বাসেল-৩ বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
দেশের ব্যাংকগুলোকে লিভারেজ অনুপাত প্রতি বছর ২৫ শতাংশ করে বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর তা ২০২৩ সাল থেকে বাড়াতে হবে। লিভারেজ অনুপাত বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০২২ সাল পুরোটাই প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যাসেল-৩ কাঠামো অনুযায়ী ব্যাংকের মোট টিয়ার-১ মূলধন ও মোট সম্পদের অনুপাতকে লিভারেজ অনুপাত বলা হয়।
বুধবার (১৮ আগস্ট, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৮) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে দেশের ব্যাংকিং খাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন করা হলেও ঝুঁকি-ভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার ন্যায় ব্যাংকের লিভারেজ অনুপাত তুলনামুলকভাবে কাম্যস্তরে বৃদ্ধি পায়নি। লিভারেজ অনুপাত কাক্ষিত পর্যায়ে উন্নীতকরণের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে তফসিলি ব্যাংকসমূহের আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া লিভারেজ অনুপাত বৃদ্ধি পেলে ব্যাংকের গুনগত মূলধন বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে অপ্রত্যাশিত ক্ষতির বিপরীতে ব্যাংকের ঝুঁকি সহনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।
আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সাথে সামঞ্জস্য বিধানকল্পে ব্যাংকগুলোকে লিভারেজ অনুপাত ২০২৩ সাল হতে বাৎসরিক ০.২৫ শতাংশ হারে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে বিদ্যমান ৩ শতাংশের স্থলে ২০২৬ সালে ৪ শতাংশে উন্নীত করতে হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এর আগে ২০১৪ সালে জারি করা গাইডলাইন্স অন রিস্ক বেইজড ক্যাপিটাল এডুকেসির প্রতি ব্যাংকগুলোকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ওই গাইডলাইন্সের ৪ নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে এবং ব্যাংকের মূলধন ও দায়ের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য রক্ষার্থে ব্যাসেল-৩ কাঠামোর আলোকে ঝুঁকি-ভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার পাশাপাশি তফসিলি ব্যাংকসমূহকে ২০১৫ সাল হতে ন্যূনতম শতকরা ৩ শতাংশ লিভারেজ অনুপাত সংরক্ষণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ওই গাইডলাইন্সের ৪.৪ নং অনুচ্ছেদে ২০১৭ সাল হতে লিভারেজ অনুপাত পুনর্বিন্যাস করার পরিকল্পনার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরও দেখুন:
◾ ঋণ/ লিজ/ বিনিয়োগ এর অর্থ ছাড়করণ
উক্ত সার্কুলারে আরোও বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।