ট এবং সেটেলমেন্টের সময়
পাবলিকলেনদেনের জন্য লেনদেন*টি+১ এবং টি+২
অড+ব্লকলেনদেনের জন্য লেনদেনটি+১ এবং টি+২
স্পট (বুক ক্লোজারের পূর্বে)লেনদেনের জন্য লেনদেনটি+০ এবং টি+১

০৩) জি গ্রুপের সিকিউরিটিজের জন্যঃ

বাজারের নামলেনদেনের জন্য লেনদেন ব্যবস্থাসেটেলমেন্ট এবং সেটেলমেন্টের সময়
পাবলিকলেনদেনের জন্য লেনদেন*টি+১ এবং টি+২
অড+ব্লকলেনদেনের জন্য লেনদেনটি+১ এবং টি+২
স্পট (বুক ক্লোজারের পূর্বে)লেনদেনের জন্য লেনদেনটি+০ এবং টি+১

০৪) এন গ্রুপের সিকিউরিটিজের জন্যঃ

বাজারের নামলেনদেনের জন্য লেনদেন ব্যবস্থাসেটেলমেন্ট এবং সেটেলমেন্টের সময়
পাবলিকলেনদেনের জন্য লেনদেন*টি+১ এবং টি+২
অড+ব্লকলেনদেনের জন্য লেনদেনটি+১ এবং টি+২
স্পট (বুক ক্লোজারের পূর্বে)লেনদেনের জন্য লেনদেনটি+০ এবং টি+১

*যেহেতু শেয়ার নেটিং ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে এ, বি, জি এবং এন গ্রুপের সিকিউরিটিজের সদস্যদেরকে শেয়ার বিক্রির টি+১ এর মধ্যে ডিএসই এর কাছে সমস্ত শেয়ার জমা করতে হবে। এই প্রকার শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে পাবলিক,ব্লক এবং অড-লট বাজারে লেনদেনকৃত উদ্ধৃত অর্থ টি+১ এর মধ্যে ডিএসই’র নিকট জমা দিতে হবে।

০৫) জেড গ্রুপের সিকিউরিটিজের জন্যঃ

বাজারের নামলেনদেনের জন্য লেনদেন ব্যবস্থাসেটেলমেন্ট এবং সেটেলমেন্টের সময়
পাবলিকলেনদেনের জন্য লেনদেন*টি+১ এবং টি+৯
অড+ব্লকলেনদেনের জন্য লেনদেনটি+১ এবং টি+৯
স্পট (বুক ক্লোজারের পূর্বে)লেনদেনের জন্য লেনদেনটি+০ এবং টি+১

**লেনদেনের জন্য লেনদেন সেটেলমেন্ট ব্যবস্থায়, সদস্যদেরকে শেয়ার কেনার টি+১ এর মধ্যে পূরো অর্থ ডিএসই এর কাছে জমা দিতে হবে। এই ধরণের শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে, বিক্রেতাকে টি+৯ এর মধ্যে সব শেয়ার ডিএসই’র নিকট জমা দিতে হবে।

ডিম্যাট শেয়ারঃ
সেটেলমেন্ট সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিও হিসাব থেকে সকল বিক্রয়যোগ্য শেয়ার বিক্রেতা ব্রোকারের ক্লিয়ারিং হিসাবে স্থানান্তর (পে-ইন) করতে হবে। নগদ প্রদানের ক্ষেত্রে, উপরের মত বাকি সকল প্রক্রিয়াও অপরিবর্তিত থাকবে।

লেনদেনের সময়সূচীঃ
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ১০:৩০টা থেকে দুপুর ২:৩০টা পর্যন্ত লেনদেন হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।

লেনদেনের অধিবেশনসমূহঃ
❏ লেনদেনের অধিবেশনসমূহ ৪টি ধাপে লেনদেন সম্পন্ন করে।
অনুসন্ধানঃ এই অধিবেশনে, ব্রোকাররা সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। এই অধিবেশনে কোন অর্ডার পেশ করা হবে না। কোনো লেনদেন হবে না। শুধুমাত্র পূর্ববর্তী অর্ডারগুলো বাতিল করা যাবে এই অধিবেশনে।
শুরুঃ শুরু একটি প্রকৃত এবং একক মূল্যের নিলাম।সকল ক্রয় এবং বিক্রয়ের অর্ডারগুলো তুলনা করা হয় এবং ওপেন এডজাস্ট মূল্য হিসাব করা হয়। এই অধিবেশনে কোন লেনদেন হবে না।
বিরতিহীন লেনদেনঃ এই পর্যায়ে,অংশগ্রহণকারীরা অর্ডার দেয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর বা বই (বুক)-এ অন্তর্ভূক্তির জন্য নির্দেশ দেয়। স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়সাধন এবং সম্পাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় সবচেয়ে ভাল মূল্য/ফার্স্ট ইন, ফার্স্ট আউট লেনদেন নিয়ম মেনে।
অনুসন্ধানঃ সমাপনী মূল্যগুলো হিসাব করা হয় এবং বাজারের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এই অধিবেশনে বাজার এবং অন্যান্য সুবিধাদি যেমন পূর্ববর্তী অনুসন্ধানী অধিবেশন বন্ধ হয়ে যাবে।

