ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকার্ড সার্ভিসক্রেডিট কার্ড

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একটি নতুন আইটি ভিত্তিক শরিয়াহ সহজাত পণ্য চালু করেছে Islami Bank Khidmah Credit Card (ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড) নামে। এটি ইসলামী শরিয়াহ এর ‘উজরা’ ধারণার উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, যার অর্থ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফি গ্রাহককে চার্জ করা হবে। এটি গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ বকেয়া অর্থ প্রদান করে বা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্থ গ্রাহককে প্রদান করে। ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড নগদ অর্থ বহনে ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং প্রতিদিন কেনা কাটা করতে সহজ হবে।

খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের প্রকার সমূহ
ক) সিলভার কার্ডঃ লিমিট-১,০০,০০০ টাকা
খ) গোল্ড কার্ডঃ লিমিট-২,০০,০০০ টাকা
গ) প্লাটিনাম কার্ডঃ লিমিট-৩,০০,০০০ টাকা
ঘ) প্রিওরিটি প্লাটিনাম কার্ডঃ লিমিট-৫,০০,০০০ টাকা।

খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ
– খিদমাহ কার্ড সম্পূর্ণ শরিয়া মোতাবেক পরিচালিত ক্রেডিট কার্ড।
– খিদমাহ কার্ড ধারে পণ্য ও সেবা কেনার সহজতম মাধ্যম। কার্ড ব্যবহার করে বড় মাঝারি শহরের অধিকাংশ বিপনী ও সেবাকেন্দ্রে পণ্য ও সেবার দাম দেয়া যায়।
– প্রত্যেক খিদমাহ কার্ডের জন্য নির্ধারিত উর্ধ্বসীমা (ক্রেডিট লিমিট) পর্যন্ত ধারে কেনাকাটা করা যায়।
– পণ্য কেনা বা সেবা গ্রহণের সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে ব্যাংকের ধার পরিশোধ করতে হয়। নির্দিষ্ট ঠিকানায় (ইমেইল অথবা এসএমএস) Bill Statement পৌঁছানোর পর নির্ধারিত দিনের মধ্যে চেক বা নগদে বিল মেটানো যায়।
– পুরো মূল্য পরিশোধ করা না গেলে ন্যূনতম টাকা জমা করতে হয়। তবে এর জন্য নির্ধারিত অংকের সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য।
– ধারে কেনার সুবিধা ছাড়াও খিদমাহ কার্ড ব্যবহার করলে ক্যাশ ব্যাক, বোনাস অথবা গিফট পয়েন্টের মতো বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।
– বাস, ট্রেনের টিকেট বা বিমানের টিকেট কেনা সহ নানা ধরনের সেবা অনলাইনে কেনা যায় এই কার্ডের মাধ্যমে।
– এটিএম থেকে নির্দিষ্ট সীমার ২৫% পর্যন্ত নগদ টাকা তোলা যায়। এক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য।
– iBanking এর মাধ্যমে খিদমাহ গার্ডের বিল পরিশোধ করা যায়।
– খিদমাহ কার্ড বিশ্বব্যাপী ব্যবহার উপযোগী।
– খিদমাহ কার্ড এর মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই।
– খিদমাহ কার্ড এর মাধ্যমে হোটেল ও হাসপাতাল বুকিং করা যায়।
– প্রথম Supplementary Card ফ্রি।
– সুপারস্টারের ক্রয়ের উপর আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট সুবিধা রয়েছে।
– এই কার্ড বেতনের অর্থ অগ্রিম ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে থাকে।
– এই কার্ড দিয়ে পকেটে টাকা না থাকলেও কেনাকাটা করা যায়।
– এই কার্ডে সর্বনিম্ন সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হয়।

খিদমাহ কার্ড এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নিম্নে চাকরিজীবীদের জন্য ও ব্যবসায়ী, ব্যক্তি বা পেশাজীবীদের জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার তা তুলে ধরা হলো-

