স্মারক নোট বা মুদ্রা কী?
স্মারক নোট দিয়ে কোন প্রকার কেনাকাটা করা যায় না। এমনকি স্মারক মুদ্রা কোন প্রকার বিনিময় মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করা যায় না। এ ধরনের মুদ্রা কেবল সংগ্রহ করেই রাখা যায়।
স্মারক নোট বা মুদ্রা
স্মরণ থেকেই স্মারক শব্দের উৎপত্তি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, স্থান ও ঘটনাসমূহকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে প্রতিকী মুদ্রা বা নোট ছাপে, তাই স্মারক মুদ্রা। বাংলাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানের স্মারক মুদ্রা ও নোট মুদ্রণ করা হয়ে থাকে। যেমন- ২০১৩ সালে জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক নোট প্রকাশ করে। আট একর জমির ওপর নির্মিত চারতলা এ ভবনের ছবি ওই স্মারক নোটে উঠে এসেছে।
স্মারক নোটের মান অনিয়মিত হয় কেন?
মুদ্রা বাজারে বিনিময়যোগ্য প্রচলিত মুদ্রা থেকে স্মারক নোটকে আলাদা করার জন্যই এ ধরনের নোটের মান সাধারণত অনিয়মিত মানের যেমন- ২৫, ৪০, ৬০, ৭০ এ রকম করা হয়ে থাকে। তবে ১০০ টাকারও স্মারক নোট রয়েছে।
স্মারক নোট দিয়ে কি কেনাকাটা করা যায়?
স্মারক নোট দিয়ে কোন প্রকার কেনাকাটা করা যায় না। এমনকি স্মারক মুদ্রা কোন প্রকার বিনিময় মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করা যায় না। এ ধরনের মুদ্রা কেবল সংগ্রহ করেই রাখা যায়। মানুষ যেমন মাইকেল জ্যাকসনের ব্যবহৃত একটা সিগারেট পাইপ ১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে রাখতে চাইবে, কেবল তার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। অথবা ধরুন, কোনো কাজে লাগে না এমন একটা শোপিস অনেক টাকা খরচ করে আপনি কিনে রেখে দিলেন। স্মারক মুদ্রাও তেমন। এটি আপনি ব্যাংক থেকে একবারের জন্য কিনে নিয়ে যেতে পারবেন। এরপর সারা জীবন দেখবেন, আর মনে মনে আত্ম-তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেন।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |