করোনায় সবচেয়ে নিরাপদে আছে ব্যাংকারগণ!
মোহাম্মদ জসীম উদ্দীনঃ দেশে যে সকল পেশা আছে, তাদের মধ্যে কেবল ব্যাংকারগণই করোনামুক্ত এবং নিরাপদে আছেন। গত দেড় বছরে এ পেশার কেউ কোভিড আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর কোথাও পাওয়া যায় নি।
এর প্রধান কারন হলো, ব্যাংকারদের কর্মক্ষেত্রে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। রেস্ট্রিক্টেট এরিয়া। এখানে কেবল গবেষণার কাজ চলে। ধরে নিতে পারেন, বাংলাদেশের হয়ে নাসার যাবতীয় কাজ করে দেয় ব্যাংকগুলো।
আর ব্যাংকারগণ সারাদিন দুর্বিক্ষণ যন্ত্র নিয়ে আকাশ-মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করে। অতিমাত্রায় ক্ষুদ্রাকার বস্তুও তাদের চোখকে ফাঁকি দিতে পারে না। একমাত্র ব্যাংকারগণই খালি চোখে করোনা ভাইরাস দেখতে পায়। আর এ কারনে কোভিড-১৯ ব্যাংকারদের থেকে অনেক দূরে থাকে।
এককালে ব্যাংকের কাজ ছিলো অর্থ লেনদেন করা, বহুদিন আগে তারা এসব ছেড়ে দিয়েছে। যেমনি করে এককালে ডাকঘরে কেবল চিঠি বিলি হতো, এখন তারা আবার অর্থ লেনদেন করে। কোটি কোটি টাকা প্রফিট করে।
| ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
সে যাই হোক, কাজের কথায় আসি- সম্প্রতি প্রথম আলোর মতো একটি স্বনামধন্য পত্রিকা মস্ত বড় একটি ভুল খবর ছেপেছে। এ পর্যন্ত নাকি “দেশে করোনায় ১৩৩ জন ব্যাংকারের মৃত্যু হয়েছে”।
একজন সচেতন ব্যাংকার হিসেবে এমন মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। ব্যাংকাররা টাকা চেনেই না, গ্রাহকরা ব্যাংকে আসেই না, করোনা তাদের খুঁজে পাবেই না!
ব্যাংকের শাখাগুলো শাটডাউনে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হোক, চাইলে একেকটা শাখাকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে……। ফান পোষ্ট সকল ব্যাংকার ভাই ও বোনদের জন্য।
লেখকঃ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, শাখা ব্যবস্থাপক, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাতাকান্দি শাখা, কুমিল্লা।
আরও পড়ুন:
◾ ৫ জুলাই থেকে ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি
◾ ঋণ শ্রেণিকরণের নতুন সার্কুলার
◾ সিডিউল অফ চার্জ সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার
◾ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স নবায়নের শর্ত শিথিল
◾ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন প্রণোদনা সুবিধা




