আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে কড়াকড়ি
সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুমোদিত সকল ডিলারের প্রধান কার্যালয়/ প্রিন্সিপাল অফিসকে উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
উক্ত সার্কুলারে বলা হয়, বিদেশ থেকে পণ্য ও সেবার বৈধ কেনাকাটায় বিপরীতে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে ইস্যুকৃত ডলার ব্যবহার করা যাবে। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ে এ ডলার ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়টি কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে।
এই সার্কুলারের মাধ্যমে অনিয়ম রোধে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে (আইসিসি) গ্রাহকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ফলে যেকোনো ধরনের পণ্য ও সেবা কিনলে ফরমে তার বিবরণ উল্লেখ করতে হবে। অর্থ পাচার, অনলাইনে জুয়া খেলাসহ বিভিন্ন অবৈধ খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশেষভাবে অবৈধ বিভিন্ন পেমেন্ট যেমন- অনলাইনে জুয়া খেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও লটারির টিকিট কেনার কাজে এ কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
| ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
সার্কুলারে আরও বলা হয়, এখন থেকে গ্রাহকদের অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফর্ম বা ওটিএএফ পূরণ করে ব্যাংকগুলোতে জমা দিতে হবে। এরপর ব্যাংক সেটি যাচাই-বাছাই করে কোনো অসঙ্গতি না পেলে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ডের ওই ডলার ব্যবহারের অনুমতি পাবেন। ক্রয়কালীন লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিকে তা পরিশোধ করতে হবে।
২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সার্কুলারে আন্তর্জাতিক পণ্য কেনাকাটায় আইসিসি ব্যবহারকারী গ্রাহকদের এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বছরে তা কোনো অবস্থাতেই ১ হাজার ডলারের বেশি হবে না।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশে অবস্থিত খ্যাতিমান ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে বৈধ পণ্য ও সেবা (যেমন- সফটওয়্যার, ই-বুক ইত্যাদি) কিনতে পারেন।
সূত্রঃ বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক
এফই সার্কুলার লেটার নং-২৬, তারিখঃ ১৪/১১/২০১৯