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

চাকরিজীবীদের জন্য
– দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
– জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স
– চাকুরি আইডি কার্ড/ছবিসহ জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট (কমিশনার কর্তৃক সত্যায়িত)
– ই-টিন সার্টিফিকেট/ট্যাক্স রিটার্ন জমার স্বীকৃত স্লিপ
– ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
– সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত বেতন সার্টিফিকেট
– ভিজিটিং কার্ড (যদি থাকে)
– সিআইবি রিপোর্ট।

ব্যবসায়ী, ব্যক্তি বা পেশাজীবীদের জন্য
– দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
– জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স
– ই-টিন সার্টিফিকেট/ট্যাক্স রিটার্ন জমার স্বীকৃত স্লিপ
– ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
– ট্রেড লাইসেন্স ও বিজনেস কার্ড
– সিআইবি রিপোর্ট
– হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ/বিদ্যুৎ বিল/টেলিফোন বিল
– পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সদস্য সার্টিফিকেট।

খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়মাবলী ও ফি সমূহ

খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ফি ও চার্জ সমূহ
নিম্নে খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ফি ও চার্জ সমূহ তুলে ধরা হলো-

১. বার্ষিক ফি (প্রাথমিক কার্ড)
– সিলভার কার্ডঃ ১,৫০০ টাকা
– গোল্ড কার্ডঃ ২,০০০ টাকা
– প্লাটিনাম কার্ডঃ ২,৫০০ টাকা
– প্রিওরিটি প্লাটিনাম কার্ডঃ ৩,৫০০ টাকা

(ক) আগামী বছরের জন্য কোন বার্ষিক ফি প্রযোজ্য হবে না, যদি কোন কার্ড ধারক আগের বছরে নিম্নোক্ত পরিমাণে খিদমাহ কার্ড ব্যবহার করে:
১) সিলভার কার্ড: ১,৫০,০০০ টাকা
২) গোল্ড কার্ড: ২,৫০,০০০ টাকা
৩) প্ল্যাটিনাম কার্ড: ৩,০০,০০০ টাকা এবং
৪) প্রিওরিটি প্ল্যাটিনাম কার্ড: ৩,৫০,০০০ টাকা।

(খ) পেশাদারদের ক্ষেত্রে বার্ষিক/নবায়ন ফি প্রযোজ্য হবে না। এখানে পেশাদার মানে ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সিএ এবং সিএমএ কে বুঝানো হয়েছে।
(গ) (i) আইবিবিএলের কনফার্ম এমপ্লয়ি (ii) মর্যাদাপূর্ণ অবস্থা নিয়ে সুপরিচিত ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে যিনি কোন ব্যাংকের এমডি/সিইও কর্তৃক উপযুক্ত বলে বিবেচিত বা অন্য কোন সম্মানিত ব্যক্তির জন্য বার্ষিক/পুনর্নবীকরণের ফি প্রযোজ্য হবে না।
(ঘ) অন্যান্য সকল ব্যাংকের কনফার্ম এমপ্লয়িকে বার্ষিক/নবায়ন ফি ৫০% পরিশোধ করতে হবে।

২. বার্ষিক ফি (সাপ্লিমেন্টারি কার্ড)
– প্রথমটি ফ্রি এবং পরবর্তী প্রতি কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা।

৩. মাসিক কার্ড মেইন্টেন্যান্স ফি
– সিলভার কার্ডঃ ৫০০ টাকা
– গোল্ড কার্ডঃ ১,০০০ টাকা
– প্লাটিনাম কার্ডঃ ১,৫০০ টাকা
– প্রিওরিটি প্লাটিনাম কার্ডঃ ২,৫০০ টাকা।
ক) মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি প্রযোজ্য যদি পেমেন্টের শেষ তারিখের উপর ১০০ টাকা বা তার বেশী থাকে।
খ) হিসাব বিবরণী প্রস্তুতের তারিখ: প্রতি মাসের ২৭ তারিখ।
গ) বিল পরিশোধের তারিখ: হিসাব বিবরণী প্রস্তুতের তারিখ (প্রতি মাসের ২৭ তারিখ) এর পর হতে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত।

