খেলাপি ঋণ

খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে চাই একটি ‘বিগ পুশ’

কেউ মানুক আর না-ই মানুক, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বিবদমান শীর্ষ জাতীয় সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে ব্যাংক খাতের ‘খেলাপি ঋণ সমস্যা’। এ সমস্যা অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে। তবে বর্তমানের অবস্থা নিকট অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ। ২০১৮ সাল শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা, যা আমাদের জাতীয় বাজেটের এক-চতুর্থাংশ! ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা, যা পদ্মা সেতুর বাজেটের দুই-তৃতীয়াংশের সমান। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, দেশে এখন (ডিসেম্বর, ২০১৮ ভিত্তিক) ঋণখেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ (হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার কারণে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির যোগ্য কিছুসংখ্যক ঋণখেলাপির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি), যা মালদ্বীপের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি! এভাবে চলতে থাকলে দেশের ব্যাংক খাতের পঙ্গুত্ববরণ করতে বেশিদিন লাগবে না।

সাধারণত ছয় মাস বা তদূর্ধ্ব মেয়াদে অনাদায়ী থাকা ঋণগুলোকেই খেলাপি (ডিফল্টার) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ছয় মাসের কম সময় ধরে অনিয়মিত বা অনাদায়ী ঋণগুলোর সঙ্গে অবলোপনকৃত (রিটেন অফ), পুনঃতফসিলকৃত (রিশিডিউলড) ও পুনর্বিন্যাসকৃত (রিস্ট্রাকচার্ড) ঋণের পরিমাণ যোগ করলে এ খাতে খেলাপির আসল চিত্র বিভীষিকাময় প্রতীয়মান হবে নিশ্চয়। তবুও আমরা আশাবাদী। কারণ আমরা জানি, ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালন’—এটাই প্রকৃতির বিচার।

না! আমরা আমাদের ক্রমাগত ডুবে যাওয়া অর্থনীতির ত্রাতা হিসেবে একজন আ হ ম মুস্তফা কামালকে পেয়েছি। তাই আমরা আশায় বুক বাঁধতে চাই। ‘খেলাপি ঋণ আর ১ টাকাও বাড়বে না’ বলে তিনি যে প্রতিশ্রুতিপূর্ণ শপথবাক্য উচ্চারণ করেছেন, তা নিশ্চয় খেলাপি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কাজ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

খেলাপি ঋণ পর্যালোচনায় কমিটি গঠনের কথা বলেছেন নতুন অর্থমন্ত্রী। তবে এ কমিটি যদি সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনা রোধবিষয়ক কমিটির মতো বিতর্কিত হয়, তাহলে কোনো ফল আসবে না। কোনো খেলাপির সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, দলনিরপেক্ষ, সরকারের আজ্ঞাবহ নয় এমন ব্যক্তিরাই যেন স্থান পান কমিটিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক একাধিক গভর্নরের নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের এমডি (একটি বিদেশী ব্যাংকের এমডিসহ), অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের দুজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠন করা যেতে পারে এ কমিটি। তবে কমিটি গঠনের আগে সরকারের পক্ষ থেকে এ কমিটির যেকোনো সুপারিশ যে কারো পক্ষে বা বিপক্ষেই যাক না কেন, তা বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে এবং তা রক্ষা করতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

নিজস্ব কিছু উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে প্রতিটি ব্যাংককে। ক্লাসিফায়েড, রিটেন অফ, রিশিডিউলড, রিস্ট্রাকচার্ড ও দুর্বল ঋণগুলো চিহ্নিত করে যথাশিগগির প্রধান কার্যালয়ে রিকভারি মনিটরিং কমিটি এবং শাখা পর্যায়ে রিকভারি টিম গঠন করে প্রত্যেক নির্বাহী এবং কর্মকর্তাকেই নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্টের আদায়ের দায়িত্ব দিয়ে নিয়মিত জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের নেতৃত্বে নিয়মিত ক্যাম্পেইন ও তদারকির পাশাপাশি শাখাগুলোও নিয়মিত আদায় কার্যক্রমের অতিরিক্ত মাসের অন্তত একটি দিন ‘রিকভারি ডে’ পালন করবে। আদায়ে পারদর্শী নির্বাহী ও কর্মকর্তাকে প্রেষিত করণার্থে আর্থিক প্রণোদনা ও বিশেষ পদোন্নতির বিধান রাখা যেতে পারে।

