দুধ উৎপাদনে দেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় বাড়লো
দুধ উৎপাদনে খামারিদের ৪ শতাংশ সুদে দেওয়া ঋণ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন খামারি ও গাভি-বকনা বাছুর লালন-পালনকারীরা।
সোমবার (২৭ জুন, ২০২২) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (এসিডি সার্কুলার লেটার নং-০১) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার
এতে বলা হয়েছে, বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেওয়া ব্যাংকগুলোর পুনঃঅর্থায়ন করা ঋণ আদায় ও সমন্বয় এবং ব্যাংকগুলোর ক্ষতিপূরণ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সুদ ভর্তুকি দেওয়াসহ স্কিমটির মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে এ সংক্রান্ত ইস্যু করা ওই স্কিম সংক্রান্ত সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সুবিধার ফলে এখন ৪ শতাংশ সুদে গাভি-বকনা বাছুর কেনা ও লালন-পালনের জন্য ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নিতে পারবেন দুধ উৎপাদন এবং কৃত্রিম প্রজননের সঙ্গে জড়িত খামারিরা। একক ও যৌথ নামে এই ঋণ নেওয়া যাবে। একটি বকনা বাছুর কেনার জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং লালন-পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে ঋণ নেওয়া যায়। ফলে একজন খামারি সর্বোচ্চ চারটি বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারেন। এ ঋণ পুরোপুরি জামানতবিহীন।
জানা গেছে, এই ঋণ বিতরণ করতে গিয়ে ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারের প্রচলিত সুদের তুলনায় কম সুদে ঋণ বিতরণ করায় তাদের যে পরিমাণ সুদ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে, সেই পরিমাণ অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভর্তুকি হিসেবে দেবে।
দেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য ২০১৫ সালে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি হাতে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় এ সংক্রান্ত নীতিমালায় ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, এ কর্মসূচির আওতায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক রেটে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে (বর্তমানে ব্যাংক রেট ৫ শতাংশ, যা পরিবর্তনশীল)। অর্থাৎ গ্রাহক পর্যায়ে তখন এই ঋণের সুদের হার ছিল সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ।
ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে সুদ ক্ষতি বা ভর্তুকি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ দাবি করতে পারত। পরে এ হার এক শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়।
ঋণের তহবিল জোগান দিতে ২০০ কোটি টাকার একটি তহবিলও গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দুধের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।