ব্যাংক ঋণ বিতরণ নীতিমালা শিথিলের মেয়াদ বাড়ল
ব্যাংক ঋণ বিতরণ নীতিমালা শিথিলের মেয়াদ বাড়ল- ব্যাংকের ঋণ বিতরণের নীতিমালা শিথিলের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক সক্ষমতা কম থাকলেও ঋণ পাওয়া যাবে।
বুধবার (০৩ জানুয়ারি, ২০২৪) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও দেখুন:
◾ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার
সার্কুলারের বিধি-বিধান এখন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সার্কুলারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। ওই দিন থেকে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারের বিধি-বিধান কার্যকর হবে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন বছর শেষে গ্রাহকদের আর্থিক বিবরণী তৈরি করে তা ব্যাংকে দিতে হয়। আর্থিক বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে আগের নিয়মে ঋণমান ৭৫ শতাংশের বেশি পেলে অতি উত্তম, ৬৫ শতাংশের বেশি কিন্তু ৭৫ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৫০ শতাংশের বেশি কিন্তু ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫৫ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের বিদ্যমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিদ্যমান ঋণ নবায়ন অব্যাহত রাখতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঋণমান ৮০ শতাংশের বেশি পেলে অতি উত্তম, ৭০ শতাংশের বেশি কিন্তু ৮০ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৬০ শতাংশের বেশি কিন্তু ৭০ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৬০ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। ৫০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না।
নির্দেশনা অনুযায়ী, রেটিং করার ক্ষেত্রে একটি পার্টি বা গ্রাহকের পরিমাণগত সক্ষমতায় ৬০ শতাংশ নম্বর এবং গুণগত সক্ষমতায় ৪০ শতাংশ নম্বর থাকবে। পরিমাণগত সক্ষমতা সূচকে ৬০ নম্বরের মধ্যে মোট গৃহীত ঋণ ও আর্থিক সক্ষমতায় ১০, চলতি দায় ও তরল সম্পদে ১০, মুনাফার সক্ষমতায় ১০, সুদ পরিশোধের সক্ষমতা ও নগদ প্রবাহের ওপর ১৫, পরিচালনগত দক্ষতায় ১০ এবং ব্যবসার মানের ওপর ৫ নম্বর থাকবে। এছাড়া, গুণগত সক্ষমতায় ৪০ নম্বরের মধ্যে কার্যদক্ষতার আচরণে (পারফরম্যান্স বিহ্যাভিয়র) ১০, ব্যবসা ও খাত ঝুঁকিতে ৭, ব্যবস্থাপনা ঝুঁকিতে ৭, জামানত ঝুঁকিতে ১১, সম্পর্ক ঝুঁকিতে ৩ এবং পরিপালন ঝুঁকিতে ২ নম্বর থাকবে।