প্রবাসী ব্যাংকিংবিশেষ কলাম

নতুন উচ্চতায় বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ

মো. জিল্লুর রহমানঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রতিনিয়ত রেকর্ড করে অর্থনীতিতে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে চলেছে। ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে সারা বিশ্বে যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, তখন দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গিয়েছিল এবং অনেকেই আশঙ্কা করেছিল এধারা পরবর্তীতে অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এরপর থেকে সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েই চলেছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা যেখানে ১৮.২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে, সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪৭৭.৭৭ কোটি বা ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান স্থবিরতার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুটি রেকর্ড করেছে। সম্প্রতি ২৪ আগস্ট ২০২১ বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮.৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে এবং এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। জুন শেষে ছিল রিজার্ভ ছিল ৪৬.৩৯ বিলিয়ন ডলার।

এর বিপরীতে শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক সোয়াপের মাধ্যমে ২% সুদে শ্রীলংকান সরকারকে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়েছে। আমদানি হ্রাসের বিপরীতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন, করোনাকালীন হুন্ডির প্রবাহ হ্রাস এবং রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়ানোকেই রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ১.৪৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ-সহায়তা যোগ হওয়ায় বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এই নতুন উচ্চতায় উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই এ রিজার্ভ ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।

মূলত বিদেশে কর্মরত মানুষেরা তাদের উপার্জিত টাকা নিজ দেশে পাঠালে সেই টাকাকে রেমিট্যান্স বলে। রেমিট্যান্স হলো দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এবং উন্নয়নের ভিত্তি, স্বপ্নের সোনালী সোপান ও অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য বৈদেশিক সম্পদ অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস হল রেমিট্যান্স। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে পাওয়া উন্নয়ন সহায়তার চেয়ে এর ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেক বেশি এবং বেসরকারি ঋণ সংস্থান ও পোর্টফোলিও ইকুইটি প্রবাহের চেয়েও অনেক বেশি স্থিতিশীল। অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিট্যান্সের অবদান মোট জিডিপির ১২ শতাংশ এবং বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রবাসী এসব শ্রমিক যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছেন, তা দেশের মোট রফতানি আয়ের অর্ধেক।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বিগত চল্লিশ বছরে প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ প্রবাসী বিদেশে গমন করেছে এবং তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজেদের কষ্টার্জিত উপার্জনের অর্থ নিয়মিত পাঠিয়ে তাঁরা এ দেশকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গড়ে তুলছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা যেখানে ১৮২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে, সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪৭৭.৭৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তৈরী পোশাকের পরে অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান সবচেয়ে বেশী অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থান যা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রবাসীদের কারণে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড পরিমানে আছে এবং যার পরিমান ২৪ আগস্ট ২০২১ শেষে ৪৮.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অবদান এতটাই শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ যে, এটা দিয়ে আট মাসের আমদানি ব্যয় মিটানো সম্ভব। রেমিট্যান্সের কারণেই ব্যাংকগুলো তারল্যসংকট কাটাতে পেরেছে। রেমিট্যান্সের টাকায় তৈরি হয়েছে ছোট ছোট উদ্যোক্তা এবং শক্তিশালী অবস্থায় দাঁড়িয়েছে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই মাসে রেকর্ড ২৫৯.৮২ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২১৫.১১ কোটি ডলার এবং ২০২১ সালের মে মাসে ২১৭.১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। যদিও গত জুলাইয়ের তুলনায় চলতি জুলাই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে কিন্তু ঈদুল ফিতরের আগে প্রবাসীরা এপ্রিল ২০২১ মাসে ২০৬.৭৬ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২১৭.১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যা অর্থনীতির জন্য ঈর্ষণীয় উদাহরণ ও সাফল্য।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে রিজার্ভ ৪৮.৪০ বিলিয়ন ডলার কখনও ছাড়ায়নি। জুলাই ২০২০ মাসের মতো এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্সও আসেনি। অন্যদিকে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের মতো রেমিট্যান্স বাড়াতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও এ খাতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের সামগ্রিক কল্যাণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নতুন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টি এবং ওই বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকার কাজ করছে।’

