শেয়ার বাজার

প্রাইমারী মার্কেট কি? প্রাইমারী মার্কেট এর বৈশিষ্ট্যসমূহ

প্রাইমারী বাজার নিউ ইস্যু মার্কেট নামে পরিচিত। যেখানে নতুন সিকিউরিটিজ জারি করা হয়। এই বাজারকে মূলধন বাজারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কোনও কোম্পানি বা সংস্থা যদি শেয়ার বাজারে প্রথম প্রবেশ করে তাহলে তাকে প্রাইমারি বাজারের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এই নিবন্ধে আমরা প্রাইমারী বাজার বা মার্কেট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রাইমারী বাজার কি এবং তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।

প্রাইমারী বাজার (Primary Market)
যে বাজারে কোম্পানি ইক্যুইটি বা ঋণের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ জারি করে মূলধন বৃদ্ধি করে, সেই বাজারকে প্রাইমারি বাজার বলা হয়। প্রাইমারী বাজারে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি ইস্যুকারী থেকে সিকিউরিটিজ ক্রয় করতে পারে। এটি কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।

প্রাইমারী বাজারের বৈশিষ্ট্য
নিম্নে প্রাইমারী বাজারের বৈশিষ্ট্যসমূহ তুলে ধরা হলো-
কোম্পানি বা সংস্থা দীর্ঘমেয়াদী মূলধনের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যু করে থাকে।
❏ প্রাইমারী বাজার এর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য, মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ ইস্যু করে।
❏ কোম্পানি অর্থ পাওয়ার পরই বিনিয়োগকারীদের সার্টিফিকেট ইস্যু করে। কোম্পানি এই অর্থ তার উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করে।

প্রাইমারী বাজারের সুবিধা
নিম্নে প্রাইমারী বাজারের সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হলো-
১. নতুন উদ্যোগ শুরু করার সুযোগ প্রদানঃ প্রাইমারী বাজার নতুন বিনিয়োগকারীদের নতুন উদ্যোগ শুরু করার সুযোগ প্রদান করে।
২. কম খরচঃ এই বাজারে কোম্পানি কম খরচে বেশি মূলধন পেতে পারে।
৩. সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রিঃ প্রাইমারী বাজারে যে সিকিউরিটিজগুলি ইস্যু করা হয় সেগুলি দ্রুত সেকেন্ডারি মার্কেট বিক্রি করা যায়।
৪. কম ঝুঁকিঃ সেকেন্ডারি বাজারের তুলনায় প্রাইমারী বাজারের ঝুঁকি কম।
৫. দালাল অনুপস্থিতঃ প্রাইমারী বাজার যেহেতু সরাসরি বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ ইস্যু করে তাই কোনও দালাল থাকে না। যার জন্য বিনিয়োগকারীকে দালালের জন্য অতিরিক্ত লেনদেন ফিস বা স্ট্যাম্পের খরচ বহন করতে হয় না।
৬. ট্রেজারি বন্ড বিক্রিঃ ট্রেজারি বন্ড বিক্রির মাধ্যমে মূলধন বাড়ানো সম্ভব।
৭. অস্থিরতা নেইঃ প্রাইমারী বাজারে অন্য কোনও বাজারের অস্থিরতা নেই।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

প্রাইমারী বাজারে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রাইমারী শেয়ার বাজারে প্রবেশ কারার জন্য আপনার যেসমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রয়োজন হবে সেগুলি হলে-
১. এনআইডি কার্ড নম্বর;
২. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট;
৩. বিও অ্যাকাউন্ট।

প্রাইমারী বাজারে কীভাবে বিনিয়োগ করব?
যদি আপনি প্রাইমারি বাজারে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনি যেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন সেই কোম্পানি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যাচাই করুন। যেমন- বাজারের আর্থিক অবস্থা, প্রি-রেশিও, বুক ভ্যালু ইত্যাদি। অথবা আপনি ব্রোকারের মাধ্যমেও কোম্পানির সমস্ত তথ্য যাচাই করতে পারেন এবং তারপর বিনিয়োগ করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button