ইসলামী ব্যাংকিং

মোহাইমিনের শুভংকরের ফাঁকি ও ইসলামী ব্যাংকিং: ১০ম পর্ব

মুহাম্মদ শামসুজ্জামানঃ পূরো ব্যাংক ব্যবস্থাই মোহাইমিনের আক্রমণের শিকার, ইসলামী ব্যাংক বিশেষভাবে। তার মতে, ব্যাংক ব্যবস্থা ইচ্ছে করেই ৠণদাতাকে দেউলিয়ার দিকে ঠেলে দেয়। ব্যাংকগুলো মানুষকে ৠণ দিয়ে তাদের সম্পত্তি ব্যাংকের নামে নিয়ে নেয়। আর এভাবে সমাজকে শোষণ করে নিজেরা সম্পদশালী হয় এবং ৠণগ্রহীতা নিঃশেষ হয়।ইসলামী ব্যাংকও মানুষকে ৠণ দেয় এবং মুনাফা আকারে অতিরিক্ত নেয়। সুতরাং ফলাফল সমান।

Quote
ঋণ নেবার পর সবাই মিলে যত দুর্নীতি, অত্যাচার এবং লুটপাট করুক না কেন, সব ঋণ তারা কোনদিনই পূরণ করতে পারবে না। তাই ঋণ গ্রহীতাদের কিছু সংখ্যককে অবশ্যই দেউলিয়া হতে হবে। তারা দেউলিয়া হওয়ার সাথে সাথে তাদের সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে চলে আসবে। এভাবে ব্যাংক দিন দিন সম্পদশালী হতে থাকবে এবং সমাজ দিন দিন জীর্ণশীর্ণ হতে থাকবে। প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামি ব্যাংক কি ভিন্ন কোনো ভূমিকা পালন করে? উত্তর হচ্ছে- না। কারণ, অন্যান্য ব্যাংকের মতোই ইসলামি ব্যাংকও যা দেয়, তার চেয়ে বেশি ফেরত নেয়। তাই উপরের উদাহরণে প্রত্যেক জায়গায় ব্যাংক বা সুদি মহাজন কেটে ইসলামি ব্যাংক লিখে দিলে সমীকরণের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আসবে না। (পৃষ্ঠা ৫৩)
Unquote

আমরা ক্রমান্বয়ে ইসলামী ব্যাংকিং এর ব্যবসার মোড ও ম্যাকানিজমগুলো সবিস্তার বলে আসছি। ইসলামী ব্যাংকগুলো টাকার ব্যবসা করেনা। সুদী ব্যাংকের মূল কাজ টাকার কেনাবেচা করা। সুদভিত্তিক ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে জমা গ্রহণের নামে তাদের কাছ থেকে পূর্বনির্ধারিত সুদের ভিত্তিতে কম দামে টাকা কিনে পুনরায় পূর্বনির্ধারিত সুদের ভিত্তিতে সেই টাকা তথাকথিত ঋনগ্রহীতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রয় করে। এক্ষেত্রে সুদভিত্তিক ব্যাংকের সাথে তার গ্রাহকের সম্পর্ক খাতক ও মহাজন বা দাতা ও গ্রহীতার। অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংক টাকাকে কেনাবেচার পণ্য গণ্য করে না। টাকা নিজে কোন পণ্য নয়। টাকার ভূমিকা হলো বিনিময়ের মাধ্যম, পরিমাণ, মান ও ভান্ডারের। ইসলামী ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে ব্যবসায়ে অংশীদারিত্বের নীতির ভিত্তিতে মুদারাবা পদ্ধতিতে জমা গ্রহণ করে। ইসলামী ব্যাংকের মুনাফার সম্পর্ক ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে। মুনাফা হলো বিক্রেতার পুঁজি, শ্রম ও সময় বিনিয়োগের ফল। মুনাফা অনির্ধারিত ও অনিশ্চিত; কিন্তু সুদ পূর্বনির্ধারিত ও নির্দিষ্ট। এতে একপক্ষের লাভ নিশ্চিত, কিন্তু অন্যপক্ষের লাভের কোন নিশ্চয়তা থাকে না।

