সাম্প্রতিক ব্যাংক নিউজ

তিনটির বেশি ‘উৎসাহ বোনাস’ পাবেন না সরকারি ব্যাংকাররা

তিনটির বেশি ‘উৎসাহ বোনাস’ পাবেন না সরকারি ব্যাংকাররা- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক কর্মীদের ‘উৎসাহ বোনাস’ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। ফলে এখন সরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ চাইলেও তিনটির বেশি বোনাস দিতে পারবে না।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের যুগ্মসচিব মো. শাহ আলম সই করা ‘উৎসাহ বোনাস’ নামে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও দেখুন:
ন্যাশনাল ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ইমরান আহমেদ

এতে বলা হয়েছে, ‘উৎসাহ বোনাস’ কোনো অধিকার নয়, এটি আর্থিক সুবিধা যা পর্ষদের বিশেষ বিবেচনায় দেওয়া হয়। এ বোনাস দেওয়ার ফলে সরাসরি নগদ অর্থের ওপর চাপ পড়ে এবং হ্রাস পায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের আর্থিক সুবিধা দিতে ২০১৪ সালে খসড়া গাইডলাইন করা হয়। ওয়ার্কিং ফান্ডের ওপর নিট মুনাফার হারের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া সুপারিশ ছিল কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রভিশন সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে পরবর্তী প্রদর্শন করছে। ফলে প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি সমন্বয় করলে নিট মুনাফার পরিবর্তে লোকসান হতো বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো সরকারের বিভিন্ন খাতের স্বল্প সুদের ঋণ দেয়, বিনামূল্যে সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রদান করে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা দেয়। ফলে তারা কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর সার্বিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকর্তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের লক্ষ্যে উৎসাহ বোনাস বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়ন হারের ওপর ২০ শতাংশ এবং পরিচালন মুনাফা হারের ওপর ৮০ শতাংশ স্কোর নির্ধারণ করা হয়েছে। এই স্কোরের ভিত্তিতে পরিচালন মুনাফা থেকে উৎসাহ বোনাস বণ্টন হবে। ফলে এখন থেকে কোনো ব্যাংক ৫০ এর নিচে স্কোর পেলে বোনাস দিতে পারবে না।

আর ৫০ থেকে ৬০ স্কোর পেলে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসাহ বোনাস পাবে, ৬১ থেকে ৭০ হলে দেড় মাস, ৭১ থেকে ৮০ হলে দুই মাস, ৮১ থেকে ৯০ হলে আড়াই মাস এবং ৯০ এর বেশি স্কোর হলে তিন মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাস পাবেন সরকারি ব্যাংকাররা।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতদিন নিট মুনাফা বিবেচনা করে নিজ নিজ ব্যাংকের পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিত উৎসাহ বোনাস কত হবে। এতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা বছরে তিন থেকে চারটি করে বোনাস পেত। নতুন নির্দেশনার ফলে তিনটির বেশি বোনাস দিতে পারবে না সরকারি ব্যাংকগুলো।

এ গাইডলাইন বাস্তবায়ন ও স্কোর নির্ধারণের জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি কেউ এ গাইডলাইনের বাইরে উৎসাহ বোনাস দিতে চায় তাহলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সম্মতি নিতে হবে। ব্যাংকের মোট পরিচালন আয় থেকে মোট পরিচালন ব্যয় বাদ দিয়ে পরিচালন মুনাফা হিসাব করতে বলা হয়েছে গাইডলাইনে।

নতুন এ গাইডলাইন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি ব্যাংকাররা। তারা জানান, সরকার অর্থ সংকটে পড়ে ‘উৎসাহ বোনাস’ ওপর নজর দিয়েছে। এতে কর্মীরা কাজে উৎসাহ হারাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button