বিনিয়োগ ও লোন

ব্যাংক লোনের ১০টি বৈশিষ্ট্য

প্রায় সব ব্যাংকই নির্দিষ্ট শর্ত ও সময় ধরে একটা ইন্টারেস্টের বিনিময়ে গ্রাহককে লোন দেয় বা টাকা ধার দেয়। প্রতিটি লোনের ক্ষেত্রেই ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। লোন থেকে ব্যাংক প্রফিট পায়। তবে গ্রাহকের জন্যে অন্যান্য ঋণের চেয়ে ব্যাংক ঋণ সাধারণত বেশি সুবিধাজনক। ব্যাংক ও গ্রাহক—দুই পক্ষের উদ্দেশ্যই যাতে পূর্ণ হয় সেজন্য ব্যাংক লোনের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেই বৈশিষ্ট্যগুলির কথাই এখানে বলা হচ্ছে।

১. দুই পক্ষ
প্রতিটি ব্যাংক লোনের দুটি পক্ষ থাকে। একটি ব্যাংক এবং অন্যটি লোনের আবেদনকারী। আবেদনকারী লোনের জন্য আবেদন করেন এবং ব্যাংক সেই আবেদন গ্রহণ করে। ব্যাংক যদি দেখে আবেদনে কোনো অসঙ্গতি আছে তাহলে সে আবেদন বাতিল করতে পারে।

২. লোনের পরিমাণ
লোনের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। ক্ষুদ্র, মাঝারি বা বড়। অনেক সময় যা আবেদন করা হয়েছে তার চেয়ে কিছু কম মঞ্জুর করা হয়। ব্যাংক কী পরিমাণ লোন দেবে তা নির্ভর করে আবেদনকারীর সামর্থ্য ও কী প্রয়োজনে লোন নেওয়া হচ্ছে তার ওপর।

৩. চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
লোনের আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ব্যাংক আবেদনের সম্পূর্ণ পরিমাণ মঞ্জুর করতে পারে, আংশিক মঞ্জুর করতে পারে, আবার একদম বাতিলও করে দিতে পারে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৪. লোনের ধরন
সাধারণত নগদ অর্থ হিসাবেই লোন দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম পরিমাণ অর্থের কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ বা অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয়।

৫. লোন হস্তান্তর
লোনের টাকা গ্রাহক একবারে নেবে না কিস্তিতে নেবে তা নির্ভর করে গ্রাহকের ওপর। সাধারণত লোনের টাকা একবারেই দেওয়া হয়, তবে ক্ষেত্রবিশেষে ধাপে ধাপে দেওয়ার রীতিও চালু আছে।

৬. লোন হস্তান্তরের পদ্ধতি
সাধারণত আবেদনকারী গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের বিপরীতে লোন দেওয়া হয়। তবে নতুন গ্রাহকের ক্ষেত্রে ব্যাংক একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলে। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই ব্যাংক লোন হস্তান্তর করে ব্যাংক।

৭. নিরাপত্তা
সাধারণত কোনো একটি জামানতের বিপরীতে লোন মঞ্জুর করা হয়। তবে অনেক সময় ক্ষুদ্র লোনের ক্ষেত্রে জামানত ছাড়াই ব্যক্তিগত গ্যারান্টিতে লোন দেওয়া হয়।

৮. লোনের মূল্য
ব্যাংক কখনোই ইন্টারেস্ট ছাড়া কোনো লোন দেয় না। ইন্টারেস্টের হার কত হবে তা নির্ভর করে লোনের ধরনের উপর।

৯. ব্যাংক লোনের মেয়াদকাল
লোনের ধরন, গ্রাহকের অবস্থান, গ্রাহকের সাথে ব্যাংকের সম্পর্ক ইত্যাদির বিষয়ের ওপর লোনের মেয়াদকাল নির্ভর করে। লোন স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।

১০. পরিশোধ
লোন সাধারণত কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু ওভার ড্রাফটের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং কোয়ার্টার অনুযায়ী ৩ মাস অন্তর শুধু সুদ পরিশোধ করলেই হয়। গ্রাহক চাইলে যে কোনো লোন একবারেও পরিশোধ করতে পারেন। তবে এ সব কিছুই নির্দিষ্ট শর্ত ও চুক্তির ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়।

আরও দেখুন:
জেনে নিন যে ১০টি ভুলে পারসোনাল লোন হয় না
জামানত নিয়ে ব্যাংকের বিড়ম্বনা ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
ঋণ খেলাপিদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন
ব্যাংক লোন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button