সাম্প্রতিক ব্যাংক নিউজ

ছাদ কৃষিতে সফল ব্যাংক কর্মকর্তা

বাড়ির ছাদে ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন কুড়িগ্রামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তার দুইতলা বাড়ির ছাদে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি গাছের ডালে নানা জাতের ফল। তার এই সফলতায় ছাদবাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই।

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বানিয়া পাড়া দুইতলা বাড়ি করে বসবাস করছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন। তিনি ভুরুঙ্গামারী শাখায় চাকরি করেন। ২ বছর আগে নিজের বাড়ির ১ হাজার স্কয়ার ফিট ছাদে ফলের বাগান শুরু করেন। এরপর থেকে তার নিরলস প্রচেষ্টায় গত বছর সামান্য ফল আসলেও এবছর তার বাগানে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফল।

ছাদবাগানের মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, তার বাগানে দেশি-বিদেশি ১২ জাতের আম, আঙ্গুর, আপেল, ৩ জাতের ড্রাগন, বেদানা, নাশপাতি, মালটাসহ শতাধিক প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ গাছে ফল আসলেও বাকী গাছগুলোও মৌসুম অনুযায়ী ফল দিতে শুরু করেছে।

মূলত ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আগ্রহ থাকায় আজ সফল ছাদ বাগানের মালিক হতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে বাগানের ফলসহ চারা তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদের মালিকরা এই ছাদবাগান দেখে উৎসাহী হয়ে বাগান করতে আগ্রহী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

রুহুল আমিনের ছাদবাগান দেখতে আসা রাজু আহমেদ বলেন, এই ছাদবাগান দেখে আমার ভালো লেগেছে। আমার বাড়িতে ছাদ না থাকলেও এখান থেকে চারা নিয়ে বাড়িতে পড়ে থাকা জমিতে বাগান করার জন্য পরামর্শ নিতে এসেছি। রুহুল আমিনের সুসজ্জিত ছাদবাগান দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন শহরের অন্যান্য বাড়ির মালিকরাও।

সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হয়েও রুহুল আমিন কঠোর শ্রম ও মেধা দিয়ে যে ছাদবাগান করেছেন, তাকে আমরা শুরু থেকেই সহযোগিতা ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। ফলে, তার বাগানে দেশি-বিদেশি নানা ফলের গাছ ও ফল শোভা পাচ্ছে। আমাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং আমরা চেষ্টা করছি শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদের মালিকদের উৎসাহ দিতে।

ছাদ বাগান পরিদর্শনে এসে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ছাদবাগান এখন বাণিজ্যিক কৃষির ভিত্তি হয়ে উঠছে। এখানে নতুন নতুন জাত সম্প্রসারিত হচ্ছে। শুধু বাড়ির ছাদে নয়, কৃষকরা যাতে বাণিজিকভাবে এসব ফল চাষে এগিয়ে আসেন, সেজন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

ব্যাংক কর্মকর্তা হয়েও কৃষির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে ছাদ বাগান গড়ে তুলেছেন রুহুল আমিন। পাশাপাশি এই উদ্যোগ ছড়িয়ে দিতে চারাও উৎপাদন করছেন তিনি। তার এই ছাদকৃষি প্রত্যন্ত জেলার মানুষের কাছে এখন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

আরও পড়ুন:
◾ ৫ জুলাই থেকে ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি
◾ ঋণ শ্রেণিকরণের নতুন সার্কুলার
◾ সিডিউল অফ চার্জ সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার
◾ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স নবায়নের শর্ত শিথিল
◾ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন প্রণোদনা সুবিধা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button