আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ইসলামী বিনিয়োগ: শ্রেষ্ঠ বিকল্প

আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ইসলামী বিনিয়োগ: শ্রেষ্ঠ বিকল্প – ইসলামী ব্যাংকের ফার্স্ট প্রটোকল হচ্ছে ইসলাম…দেন ব্যংকিং…ইসলাম বা ইসলামী সমাজ তৈরিতে আমাদের দেশের ইসলামী ব্যাংকের ভূমিকা কতটুকু? থিওরিটিক্যালি ইসলামী ব্যাংক সুপিরিয়র কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি নয়….
ইসলামী ব্যংকগুলোর সমন্বিত সংগঠন আইবিসিএফ এর সেমিনারে হোটেল সোনারগাঁও-এ এ কথাগুলো বলেন ড. তৌফিক সাহেব। চমৎকারভাবে প্রতিটি কথাই এক এক করে মিলে যাচ্ছিল….
ইসলামি ব্যাংক তো অন্য ব্যাংকের মুনাফার সাথে কম্পিটিশন করবে না, তাদের লক্ষ্য হবে ইসলাম। আর ইসলাম হচ্ছে সমাজের মানুষকে নিয়ে…সমাজের মানুষের জন্য কী করা হলো কী করা গেলো না…ইত্যাদি….তিনি আরও বলেন এটি কারও কাছে কুক্ষিগত থাকা উচিৎ নয়, বরং এটি সর্বজনীন হতে হবে।…
সকল ব্যাংকের ইসলামী শাখা ও ইসলামী ব্যাংকগুলোর এই সেমিনারে বক্তারা এই কথাগুলো বলতে পারলেন! আর আমি যখন বললাম—“ইসলামী ব্যাংক ব্যাংকিং জগতে অনেকদূর এগিয়েছে কিন্তু ইসলামী জগতে অনেকদূর পিছিয়েছে…ব্যাংকিং ই যদি টার্গেট হয় তাহলে ব্যাংকিংই করুন…ইসলামী নাম দিয়ে কেন?”
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
তখন আমাকে যারা গালি গালাজ করেছেন তারা আজ এই সোনারগাঁওয়ের সেমিনারে ছিলেন না। কারণ তৌফিক সাহেবের কথার বিরোধিতা কেউ করেননি। বরং মডারেটর (এক্সিম ব্যাংক) নূরুল ফজল বুলবুলতো বলেই ফেললেন তৌফিক সাহেব গবেষক ও দার্শনিক মানুষ তার কথাগুলো আমাদের চিন্তায় ঝড় তুলছে, এ নিয়ে আমাদের সবারই ভাবতে হবে।….
মজার ব্যাপার হচ্ছে যে উপস্থাপনা এঙ্কারিং বা মডারেটর যা-ই বলি বুলবুল সাহেব চমৎকার পারফর্ম করেছেন। তিনি এতো প্রাণবন্ত ভাবে এড্রেসিং করছিলেন পুরো সেমিনারটাই ভাবগম্ভীর আবহ থেকে আন্তরিক ও প্রাণবন্ত মিটিং এ পরিণত হয়েছে।… আমার আশপাশে যারা ছিলেন তারাও দেখলাম বেশ এনজয় করছেন।
যাই হোক…
বক্তব্যের মাঝে ধারাবাহিকভাবে এলো ইসলামী ব্যাংক নামের যে ইসলামী ব্যাংক সেটির এমডি আব্দুল হামিদ মিয়ার পালা। তিনি সেমিনারে উত্থাপিত বক্তব্যের কিছু সমালোচনা করেছেন। প্রশংসা করেছেন। কী থাকলে ভালো হতো কী নেই তাও বলেছেন। কিন্তু একটা কথায় আমি টাশকি খেয়ে গেলাম। তিনি বলেছেন সেমিনারের এই বক্তব্যে সূদের বিরুদ্ধে কথা বেশি বলা হয়ে গেছে। এতো দরকার ছিল না। সূদ ইসলামে হারাম কিন্তু অন্যরা তো এই ব্যাবস্থা মেনে নিয়েছে, তারা কি এর মাধ্যমে সফল হচ্ছে না?
অর্থাৎ ‘সূদ খারাপ হলেও এটা ধর্মীয় ব্যাপার…অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একে এতো খারাপ ভাবার কিছু নাই।’ খুব জ্বলতে পুড়তে ছিলাম। ইসলামী ব্যাংকে তাহলে সত্যিই সেই ভূত ঢুকে পড়েছে? সূদের পক্ষে সাফাই গাইছে? যেখানে অত্যন্ত বস্তুনিষ্টভাবে পয়েন্টভিত্তিক আকারে সূরে ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেমিনারের মূল প্রবন্ধে সেখানে ইলামী ব্যাংকের এমডি বলছেন সূদ নিয়ে এত নেতিবাচক কথা বলার দরকার ছিল না!…
ভাগ্যিস সর্বশেষ বক্তাই বোধয়, আল আরাফা ব্যাংকের এমডি সাহেব এসে বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, সূদ হারাম। এর পক্ষে সাফাই গাওয়ার সুযোগ নেই। আপাতদৃষ্টিতে ভালো দিক চোখে পড়লেও এটা ক্ষতিকর বলেই ইসলাম একে হারাম করেছে। অতএব এই হারাম নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার নেই কারও। মানে সফল/ ভালো এসব বলার সুযোগ নেই।…
থ্যাংক ইউ আল আরাফাহ ব্যাংকের এমডি সাহেব। আপনার দৃঢ়তা এবং সত্য বলার সাহসী চেতনাকে অন্তর থেকে সাধুবাদ জানাই। থ্যাংক ইউ তৌফিক সাহেব। ইসলামী ব্যাংক প্রথমে ইসলামী তারপর ব্যাংক…
একচুয়েলি…তরল টাকা ফেলে না রেখে আর্থসামাজিক খাতে বিনিয়োগ করতে হবে যাতে সমাজ ইসলামী হয়ে ওঠে, কল্যাণময় ওয়ে ওঠে…মানুষে মানুষে বৈষম্য ঘোচে….
ও ভালোকথা। ইফতারির মান ভালো ছিল। ডিনার প্যাকেট দেয়ার আইডিয়াটাও ভালো ছিল। কারণ এর আগে সোনারগাঁ হোটেলের এই বলরুমে ইফতার মাহফিল করতে এসে দেখেছি অধিকাংশ ইফতারই খেতে না পেরে ফেলে যেতে হয়েছে….ইফতারির আয়োজন হালকা করে ডিনার প্যাকেট আলাদা করায় সবারই সুবিধা হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর এ আয়োজনে যিনি দাওয়াত করেছিলেন এবং যারা সাথে ছিলেন সবাইকে।
লেখাঃ সংগৃহীত
আর্থ সামাজিক উন্নয়ন
ইসলামী বিনিয়োগ