ফিনটেক

ডিজিটাল ব্যাংকিং: আর্থিক সেবায় প্রযুক্তি

লিপন মুস্তাফিজঃ আজ থেকে একশত চুয়ান্ন বছর আগে যখন ট্রান্সট্যান্টালিক কেবল সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছিল, তখন মূলত ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজির (ফিনটেক) সূচনা হয়। এরপর ১৮৬৬ থেকে ১৯১৩ সালে ফিনটেক ১.০ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডে বার্কলেস ব্যাংকে এটিএম মেশিন বসানো হয়, সেই সময়টাকে ফিনটেক ২.০ পিরিয়ড বলা হতো।

আর্থিক সেবার মৌলিক অবকাঠামোগত দিক হলো অর্থ ও প্রযুক্তির মধ্যে সমন্বয়। নতুন প্রযুক্তি সরবরাহ ও ব্যবহারের ফলে, আর্থিক প্রক্রিয়াগুলোকে উন্নত করার জন্য এমন ধারণার জন্ম। ফিনটেকের মূল অংশে কম্পিউটার, ক্রমবর্ধমান স্মার্টফোনে ব্যবহৃত বিশেষায়িত সফটওয়্যার এবং অলগারিদমগুলো ব্যবহার করে সংস্থাগুলো গ্রাহকদের সেবার মান বাড়ানোতে বদ্ধ পরিকর।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ক্রমেই অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে। প্রায় সব ব্যাংকই প্রতিনিয়ত অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় জড়িত। এমনকি একই ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। টিকে থাকার এই প্রতিযোগিতায় সেবার মান, গ্রাহকের তুষ্টি যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি একইভাবে বেড়েছে ফিনটেকের ব্যবহার। ফিনটেক ব্যবহারে বেসরকারি ব্যাংকসমূহ অনেক এগিয়ে। যেমন: ই-ব্যাংকিংসেবা (এটিএম, ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি) প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হলেও, দেশের রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকসমূহ এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে।

ফলে সেসব ব্যাংক নতুন গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে অনেকটাই পিছিয়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পুরনো গ্রাহকও প্রত্যাশিত সেবা পায় না বিধায় তাদের হিসাবসমূহ অন্যত্র স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা করছে বা শুরু করেছে। এমতাবস্থায় বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলেও অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকের মতো সরকারি সব ব্যাংকে ফিনটেকের ব্যবহার অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। যাতে করে প্রান্তিক জনগণের কাছে ব্যাংকিংসেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়। তবে কথা থেকে যায় এই সেবা গ্রহণের জন্য আমাদের দেশের সব অঞ্চলের গ্রাহক কি প্রস্তুত? এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক যে, সরকারি ব্যাংকের গ্রাম ও শহরভিত্তিক শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ে অনেক আগে থেকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অনেকাংশে বেড়েছে। যেখানে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় অনলাইনে লেনদেনের সুযোগ আছে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এবং এটিএম (অটোমেটেড টেলর মেশিন) সেবা চালু আছে, পজ (পয়েন্ট অব সেল) সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ আছে, মোবাইলে এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস) সেবা প্রচলিত আছে এবং সম্প্রতি ডুয়েল কারেন্সি ভিসা ক্রেডিট কার্ডসেবা সীমিতপর্যায়ে প্রচলন করা হয়েছে। তবে, অনেক সরকারি ব্যাংক এখনো ‘ইন্টারনেট ব্যাংকিং’ এবং ‘মোবাইল অ্যাপস বেসড ব্যাংকিং’ সেবা চালু করেনি বা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন।

আর্থিক প্রযুক্তির যুগে ‘মোবাইল অ্যাপস বেসড ব্যাংকিং’ হলো ব্যাংকের কার্যক্রম একটি মোবাইল অ্যাপসের দ্বারা সম্পন্ন হয়ে থাকে। মূলত ফিনটেক এরই একটি সংস্করণ। একজন গ্রাহক তিনি যে ব্যাংকের সেবা নিয়ে থাকেন, তাকে সেই ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপসটি তার নিজস্ব মোবাইল ফোনে ইনস্টল করে নিতে হবে। এরপর ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ওই মোবাইল অ্যাপসটি দ্বারা গ্রাহক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন এবং মোবাইল অ্যাপসভুক্ত বিভিন্ন ব্যাংকিংসেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

ফিনটেকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এই সেবা গ্রহণে গ্রাহককে ব্যাংকে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বরং গ্রাহক যেকোনো স্থানে থেকেই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যাংকিংসেবা গ্রহণ করতে পারেন। নতুন কোনো শাখা স্থাপন না করেও দেশব্যাপী ব্যাংকিং কার্যক্রম বিস্তার করা সম্ভব হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়, যে কারণে গ্রাহকের কাছে ‘মোবাইল অ্যাপস বেসড ব্যাংকিং’ সেবার চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে; ফলে সব ব্যাংকই এ সেবার প্রসারে ও মান উন্নত করার জন্য জোর দিচ্ছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সাধারণ জনগণকে নিরাপত্তার আওতায় আনার জন্য তাদের চলাফেরা সীমিত রাখার নির্দেশনায়, স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা এবং প্রায় দুই মাসেরও অধিককাল সময় সাধারণ ছুটি ছিল। ফলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও অনেকটাই স্থবির। করোনার কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনগণের নিরাপত্তা বিধানসহ দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেও ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাল ব্যাংকিংসেবাসমূহ যথাসম্ভব দ্রুত বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তথা ফিনটেকের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই পরিস্থিতিতে গ্রাহক এবং ব্যাংকার উভয়ের স্বার্থরক্ষায় ও ঝুঁকি হ্রাসে, স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায়, সর্বোপরি দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখায় ব্যাংকে ফিনটেকের ব্যবহার এখন আর বিলাসী নয়, অত্যাবশ্যক।

এ কথা আমাদের জন্য নতুন নয় যে, ই-ব্যাংকিং হলো এমন একটি ব্যাংকিংসেবা, যেখানে গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন যেকোনো ডিজিটাল/ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে যেমন: কম্পিউটার, ট্যাব, স্মার্টফোন ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাংকে উপস্থিত না হয়েও বিভিন্ন ব্যাংকিংসেবা যেমন: অর্থ স্থানান্তর, হিসাবের লেনদেন বিবরণী, বিল পরিশোধ, চেকবই ইস্যু, হিসাব লেনদেন স্থিতি অবলোকন, বিল পরিশোধ, চেকবই ইস্যু, কেওয়াইসি ফরম পূরণ ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করতে পারে। মূলত ব্যাংকের অত্যাধুনিক ও নিরাপদ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-ব্যাংকিংসেবা দেওয়া হয়।

ব্যাংক যেসব ব্যাংকিংসেবা ‘অ্যাপস বেসড মোবাইল ব্যাংকিং’-এ অন্তর্ভুক্ত করবে গ্রাহক কেবল সেসব সেবাই ওই অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারবে, যেমন: আরটিজিএস লেনদেন আবেদন করা (অন্য ব্যাংকের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর), ইএফটিএন লেনদেনের আবেদন করা (অন্য ব্যাংকের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর), ওটিপি (এককালীন পাসওয়ার্ড) অ্যালার্টপ্রাপ্তি (এসএমএস অ্যালার্টপ্রাপ্তি), ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মোবাইল টপ-আপ/রিচার্জ, চেকবইয়ের জন্য আবেদন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ফি ও টিউশন ফি জমাকরণ, বিভিন্ন ব্যাংকিংসেবার জন্য অনুরোধ/নির্দেশনা প্রদান, বিভিন্ন ধরনের অনুসন্ধান, অভিযোগ করা, কার্ড-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, ঋণ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, স্টপ চেক পেমেন্ট, টিকিটিং, শপিং ইত্যাদি।

আমাদের দেশে ব্যাপক হারে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘অ্যাপস বেসড মোবাইল ব্যাংকিং’ সেবাও বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে তা এখনো সীমিত আকারেই আছে। অধিকাংশ গ্রাহকই সরাসরি ইন্টারনেট ব্যাংকিং অপেক্ষা ‘অ্যাপস বেসড মোবাইল ব্যাংকিং’-এ বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ সম্ভব হবে; ফলে গ্রাহক এবং ব্যাংকার উভয় পক্ষেরই স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস পাবে, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংকের স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা তথা অর্থনীতিকে চলমান রাখা সহজ হবে। দেশের বেশির ভাগ ব্যক্তির হাতে মোবাইল ফোন থাকায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ফিনটেকের মূল সুবিধাই হলো সহজ সেবার প্রাপ্তি, যা নতুন গ্রাহকের দৃষ্টি কাড়তে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া দ্রুততম সময়ে স্বল্প খরচে উন্নতসেবা দেওয়া সম্ভব। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবা যেমন: বিল-পে, মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। সর্বোপরি, শাখাসমূহে এই করোনা সময়ে জনসমাগম বৃদ্ধি না ঘটিয়েও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা সম্ভব হবে। অ্যাপস বেসড মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করা সম্ভব হলে সরকারি ব্যাংকের পক্ষে সমগ্র দেশ জুড়েই কোনো নতুন শাখা স্থাপন না করেই ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক বিস্তার করা সম্ভব হবে, যা আমাদের ব্যাংকের সক্ষমতাকে অনেকাংশেই বৃদ্ধি করবে।

