ইসলামী অর্থনীতিইসলামী ব্যাংকিং

বাংলাদেশ সরকার ইসলামিক বিনিয়ােগ বন্ড (BGIIB)

২০০৪ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকার ইসলামী বিনিয়োেগ বন্ড প্রচলন করেন। এ ইসলামী আর্থিক ইনস্ট্রমেন্টটি দেশের ইসলামী মুদ্রাবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে অবস্থিত যেকোন আবাসিক বা অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান অথবা যে কোন ব্যক্তি এ বন্ড ক্রয় করতে পারেন।

ইসলামী ব্যাংকগুলো একটি প্রকল্পের মাধ্যমে মুনাফাভিত্তিক ইসলামী বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো সংবিধিবদ্ধ তারল্যের হার (এসএলআর) প্রদান করতে পারবে। সব ধরনের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মালিক সরকার, তাই এ বন্ডের মাধ্যমে সরকার ঋণও নিতে পারবে। একই সঙ্গে কোনো ব্যাংকে নগদ টাকার সমস্যা হলে সঙ্কট মেটাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বন্ড বন্ধক রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইসলামী তহবিল থেকে ধার নিতে (রেপো) পারবে।

আরও দেখুন:
◾ মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংকিং সুদহার

শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি থেকে সরকার ঋণ নিতে পারে না। সরকার তার বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকিং খাত থেকে যে পরিমাণ ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা শুধু প্রচলিত ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয়। এতে সময়ে সময়ে তহবিল সঙ্কটে পড়ে প্রচলিত ব্যাংকগুলো। সঙ্কট মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচলিত ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় ধার দিয়ে থাকে। অনেক সময় সরকারের ঋণের জোগান দিতে গিয়ে প্রচলিত ব্যাংকগুলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঋণ দিতে অপারগ হয়। সরকারের কম সুদে ঋণের জোগান দেয়া হয়। এটা সমন্বয় করতে শিল্পঋণসহ বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদের হার বেড়ে যায়। নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ায় ঋণ গ্রহণে প্রচলিত ব্যাংকের ওপর সরকারের চাপ কমবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এ দিকে বিদ্যমান ইসলামী বিনিয়োগ বন্ড বাজারে থাকলেও তা নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ব্যাংকগুলোর কাছে আকর্ষণীয় হয়নি। দীর্ঘ মেয়াদ, বিনিয়োগের মুনাফা তুলনামূলক কম হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকগুলো এ বন্ডে তুলনামূলক কম বিনিয়োগ করে থাকে।

ইসলামী বিনিয়োগ বন্ডের মাধ্যমে সরকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্যে ইসলামী বিনিয়োগ বন্ডকে আরো আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ‘বাংলাদেশ সরকার ইসলামী বিনিয়োগ বন্ড (ইসলামী বন্ড) নীতিমালা-২০০৪ (সংশোধিত-২০১৪)’ জারি করেছে।

এ বন্ডের একক প্রতি মূল্য এক লক্ষ টাকা এবং যে কেউ ছয় মাস, এক বছর অথবা দুই বছর মেয়াদের জন্য এক লক্ষ টাকা অথবা এর গুণীতক এ বন্ড ক্রয় করতে পারেন। এ বন্ডকে বিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাতের (এসএলআর) উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড উক্ত বন্ড ক্রয় এবং ভাঙ্গানােতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছে। ২০১৮ সালের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর এ বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়ােগের সমাপনী স্থিতি ছিল ৫০,৬৬৪ মিলিয়ন টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button