ব্যাংকার

ব্যাংকার নাকি ডাক্তার

বিভিন্ন টকশোতে অথবা সাক্ষাৎকারে ডাক্তারেরা দাবি করে আসছেন করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট নাই। সরকারের কাছে ডাক্তার মহোদয়গন প্রয়োজনীয় PPE (Personal Protective Equipment) চেয়েছেন। সম্মানিত ডাক্তারগণ এও দাবি করছেন তারা প্রয়োজনীয় PPE পাচ্ছেন না অথচ ব্যাংকারেরা ডাক্তারদের PPE পরে ফটোসেশান করছে।

মাননীয় ডাক্তারগণ যে ব্যাংকারগুলো PPE পরে অফিস করছে, তারা এইগুলো রাষ্ট্র কিংবা তাদের অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পায়নি। এইগুলো তাদের ব্যক্তিগত অর্থে কেনা অথবা তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া। তাদের অভিভাবক স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ব্যাংকারদের করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অবশ্যই PPE পরতে হবে। হয়তোবা কেউ একটু বেশি বা কম পড়েছে।

কেন ব্যাংকারেরা PPE পরে জানেন। বাংলাদেশে যেভাবে কাগুজে টাকার ব্যবহার হয় বাংলাদেশের সমসাময়িক আর কোন দেশ পাবেন না এই ভাবে কাগুজে টাকার ব্যবহার। বাংলাদেশের এই কাগুজে টাকাগুলো টয়লেট, ময়লা, থু থু, মাছ বাজার, মাংস বাজার ইয়াবা বাজার সকল স্থান দখল করে আছে। এই টাকাগুলো হাত বদল হতে হতে বিভিন্ন ভাবে ব্যাংকারদের কাছে চলে আসে।

আপনারাই বলুন এই টাকাগুলো কি হাতে ধরা উচিত। তাহলে ব্যাংকারদের অবশ্যই গ্লাভস পরতে হবে। এই টাকাগুলো গুনতে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু নাক দিয়ে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকায় তাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। ব্যাংকারেরা এক-দুই টাকা হিসাব করেনা তাদের কোটি কোটি টাকা হিসাব করতে হয়। এই টাকাগুলো অনেক সময় টাকা গণনা করার মেশিনের মাধ্যমে গুনতে হয়। আর টাকা যখন মেশিনে দেওয়া হয় তখন টাকার সকল জীবাণু সমস্ত শরীরের ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা থাকে তাই তাদের শরীরের ইকুইপমেন্টও পরতে হয়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা এবং ব্যাংকে একাউন্ট আছে তাদের যদি ব্যাংকে ১০ টাকা থাকে প্রবাসী বা তাদের পরিবারের আছে ৯০ টাকা অর্থাৎ ব্যাংকের মোট ডিপোজিটের ৯০ শতাংশই প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকারদের সাথে প্রবাসীদের একটা মজবুত বন্ধন রয়েছে। আর বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস বিস্তারে প্রায় পুরোপুরি ভাবেই দায়ী যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। প্রবাসীরা যখন দেশে আসে তাদেরকে যে ভাবেই বন্দী করে রাখেন না কেন সে কোন না কোন ভাবে ব্যাংকে যাবেই। কারণ তাদের সারাজীবনের সঞ্চয় ব্যাংকে জমা থাকে। তাই ব্যাংকারেরা ভাইরাসের ঝুঁকি বেশি বহন করে।

সবশেষে বলি, বিশ্বের এই দুর্যোগ মুহূর্তে আমরা একে অপরকে দোষারোপ না করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজকে সম্মান করি, নিজের যা কিছু আছে তা দিয়ে করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করি, সমাজকে রক্ষা করি, সর্বোপরি নিজেদের দেশকে রক্ষা করি।

কার্টেসিঃ আব্দুল বাতেন, আইবিবিএল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button