স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্বঃ
❏ তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলো স্টক এক্সচেঞ্জ থেকেই পুঁজি সংগ্রহ করে। এছাড়া মার্কেটে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে লেনদেন হচ্ছে কিনা, মার্কেট ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা ইত্যাদিতে নজরদারির সার্বিক দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জের।
❏ বিধান মোতাবেক কোম্পানীগুলোর তালিকাভুক্তি এবং তালিকাভুক্ত সিকিউরিটি কোম্পানীগুলোকে স্ক্রিন বেজড স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং এর ব্যবস্থা করে স্টক এক্সচেঞ্জ। এছাড়া মাসিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করাটাও স্টক এক্সচেঞ্জের একটি দায়িত্ব।
❏ বিনিয়োগকারীদের জন্য অনলাইনে তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর মূল্য সংবেদনশীল তথ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করে স্টক এক্সচেঞ্জ। ১৯৯৯ সালের বিনিয়োগকারী স্বার্থ সংরক্ষণ বিধানানুসারে মার্কেটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জের।

এসএমএস এবং মোবাইল ফোনের জিপিআরএস-এর মাধ্যমে এখন ডিএসই তালিকাভূক্ত কোম্পানীর তথ্য পাওয়া যায়ঃ
❏ DSE লিখে কোম্পানীর নাম লিখে ৪৬৩৬ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। যেমন: ডেসকোর জন্য DSE DESCO লিখে ৪৬৩৬ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ যেকোন কার্যদিবসে সর্বোচ্চ তিন বার এসএমএসের মাধ্যমে শোয়ার ভ্যালু জানা যায়। এজন্য DSE SUB লিখে নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ কোন কোম্পানীকে সাবস্ক্রাইব করতে হলে DSE sadd XXXXX লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ কোন কোম্পানীকে তালিকা থেকে বাদ দিতে হলে DSE sdel XXXXX লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ সাবস্ক্রিপশন সার্ভিসে তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর নাম দেখতে হলে DSE mystock XXXXX লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ সাবস্ক্রিপশন বাতিল করতে হলে DSE UNSUB লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ এছাড়া ডিএসই সকল শেয়ার সূচক জানতে হলে DSE INDEX লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ আর ডিএসই ২০ সূচক দেখতে হলে DSE 20 লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। নির্বাচিত সূচক দেখতে হলে DSE GEN লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
❏ শীর্ষ পাঁচটি কোম্পানীর নাম দেখতে DSE top লিখে 4636 নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

জিপিআরএস সুবিধাঃ
জিপিআরএস সুবিধা পেতে হলে BULL সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে গ্রামীণফোন গ্রাহকরা মোবাইল ফোন থেকে ডিএসই লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সেবা নিতে পারেন। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে হলে এটি পিন নম্বর প্রয়োজন হয়। পিন নম্বরের জন্য সফওয়্যারটি ব্যবহার করেই রিকোয়েস্ট পাঠাতে হয়। এসএমএস-এর মাধ্যমে পিন নম্বর পাঠিয়ে দেয়া হয়। পিন নম্বরটি BULL PINCODE ফরম্যাটে 4636 নম্বরে পাঠাতে হয়। এরপর ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেয়া হয়।

যোগাযোগের ঠিকানাঃ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড
স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন, ৯/এফ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ
ফোনঃ ৮৮-০২-৯৫৬৪৬০১, ৯৫৭৬২১০-১৮, ফ্যাক্সঃ +৮৮-০২-৯৫৬৪৭২৭, +৮৮-০২-৯৫৬৯৭৫৫
ইমেইলঃ [email protected]
ওয়েবঃ www.dsebd.org, www.dse.com.bd

একটি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button