বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

অর্থঋণ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ

অর্থঋণ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ- অবহেলার কারণে বছরের পর বছর ধরে ঝুলছে অর্থঋণ মামলা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাংক। তাই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মামলা পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (১৫ নভেম্বর, ২০২৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ নির্দেশনা দিয়েছে।

আরও দেখুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার

নির্দেশনায় বলা হয়, অর্থঋণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পৃথক আদালত গঠন করা হয়েছে। সময়াবদ্ধ কার্যপদ্ধতি অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তির আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন অর্থঋণ মামলার রায় ও আদেশ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক দেখেছে মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে। ফলে আমানতকারী ও ব্যাংক উভয়ের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার পেছনে সব পক্ষ বিশেষ করে বাদী ব্যাংকের সুদক্ষভাবে মামলা পরিচালনায় অনেক অবহেলা পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন অবস্থায় অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলা যথাসময়ে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি সহকারে মামলা পরিচালনা করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ৫৪০টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে আছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। ছয় মাস আগে ডিসেম্বর শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ১৮৯টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছয় মাসের ব্যবধানে বিচারাধীন মামলা বেড়েছে ৩৭১টি। এর বিপরীতে নতুন করে ১১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা আটকে আছে। এক বছর আগে (জুন-২০২২) অর্থঋণ আদালতে ৬৯ হাজার ৩৬৯টি মামলার বিপরীতে আটকা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button