বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

আমানত ও সঞ্চয়পত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক

আমানত ও সঞ্চয়পত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক – ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত সঞ্চয়পত্র এবং ২০ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে এখন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এই বিধান যুক্ত করে সরকার ২৪টি আর্থিক ও ব্যাংকিং-সেবায় আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক ককরা হয়েছে। রবিবার (০৩ আগস্ট, ২০২৫) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু আর্থিকসেবা গ্রহণের পূর্বে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এতে বলা হয়, কেউ যদি ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত চালু রাখেন, অথবা খুলতে চান কিংবা ২০ লাখ টাকার ঋণ নিতে চান- তাহলে আয়কর রিটার্নের কপি বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। একইভাবে, ১০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগেও রিটার্ন বাধ্যতামূলক।

আরও দেখুন:
রপ্তানি জটিলতা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাস্টার সার্কুলার

এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে একটি গেজেট জারি করা হয়, যেখানে করজালের আওতা বাড়াতে এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে। গেজেটে বলা হয়েছে, আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সংস্থা কোনও সেবা দিতে পারবে না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

নতুন নিয়মের আওতায় যে ২৪টি সেবা রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে যুক্ত, তার মধ্যে রয়েছে- ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত, ২০ লাখ টাকার ঋণ, ১০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র, কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হওয়া, আমদানি-রপ্তানি নিবন্ধন সনদ নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স ও পেশাজীবী লাইসেন্স নবায়ন, জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ, ড্রাগ লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, অগ্নিনির্বাপণ ছাড়পত্র, নৌযান বা ট্রলারের সার্ভে সনদ, স্কুলে শিশুর ভর্তি, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইত্যাদি।

সরকার বলছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো- কর আদায়ের পরিধি বাড়ানো, রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং আর্থিক খাতে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ‘দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি’র আলোকে দেশীয় আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button