ব্যাংকের আমানত হিসাবসংখ্যা বৃদ্ধি, আমানত বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও বৃদ্ধি পাবে, সুদ ও অন্যান্য আয় বৃদ্ধি, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস যেমন: বিল পেমেন্ট, আর্থিক লেনদেন থেকে কমিশন আয় বৃদ্ধির নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে; ভবিষ্যতে ই-কমার্সের মাধ্যমেও আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে অ্যাপস বেসড ব্যাংকিংসেবা প্রচলনে মানুষের জীবনের ঝুঁকি অনেকাংশেই হ্রাস করা যাবে, যা কোনো অর্থের মানদণ্ডে পরিমাপযোগ্য নয়। সামাজিক দায়বদ্ধতার নিরিখেও প্রকল্পটি অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

ব্যাংকারের দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সিস্টেমের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষায় এবং ঝুঁকি হ্রাসে ব্যাংককে সর্বদা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন হবে। মোবাইল অ্যাপস বেসড ব্যাংকিং চালুকরণে ব্যাংক সাধারণত যেসব ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে তা হলো, নিরাপত্তাজনিত ত্রুটির কারণে গ্রাহকের জমাকৃত অর্থ বা গোপন তথ্য হারানো, গ্রাহকের নাম, পাসওয়ার্ডের মতো সংবেদনশীল তথ্য পাওয়ার জন্য জালিয়াতির চেষ্টা, অন্য কারও গ্রাহকের হিসাবে প্রবেশ করা এবং লেনদেন সম্পন্ন করা, ব্যাংকের সার্ভার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমে অযাচিত ব্যক্তির অনুপ্রবেশের চেষ্টা, ব্যাংকের সার্ভার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমে অযাচিত ব্যক্তি অনুপ্রবেশ করে তথ্য এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা, গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া বা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করা, অননুমোদিত ব্যবহার, অনাকাক্সিক্ষত লেনদেন এবং লেনদেনের তথ্য পরিবর্তন করা ইত্যাদি।

ফিনটেক ব্যবহারে কিছু না কিছু ঝুঁকি থাকবেই, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। এই ঝুঁকি একেবারেই নির্মূল করা সম্ভব না হলেও ব্যাংকের পক্ষে তা অনেকাংশেই নিরসন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি প্রশমনে ব্যাংক নিম্নোক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করতে পারে: ব্যবহারকারীর টার্মিনাল এবং সার্ভারের মধ্যে নিরাপদ ডেটা ট্রান্সফারের জন্য ই-ব্যাংকিং পোর্টালে Transport Layer Security (TLS) /Secured Sockets Layer (SSL) সার্টিফিকেট ব্যবহার, ই-ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য Two Factor Authentication এবং Identity check ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, Internet Banking Security সম্পর্কে ব্যবহারকারী/হিসাবধারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধীকরণ; যেমন: পাসওয়ার্ড কাউকে না জানানো এবং সহজেই ধারণা করা যায় এমন পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজের ফোন অন্য কারও কাছে রেখে না যাওয়া ইত্যাদি।

নতুন নতুন নিরাপত্তাঝুঁকি মোকাবিলায় নিয়মিত সিস্টেম আপডেট করা। ইন্টারনেট বেসড প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তায় উন্নতমানের অ্যাপস বেসড মোবাইল ব্যাংকিং সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল স্থাপন করা। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটেই যায় সেই ঝুঁকি প্রশমনে ব্যাংকের সব ডিজিটাল ঝুঁকির বিপরীতে একটি পৃথক ঝুঁকি তহবিল গঠন করা। শুধু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেই নয় বরং বর্তমান ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি বা আর্থিক প্রযুক্তির যুগে অ্যাপস বেসড মোবাইল ব্যাংকিংসেবা আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য পণ্যে পরিণত হতে যাচ্ছে।

লেখকঃ লিপন মুস্তাফিজ, গবেষক ও ব্যাংকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button