পণ্য বেচাকেনায় মুনাফা কি পরিমাণ করতে পারবে, ব্যক্তি বা ব্যাংক, শরিয়াহ তার সীমা নির্ধারণ করেনি। তবে কিছু মূলনীতির কথা বলা হয়েছে। মনোপলি বা কার্টেল করে বাজারে ভোক্তাদের জিম্মি করে মূনাফা অর্জন ইসলামে নিষিদ্ধ, যেমন নিষিদ্ধ চোরাকারবারী, গুদামজাতকরণ ও প্রতারণা করা। কিন্তু ইসলামী অর্থনীতি ইসলামী মূল্যবোধের ওপর ভিত্তিশীল। এখানে মানুষ হচ্ছে ‘ইসলামিক র‍্যাশনাল ম্যান’। মুনাফা সর্বোচ্চকরণ- পুঁজিবাদী এই দর্শনের স্থান ইসলামী অর্থনীতিতে নেই। সুতরাং ইসলামী অর্থনীতিতে মুনাফার সীমা নির্ধারিত থাকা উচিত। কারো কারো মতে, “এই সীমা মোট পুঁজির ১০% বা ৩৩% এর অধিক হওয়া উচিত নয়। কিন্তু ইসলামী শরীয়তে এই মতের পক্ষে কোন দলিল-প্রমাণ পাওয়া যায় না।”

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

ইসলামী অর্থনীতিতে মুনাফার সীমা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ড. মান্নান বলেছেন যে, ইসলাম মুনাফার অনুমোদন দিয়েছে সীমাবদ্ধ অর্থে। সুতরাং ইসলামে মুনাফা হবে স্বাভাবিক (Normal) মুনাফা যেখানে কোন নতুন ফার্মের জন্য কারবারে প্রবেশের প্রবণতা থাকবে না; আবার পুরাতন কোন ফার্মও কারবার থেকে বেরিয়ে যাবে না। (Introduction of Islamic Economics by Dr. Mannan M.A)

ড. নাজাতুল্লাহ সিদ্দিকী এক্ষেত্রে সন্তোষজনক (Satisfactory Profits) মুনাফার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে, ইসলামী অর্থনীতিতে ইসলামের কোন বিধি-বিধান লংঘন না করে সর্বোচ্চ যে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব সেটাই হবে মুনাফার ঊর্ধ্বতন সীমা অপরদিকে উৎপাদনকারীর জন্য ভালভাবে জীবন যাপন এবং অতীত লোকসান পূরণের জন্য যথেষ্ট মুনাফাই হচ্ছে লাভের নিম্নতম সীমা। তাঁর মতে এই ঊর্ধ্বতন ও নিম্নতম সীমার মধ্যবর্তী যে কোন পরিমাণ মুনাফাই হচ্ছে ‘সন্তোষজনক মুনাফা’।

মুনাফার সীমা সম্পর্কে ড. আরীফের অভিমত হচ্ছে, কোন ফার্মের AR (Average revenue বা গড় আয়) যেখানে AC-এর (Average cost বা গড় ব্যয়ের) সমান হবে। ইসলামী অর্থনীতিতে সেটাই হবে ভারসাম্য বিন্দু এবং এই পর্যায়ে যে পরিমাণ মুনাফা পাওয়া যাবে। একজন মুসলিম উদ্যোক্তার মুনাফা সেই পরিমাণই হওয়া উচিত।

এলমি নূরের মতে, সামাজিক বিচারে এসবই হচ্ছে সদিচ্ছা (Good Wishes); কিন্তু এর মৌলিক যুক্তি ও অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা প্রশ্নাতীত নয়। তাঁর মতে, মুনাফা অর্জনের প্রচেষ্টাকে ভ্রাতৃত্বসুলভ, মানবিক বিবেচনা বা ইহসান ও বদান্যতার সাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। কারণ, ইহসান হচ্ছে ব্যবসায়িক কার্যাবলী ও প্রচেষ্টা থেকে আলাদা। আর ব্যবসায়িক কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে অধিকতর মুনাফা অর্জন করা।

জেড, হাসানের উদ্ধৃতি দিয়ে নূর লিখেছেন যে, আপাতদৃষ্টিতে সর্বোচ্চ মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যকে অর্থ-লিপ্সা এবং ইসলামী নৈতিক বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে হয়; কিন্তু তার পরেও ইসলামী অর্থনীতিতে এ তত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

