আয়কর

আয়কর রিবেট পেতে কোন খাতে কত বিনিয়োগ করতে পারবেন?

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী আয়কর রিবেট পেতে কোন কোন খাতে কত বিনিয়োগ করতে হবে তা আমরা অনেকেই জানি না। এমনকি কোন কোন খাতে এই বিনিয়োগ করা যায় তাও অনেকের জানা নেই। আজকের এই লেখার মাধ্যমে আমরা আলোচনা করবো কোন খাতে কত টাকা বিনিয়োগ করে আয়কর রিবেট পাবেন।

১. শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ডিবেঞ্চার (Shares, Mutual Fund and Debenture)
শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড কিংবা ডিবেঞ্চার-এ বিনিয়োগ করে আয়কর রিবেট পাওয়া যায়। আপনি কেবলমাত্র পুজি বাজারে রেজিষ্টার্ড হওয়া শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ডিবেঞ্চার-এ বিনিয়োগ করে আয়কর রিবেট পাবেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সিমা রেখা নেই।

৩. ডিপিএস (DPS)২. ট্রেজারি বন্ড (Treasury Bond)
ট্রেজারি বন্ড হলো একটি ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগ। শেয়ার বাজারে যেহেতু ঝুঁকি রয়েছে তাই অনেকেই এই বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন। ট্রেজারি বন্ড থেকে লাভ পাওয়া যায়। আপনি কেবলমাত্র সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ট্রেজারি বন্ড-এ বিনিয়োগ করে আয়কর রিবেট পাবেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সিমা নেই।

ডিপিএস হলো ডিপোজিট পেনশন স্কীম। এটি সবার জন্য সঞ্চয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম। কোন ব্যাংক বা ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানে এই স্কীম খুলে বছরে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয়কর রিবেট পাওয়া যায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৪. লাইফ ইনস্যুরেন্স (Life Insurance)
পরিবারের সুরক্ষার জন্য লাইফ ইনস্যুরেন্স বা জীবন বীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আয়কর রিবেট পেতে লাইফ ইনস্যুরেন্স করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বাৎসরিক মোট বীমার দশ শতাংশ বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো যায়।

৫. সেভিংস সার্টিফিকেট (Savings Certificate)
সেভিংস সার্টিফিকেটও একটি নিরাপদ বিনিয়োগ। এতে নির্ধারিত হারে সুদ দেওয়া হয়। এই খাতে বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে সেভিংস সার্টিফিকেট এ যে বিনিয়োগ করছেন তা রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত। সেভিংস সার্টিফিকেট এ আপনি ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন।

৬. ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার (Laptop and Desktop Computer)
বিগত বছরগুলোতে ল্যাপ্টপ কম্পিউটার বা ডেস্কটপ কম্পিটার ক্রয় করলে কিছু ট্যাক্স রিবেট দেয়া হতো। [তবে এই বছর ডেস্কটপ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটার এ বিনিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।]

৭. প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund)
চাকুরীজিবীরা প্রতি মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ড এ তার স্যালারী থেকে একটি অংশ জমা করে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকেও একটি অংশ দেয়া হয়। এই দুই অংশের উপরই আয়কর রিবেট পাওয়া যায়।

আরও দেখুন:
টিন সার্টিফিকেট কেন প্রয়োজন হয়?
টিন থাকলেই কি রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক?
কিভাবে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা যায়?
যাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে

আশা করছি এই লেখার মাধ্যমে কিছুটা হলেও আয়কর রিবেট পেতে স্বচ্ছ ধারনা পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button