সাম্প্রতিক ব্যাংক নিউজ

মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক

ডেবিট কার্ডের গ্রাহকদের জন্য দারুণ সুবিধা নিয়ে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। চালু করেছে মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড, যার সাহায্যে আন্তর্জাতিক লেনদেন-সহ আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইট থেকে কেনাকাটা করা যাবে।

গ্রাহকরা এখন বিদেশ ভ্রমণের সময় হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংয়ে এই ভিসা ডেবিট কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সাথে বিদেশী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়া, বিদেশী সফটওয়্যার কেনা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন।

এ ধরনের আন্তর্জাতিক লেনদেন করতে গ্রাহকদের আগে ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হতো। এছাড়াও, মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের জন্য পাওয়া যাবে রিওয়ার্ড পয়েন্ট।

ইন্টারেস্ট চার্জ বা বিলম্ব জরিমানা (লেট ফি) নিয়ে গ্রাহকদের চিন্তা করতে হবে না। এটি ডেবিট কার্ড হওয়ায় এতে এই ধরনের কোনো চার্জ প্রযোজ্য হবে না। বরং গ্রাহকবৃন্দ ৩০০টিরও বেশি পার্টনার মার্চেন্টে ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এছাড়াও গ্রাহকবৃন্দ বিশ্বের যে-কোনো দেশের ভিসা এটিএম বুথ থেকে যে-কোনো সময় নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। সাধারণ ডেবিট কার্ডের মতো এই কার্ডটি বাংলাদেশের যে-কোনো এটিএম বুথ, কেনাকাটা, ডাইনিং, POS এবং ই-কমার্স লেনদেনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই কার্ডের মাধ্যমে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন। পূর্বের কোন কেনাকাটার ক্ষেত্রে এই রিওয়ার্ড পয়েন্ট কাজে লাগানো যাবে।

এই কার্ডটি বিদেশে POS-এ ব্যবহার করা যাবে এবং বিদেশে ভ্রমণকালে সেই দেশের মুদ্রায় লেনদেন করা যাবে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য একজন গ্রাহককে ব্যাংকে সঞ্চয়/কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে/পরিচালনা করতে হবে এবং ট্রাভেল কোটা বা মেডিকেল কোটা ব্যবহার করে নিকটস্থ ব্র্যাক ব্যাংক শাখা থেকে তাদের পাসপোর্ট এনডোর্স করিয়ে নিতে হবে।

বর্তমানে যেসব গ্রাহকবৃন্দ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছেন, তারা এই মাল্টি-কারেন্সি সুবিধা পেতে কার্ড প্রতিস্থাপন করিয়ে নিতে হবে। একজন গ্রাহক তার বার্ষিক ভ্রমণ কোটার এনটাইটেলমেন্টের বিপরীতে বছরে সর্বোচ্চ ১২,০০০ ডলার খরচ করতে পারবেন। ‘আস্থা অ্যাপ’-এর মাধ্যমে গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সুবিধা পাবেন এবং লেনদেনের বিস্তারিত দেখতে পারবেন।

মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড চালু করা সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংক-এর রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মোঃ মাহীয়ুল ইসলাম বলেন: “যারা বিদেশে ভ্রমণ করেন তাদের ব্যাংকিং চাহিদা পূরণের পূর্ণাঙ্গ সমাধান আমাদের মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড। এখন বিদেশে ভ্রমণের সময় নগদ অর্থ সাথে না থাকলেও সমস্যা নেই, কারণ আমাদের এই কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে এটিএম ব্যবহার, পিওএস (POS) এবং অনলাইনে শপিং করা যাবে। এতে মাল্টি-কারেন্সি লেনদেনের সুবিধা, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্ট এবং অবশ্যই ভিসা এর প্রদানকৃত সব সুবিধা থাকছে।”

তিনি আরও বলেন: “আমরা মনে করি, এখন এই কার্ড চালু করার সঠিক সময়। কেননা দেশ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষের জীবনধারা ও জীবনযাত্রার মান পরিবর্তিত হচ্ছে। এই কার্ড চালু করতে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও অনুমোদন প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই। গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাংক হিসাবে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের ক্রমপরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে নতুন নতুন সেবা নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।”

একটি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button