তিনি দেখিয়েছেন, মুনাফা সর্বোচ্চকরণ ধারণার একটি সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য আছে; সেজন্য মানুষের অর্থনৈতিক আচরণ বিশ্লেষণ এবং এ সম্পর্কে ভবিষ্যৎ ধারণা (Predictive) করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মুনাফা তত্ত্বই যথার্থ তত্ত্ব বলে গণ্য হতে পারে। পরিবর্তনশীল (Dynamic) অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুকাবিলায় এ ধারণাই কোন ফার্মকে সৃজনশীল ও সম্প্রসারিত হতে প্রেরণা যোগায়। বস্তুতঃ ইসলাম মুনাফার কোন সীমা নির্ধারণ করে দেয়নি। এমনকি, হাদীসে দেখা যায় যে, বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে আল্লাহর রাসূল (সা:) পণ্য-সামগ্রীর দাম বেঁধে দিতেও রাজী হননি; বরং তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন যে, “দাম তো আল্লাহ নির্ধারণ করেন, সংকীর্ণতা ও প্রশস্ততা দানকারী একমাত্র তিনিই এবং তিনিই রিযিকদাতা”। (মিশকাত ২৭৬৮ এমদাদিয়া লাইব্রেরি)

এ ছাড়া উবাদা ইবনে সামিত বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, “তোমরা যে কোন মূল্যে বিক্রি করতে পার” বলে ক্রেতা-বিক্রেতা কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন মূল্যকেই বৈধ করে দিয়েছেন। এই বাণী দ্বারা তিনি বাজারে চাহিদা ও যোগানের দ্বারা নির্ধারিত মূল্যের প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। আর এই পদ্ধতিতে নির্ধারিত মূল্যে যখন যে পরিমাণ মুনাফা আসে সেই মুনাফাই হচ্ছে স্বাভাবিক ও অনুমোদিত মুনাফা।

অন্য এক হাদীসে নবী (সা:) এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, “জাবির (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কোন শহরবাসী যেন কোন পল্লীবাসীর পক্ষে কেনাবেচা না করে। লোকদের স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দাও। আল্লাহ তাআলা তাদের একের দ্বারা অপরের রিযিকের ব্যবস্থা করেন। (মুসলিম ৩৬৮৪)

এই হাদীসের নির্দেশ স্পষ্ট; লোকদের স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দিতে হবে। অন্য আর একটি হাদীস থেকে জানা যায় যে, কুরবানীর বকরী কিনতে গিয়ে এক সাহাবী (হাকিম বিন হিযাম রাঃ) শতকরা ১০০ ভাগ মুনাফা করেন; এর পরেও রাসূলুল্লাহ (সা:) তাঁর ব্যবসায় বরকত দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোআ করেছেন। (তিরমিযি ১১৯৪)

প্রকৃতপক্ষে ইসলাম সম্পদের ব্যক্তি মালিকানাকে অনুমোদন করেছে, ইসলামী মূল্যবোধের আওতায় উদ্যম-উদ্যোগের স্বাধীনতা দিয়েছে, মুনাফাকে আল্লাহর নিয়ামত বা অনুগ্রহ ঘোষণা করেছে, দামের (Price) মাধ্যমে সম্পদ বরাদ্দ, বণ্টন ও বিনিময়ের ব্যবস্থা করেছে, বাজারে চাহিদা-যোগানকে স্বাভাবিক রাখার জন্য যথোপযুক্ত বিধি-বিধান দিয়েছে এবং সুদসহ সকল প্রকার জুলুমমূলক লেনদেন নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। ইসলামের ইত্যাকার সীমার মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা হলে তা অবৈধ হওয়ার কোন কারণ নেই। তাছাড়া মুনাফাই হচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, উৎপাদন, উন্নতি ও সমৃদ্ধির আসল চাবিকাঠি।