যেসব শাখায় খেলাপি ঋণের আধিক্য আছে সেসব শাখায় বর্তমান লোকবলের অতিরিক্ত অন্তত একজন রিকভারি অফিসার নিয়োগ দিতে হবে, যাকে রিকভারি ব্যতীত অন্য কোনো দায়িত্ব দেয়া যাবে না। বিভিন্ন রিকভারি এজেন্টও নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট ছাড়ে কিছুসংখ্যক খেলাপি ঋণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসব এজেন্সিকে উৎসাহী করতে সহজ প্রক্রিয়ায় নামমাত্র ফিতে লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। এসব এজেন্সি রিকভারি কার্যক্রমের অতিরিক্ত নিলামকৃত সম্পত্তি বিক্রয়ে মধ্যস্থতার পাশাপাশি নিজেরাও ক্রয় করতে পারবে। সরকারের পক্ষ থেকেও এমন একাধিক এজেন্সি গঠন করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনসাপেক্ষে কুইক হিলের জন্য সীমিত সময়ের জন্য ১০ বছরের অধিক সময় ধরে অনাদায়ী ঋণগ্রহীতা যারা এককালীন সব ঋণ পরিশোধ করবেন, তাদের সুদ ও মূল ঋণের একটি অংশ মওকুফের অফার দেয়া যেতে পারে।

সুস্থ ঋণের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুস্থ ও সঠিক ডকুমেন্টেশন, যা ঋণের পক্ষের দলিল ও প্রমাণ। তাই শাখাগুলোয় ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়াকে কমপ্লায়েন্ট করতেই হবে। এজন্য প্রতি বছর বেস্ট ডকুমেন্টেশন কমপ্লায়েন্ট শাখা নির্বাচন করে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি ডকুমেন্টেশন নন-কমপ্লায়েন্ট শাখাগুলোকে জরিমানা ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

যে ব্যক্তি কোনো ব্যাংকের খেলাপি, তাকে অন্য কোনো ব্যাংক আর কোনো ধরনের ব্যাংকিং সেবা ও সুবিধা দিতে পারবে না। এক ব্যাংকে ঋণ অনিয়মিত বা খেলাপি হলে তখন সেই ব্যক্তির অন্য ব্যাংকে ভাব জমানোরও নজির আছে। যে ব্যাংকে খেলাপি, সেই ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ করে দিয়ে পার্শ্ববর্তী আরেক ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং লেনদেন করতে দেখা যায়। তাই এমন ব্যক্তির ব্যাংকিং সেবায় সব ব্যাংককে একযোগে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করতে হবে। তবে হ্যাঁ, খেলাপিরাও বোকা নয়, তৃতীয় কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে হাসিল করিয়ে নিতে পারেন ব্যাংকিং কার্যটি। তবে যাই হোক, খেলাপি ও মন্দ ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টিভঙ্গি তো তৈরি হবে! আর খেলাপিদের জন্য এটি সতর্কবার্তা হিসেবেও কাজ করবে।

বর্তমানে অনলাইন ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, আরটিজিএস, বিইএফটিএন ইত্যাদি সুবিধার মাধ্যমে রিয়েল টাইম অ্যানি-ব্র্যাঞ্চ ও অ্যানি-ব্যাংক ব্যাংকিং সম্ভব হচ্ছে। তাই ফান্ডেড ঋণের ক্ষেত্রে নগদ উত্তোলন রীতি পরিহার করে ঋণগ্রহীতার নির্দিষ্ট কিছু সাপ্লাইয়ারের হিসেবে ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফান্ড ডাইভার্সন বন্ধ হয়ে আসবে। এক্ষেত্রে ঋণ আবেদনেই গ্রাহককে তার সাপ্লাইয়ারদের নাম, তাদের ব্যাংক ও ব্যাংক হিসাব নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

নিজের ব্যাংকের ঋণ অনাদায়ী হলে সিআইবিতে রিপোর্টিং হয়। আনক্লিন সিআইবির কারণে সিসি ঋণদাতা অন্য ব্যাংকটি সেই সিসি ঋণ আর নবায়ন করতে পারে না। আর এ সুবিধাটিই কাজে লাগাতে চান টার্ম লোন প্রদানকারী ব্যাংকটি। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওভার ফিন্যান্সিং ও মাল্টিপল ফিন্যান্সিংয়ের কারণে মাঝপথে দুটি ব্যাংকই বিপদাপন্ন হয়। তাই সিআইবি রিপোর্টে ঋণের তথ্যের পাশাপাশি ঋণদাতা সব ব্যাংকের নাম ও ঋণের উদ্দেশ্যও উল্লেখ করতে হবে এবং একই ব্যবসা বা পারপাসের বিপরীতে মাল্টিপল ফিন্যান্সিংয়ের জন্য পূর্ববর্তী ঋণদাতা ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করতে হবে। তা না মানলে প্রথম ব্যাংকের ঋণটি খেলাপি হলে দ্বিতীয় ব্যাংকটিকে তার দায় নিতে হবে।

যেকোনো ভেঞ্চারে (ব্যবসায়িক উদ্যোগ) গ্রাহকের অন্তত ৫০ শতাংশ মার্জিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বার্ষিক ক্রয় বা বিক্রয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত ঋণ প্রদানের সীমা নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে। যেমন বার্ষিক ক্রয়ের এক-চতুর্থাংশ অথবা টার্নওভারের এক-পঞ্চমাংশের বেশি ঋণ প্রদান করা যাবে না। তবে ঋণের আবেদনকারীকে ব্যাংকের কাছে ক্রয় বা টার্নওভারের পক্ষে যথাযথ প্রমাণ দাখিল করতে হবে, যেমন ব্যাংক বিবরণী (শুধু অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার বিবেচ্য হবে), চালান, বিক্রয় রশিদ, ক্রয় বহি, বিক্রয় বহি, ডিও ইত্যাদি বিবেচ্য হবে।