৪. মাসিক অনুমোদিত সীমা অতিরিক্ত ব্যবহার ফি
– ৫০০ টাকা (৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ওভার লিমিট হিসাবে গ্রহণ করা হতে পারে)।

৫. বিলম্ব পরিশোধ ফি
– ৫০০ টাকা (যদি ন্যূনতম পাওনা পেমেন্ট তারিখের মধ্যে পরিশোধ না করা হয়)।

৬. কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি
– সিলভার কার্ডঃ ২০০ টাকা
– গোল্ড কার্ডঃ ৩০০ টাকা
– প্লাটিনাম কার্ডঃ ৫০০ টাকা
– প্রিওরিটি প্লাটিনাম কার্ডঃ ৭০০ টাকা।

৭. পিন রিপ্লেসমেন্ট ফি
– ২০০ টাকা।

৮. নগদ উত্তোলন ফি (কার্ড লিমিটের ৫০% পর্যন্ত ক্যাশ উত্তোলন করা যায়)
– ১৫০ টাকা (প্রতিবার উত্তোলনের জন্য)।

৯. ফান্ড ট্রান্সফার ফি
– ১৭৫ টাকা [প্রতিটি লেনদেনের জন্য এবং সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ২৫,০০০ টাকা (প্রত্যেক লেনদেনের জন্য)]।

১০. কার্ড চেক বই ইস্যু ফি
– ১৫০ টাকা (২য় বার) [২০ (বিশ) পাতার একটি চেক বইয়ের জন্য]।

১১. কার্ড চেক ট্রানজেকশন ফি
– ৫০০ টাকা (প্রতিবারের জন্য)।

১২. রিটার্ন চেক ফি
– ২০০ টাকা (অপর্যাপ্ত তহবিল, স্বতন্ত্র স্বাক্ষর, অর্থ প্রদান বন্ধ ইত্যাদি থাকলে)।

১৩. সেলস ভাইচার রিট্রাইভাল ফি
– ৫০০ টাকা [৩ (তিন) মাসের মধ্যে কার্ড ধারক কতৃক দাবি উপস্থাপিত করা উচিত]।

১৪. মাসিক হিসাব বিবরণী ফি
– ১০০ টাকা (২য় বার)।

১৫. সিআইবি ফি
– ২০০ টাকা।

১৬. ইন্টারনেট ব্যাংকিং (বিল পরিশোধের জন্য)
– ফ্রি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট প্রযোজ্য হবে (যেমন @ ১৫% ফি/চার্জ)।

বিস্তারিত জানতে
❏ ব্যাংকের যেকোন শাখায়/ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট/ বুথ ব্যাংকিংয়ে যোগাযোগ করুন।
❏ ✆ কল সেন্টারঃ ১৬২৫৯ অথবা ৮৩৩১০৯০ (দেশ)/ ০০৮৮-০২-৮৩৩১০৯০ (বিদেশ) এ কল করুন।
❏ টেলিফোনঃ (০২) ৯৫৬৩০৪০ (অটো হান্টিং), ৯৫৬০০৯৯, ৯৫৬৭১৬১, ৯৫৬৭১৬২, ৯৫৬৯৪১৭
❏ টেলেক্সঃ 642525 IBANK BJ, 632403 IBANK BJ, 671620 IBANK BJ
❏ ফ্যাক্সঃ ৮৮০- ২- ৯৫৬৪৫৩২, ৮৮০- ২- ৯৫৬৮৬৩৪
❏ সুইফটঃ IBBLBDDH
❏ কেবলঃ ISLAMIBANK
❏ ইমেইলঃ [email protected]
❏ ওয়েবসাইটঃ www.islamibankbd.com

কার্টেসিঃ মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আকন্দ, আইবিবিএল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button