জাতীয় অর্থনীতিতে রফতানি খাতের অবদান তথা মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম। কারণ পণ্য রফতানি বাবদ যে অর্থ উপার্জিত হয়, তার একটি বড় অংশই কাঁচামাল আমদানিতে চলে যায়। কিন্তু জনশক্তি রফতানি খাত এমনই এক অর্থনৈতিক খাত, যার উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পুরোটাই জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করে। রেমিট্যান্সের ভূমিকা ও গুরুত্ব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানাবিধ ও নানামুখি।

প্রবাসীদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এই অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মেটায় না, তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, সঞ্চয়ে উদ্ভূদ্ধকরণ এবং নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতার ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ নিউক্লিয়াস হিসাবে কাজ করে। জাতীয় অর্থনীতির তাই অন্যতম চালিকাশক্তি এই রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের উপর ভর করেই এখন সরকার পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার মতো সাহস দেখাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য সরকারের আত্মবিশ্বাস ও সামর্থ্য বেড়েছে। সরকার এতদিন সহজ শর্তে ছোট ছোট ঋণ নিত। এখন সরকার বড় ঋণ নেয়ার সাহস অর্জন করেছে। এ কারণে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পথে এবং রেমিট্যান্স এক্ষেত্রে বড় সাহস ও নিয়ামক হিসাবে কাজ করছে।

রেমিট্যান্স একই সঙ্গে দেশের বেকার সমস্যা ও কর্মসংস্থান নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া জনশক্তি রফতানির ফলে বিরাট সংখ্যক জনগণের দৈনন্দিন চাহিদা ও খাদ্যসামগ্রীও স্থানীয়ভাবে জোগাড় করতে হচ্ছে না। সারা বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশি, যারা সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর তথ্য মতে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮৫,২২২ জন নাগরিক বিদেশে গেছেন। অন্যদিকে ২০১৯ সালে ৭,০০,১৫৯ জনের বিপরীতে ২০২০ সালে ২,১৭,৬৬৯ জন বাংলাদেশি বিদেশে গমন করেছে।

আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই জনসংখ্যা রফতানি নিশ্চিত বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচিত। শুধু নিশ্চিত বিনিয়োগ নয়, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবেও জনসংখ্যা রফতানিকে বিবেচনা করা যায়। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জনসংখ্যা রফতানির যেমন প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি বিদেশে কর্মরত জনশক্তির পারিশ্রমিক যাতে কাজ ও দক্ষতা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, সেজন্যেও সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হচ্ছে। মনে রাখতে হবে যে, জনসংখ্যা রফতানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার যদি কূটনীতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে, তাহলে জনসংখ্যা রফতানির সুফল ও রেমিট্যান্স প্রবাহ আমাদের অর্থনীতির ইতিবাচক খাতের সঙ্গে একই ধারায় প্রবাহিত হবে।

অবৈধ হুন্ডি প্রতিরোধের কারণে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স আহরণ বহুলাংশে বেড়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা অবৈধ পথ এড়িয়ে বৈধপথেই রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন। বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়েছে, শুধু বাড়েনি, নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিং, শাখা উপশাখার কারণে রেমিট্যান্স পাঠানো খুব সহজলভ্য হয়েছে। রেমিট্যান্স আয় আরো বৃদ্ধি করার জন্য হুন্ডি প্রতিরোধে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। বর্তমানে মোট উপার্জিত রেমিট্যান্সের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও কোরিয়ার রেমিট্যান্সের ২৩.৩০ শতাংশই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে। তবে গত অর্থবছরে চালু করা ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা হুন্ডি প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

আরও দেখুন:
◾ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি না হওয়ার সুযোগ বাড়ল
◾ ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরও বাড়লো
◾ ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জনশক্তি রফতানি খাত ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে এক মহীরুহু। কিন্তু এ খাতের সম্ভাবনাকে এখনো পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অনেকেই জমি ফ্লাট ক্রয়ের মতো অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করছে। অর্থ উপার্জন যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি সমান তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে সেই অর্থের উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানায় ব্যবহার এবং তা নিশ্চিত করা। পরিকল্পিতভাবে জনশক্তি রফতানি খাতের সমস্যা সমাধান এবং পেশাজীবী ও দক্ষ জনশক্তি বিদেশে প্রেরণের পাশাপাশি তাদের পাঠানো অর্থ সঠিকভাবে উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করা গেলে এ খাত দেশের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দিতে পারে।

লেখকঃ মো. জিল্লুর রহমান, ব্যাংকার ও মুক্তমনা কলামিস্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button