৯ শতাংশে নেমেছে ঋণের প্রবৃদ্ধি
বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিতে ভাটার টান অর্থবছরের শুরু থেকেই। এখন পর্যন্ত তার নিম্মমুখী ধারা অব্যাহত। গত আট মাস ধরে টানা নামছে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। অন্যদিকে বেড়েই চলেছে সরকারের ঋণের বোঝা। যাকে অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের বলছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই অংক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে এতদিন এমনিতেই ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা ঋণ নিচ্ছিলেন না। এমন অবস্থায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। এই আশায় কেউই হয়তো ঋণ নিচ্ছেন না। ফলে ঋণের প্রবৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ঋণের এই নিম্নগামী পরিস্থিতি আরও কিছুদিন থাকতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আর্থিক খাতে। এই মহামারির শেষ কোথায় তা কেউ জানে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে বেসরকারি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ১০ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে স্বাভাবিক আমদানি বন্ধ, রফতানিও অনেকটা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে ৩৯ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। ইতিমধ্যেই আর্থিক খাতে করোনার প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। এই প্রভাব কমাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন সরকার। তবে দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যাংক সেবা পেতে পারেন সে দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের শুরুতে ঋণপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। কয়েক দফা এডিআর সমন্বয়ের সীমা বাড়ানো হলেও ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত আছে।