সুতরাং মুনাফার সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া ইসলামের কাম্য নয়। সর্বোপরি প্রত্যেক কারবার তথা বিনিয়োগে সর্বোচ্চ লাভের সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনি লোকসানের মাধ্যমে সাকল্য পুঁজি খোয়া যাওয়ার আশংকাও রয়েছে। আর একথা সত্য যে, লোকসানের কোন সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং এর বিপরীতে লাভের কোন সীমা না থাকাটাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, ন্যায় ও সুবিচার কায়েম করাই ইসলামের উদ্দেশ্য সুতরাং কোন ব্যক্তি যাতে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে; সে জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল ভিত্তি হতে হবে পারস্পরিক সহযোগিতা, পারস্পরিক কল্যাণ, সামষ্টিক স্বার্থ এবং ন্যায়সঙ্গত লেনদেন ও ক্রয়-বিক্রয়।

ক্রয়-বিক্রয় ও মুনাফা মানব সমাজের অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয়। দুনিয়ায় মানুষের অভাব অসীম ও বহুমুখী। কিন্তু পৃথিবীতে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা জাতিই তার সকল অভাব পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পণ্য-সামগ্রী ও সেবা একা নিজেই উৎপাদন করতে পারে না। এজন্য যে বহুমুখী যোগ্যতা-প্রতিভা, উপায়-উপকরণ ও পরিবেশ দরকার তাও এককভাবে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও জাতির আয়ত্তে নেই। এখানে প্রত্যেকে কেবল সেই পণ্য-সামগ্রী বা সেবা উৎপাদন করে যা উৎপাদন করায় তার সর্বাধিক যোগ্যতা-প্রতিভা রয়েছে, যার প্রতি তার ঝোঁক-প্রবণতা বেশি, যার উপায় উপকরণ তার জন্য সহজলভ্য এবং পরিবেশ সবচেয়ে বেশি অনুকূল।

আরও দেখুন:
✓ মোহাইমিনের শুভংকরের ফাঁকি ও ইসলামী ব্যাংকিং: ৯ম পর্ব

এক কথায়, প্রত্যেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও জাতি কেবল সেই সব পণ্য-সামগ্রী ও সেবা উৎপাদন করে যা। সে সর্বাধিক দক্ষতার সাথে এবং তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম খরচে উৎপাদন করতে সক্ষম। অতঃপর সে তার উৎপাদিত পণ্য-সামগ্রীর উদ্বৃত্তাংশের বিনিময়ে অন্য ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা জাতির কাছ থেকে অপরাপর পণ্য-সামগ্রী ও সেবা ক্রয় করে তার যাবতীয় অভাব পূরণ করে থাকে। এভাবে সর্বনিম্ন খরচে সর্বাধিক উৎপাদন সম্ভব হয়। আর পারস্পরিক বিনিময় ও ক্রয়-বিক্রয় হয়ে ওঠে অত্যাবশ্যকীয়।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এ্যাডাম স্মিথ ও ডেভিড রিকার্ডোই হচ্ছেন পাশ্চাত্যের সর্বপ্রথম অর্থনীতিবিদ যারা ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে সকল পক্ষের উপকৃত হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এবং তুলনামূলক সুবিধা তত্ত্বের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। বস্তুতঃ দ্রব্য-সামগ্রী ও সেবার পরস্পর বিনিময় ও ক্রয়-বিক্রয়ের অনুপস্থিতিতে ব্যক্তির অস্তিত্ব যেমন বিপন্ন হতে বাধ্য, তেমনি ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া গোষ্ঠী ও জাতির অস্তিত্বও কল্পনা করা যায় না। সুতরাং ক্রয়-বিক্রয় কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য।

লেখকঃ মুহাম্মদ শামসুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।

একটি মন্তব্য

  1. মাশাআল্লাহ। মোঃ শামসুজ্জামান স্যারের মর্যাদা আল্লাহ বাড়িয়ে দিক। মোহাইমিন সহ আমাদের অনেকের মনের প্রশ্নগুলোর, মনের সন্দেহ গুলোর সুন্দর জবাব দিয়েছেন শামসুজ্জামান স্যার। আমাদের অনেকের মনের সন্দেহ গুলো দূর করেছেন। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক স্যার।
    আমরা যত বেশি ইসলামী ব্যাংকের বিরোধিতা করবো তত বেশি সুদি ব্যাংকগুলো এদেশে জেগে উঠবে,বেড়ে উঠবে তাদের সংখ্যা।

Leave a Reply to Ms sahed hossain sahed Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button