ফাঁকা বুলিসমৃদ্ধ অসত্য ও অবাস্তব নেটওয়ার্থ তৈরি না করে প্রমাণযোগ্য সম্পদ ও দায়ের ভিত্তিতে নেটওয়ার্থ তৈরি করতে হবে। তাই দায় জানতে সিআইবি রিপোর্টের পাশাপাশি ঋণগ্রহীতা ও জামিনদাতা উভয়ের কাছ থেকেই সম্পদের মালিকানা প্রমাণে জমিজমা, ফ্ল্যাট, বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদির মালিকানা দলিল, নামজারি খতিয়ান ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ (খাজনা রশিদ) গ্রহণ করতে হবে। আয়কর রিটার্ন, ব্যাংক হিসাবের বিবরণীও বিবেচনায় নিতে হবে। ঋণগ্রহীতা ও জামিনদাতাদের মোট নেটওয়ার্থের অর্ধেকের বেশি ঋণ না দেয়ার বিধান করা যেতে পারে।

৫০ লাখ বা তদূর্ধ্ব অংকের ঋণের জন্য অডিটেড আয় বিবরণী, ব্যলান্স শিট, প্রজেক্ট প্রোফাইল, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।

ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে সব গ্রাহকের জন্য একই আদলে তৈরি করা গত্বাঁধা অ্যানালাইসিস গ্রহণ না করে কাস্টমাইজড ক্রেডিট রিপোর্ট দিতে বলতে হবে। আইন করে সার্ভে কোম্পানির সঙ্গে এদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। প্রতিটি ঋণ প্রস্তাবে গ্রাহকের সম্ভাবনা বিধৃত করার পাশাপাশি ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জগুলোও উল্লেখ করতে হবে।

কোনো শাখার প্রতি ১০টি ঋণ মঞ্জুরির অন্তত একটি ঋণের জামানত ও ব্যবসায় দৈবচয়ন পদ্ধতিতে প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে ভিজিট করবেন। ঋণ অনুমোদনকারী সিআরএম প্রথম স্যাংকশনের সময় এবং প্রতিটি নবায়নে ও সীমা বর্ধিতকরণে ব্যবসায়, স্টক ও জামানতের ভিডিওচিত্র ও ছবি গ্রহণ করতে পারেন।

ঋণের কিস্তি পরিশোধের সামর্থ্য তথা ডেট বার্ডেন রেশিও মাথায় রেখে ঋণ প্রদান ও কিস্তি নির্ধারণ করতে হবে। কিস্তিভিত্তিক টার্ম লোনের ক্ষেত্রে গ্রস স্যালারি বা ইনকামের পরিবর্তে ‘টেক হোম’ ও ‘ডিস্পোজেবল’ স্যালারি বা ইনকামকেই বিবেচনা করা উচিত। মাসিক কিস্তি যেন টেক হোম স্যালারি বা ইনকামের এক-তৃতীয়াংশ এবং ডিস্পোজেবল স্যালারি বা ইনকামের অর্ধেকের বেশি না হয়।

আরও দেখুন:
ব্যাংক লোনের ১০টি বৈশিষ্ট্য
এসএমই (SME) কী? এসএমই এর গুরুত্ব

ব্যাংকগুলোর মধ্যকার অসুস্থ প্রতিযোগিতা রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এজন্য যেকোনো টেকওভার ও ব্যাংক সুইচের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্টিং বাধ্যতামূলক করতে হবে, যেখানে টেকওভার ও ব্যাংক সুইচের কারণ, গ্রাহকের প্রাপ্ত সুবিধাদি বর্ণনার পাশাপাশি বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত জামানতের পরিমাণ, মূল্যায়ন, পুনর্মূল্যায়ন ইত্যাদিরও উল্লেখ থাকবে। বর্তমানে ব্যাংক সুইচের ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক পুনরায় জামানতের মূল্যায়ন করেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অতিমূল্যায়ন করে থাকেন। গ্রাহকরা এ কারণেই ঘন ঘন ব্যাংক পাল্টাতে চান। তাই ব্যাংক সুইচের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ব্যাংক কর্তৃক জামানতের মূল্যায়ন পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে পরবর্তী ব্যাংক নতুন করে ওই একই জামানতের মূল্যায়ন করতে পারবে না, মূল্যায়ন করলেও পূর্ববর্তী ব্যাংকের চেয়ে বেশি মূল্য দেখানো যাবে না। এছাড়া গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাংক সুইচের প্রবণতা রোধে ঋণ গ্রহণের অন্তত তিন বছরের মধ্যে ব্যাংক সুইচ না করতে পারার বিধান করা যেতে পারে।

লেখক: মোশারফ হোসেন, ব্যাংকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button