কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখবে না?
ড. আর এম দেবনাথঃ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক কি অদক্ষতা ও জবাবদিহিতাহীনতার শিকার? এ কথা কী করে বলি? ব্যাংকটি ৫০-৫১ বছরের পুরোনো। ছিল ‘স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের’ (এসবিপি) একটি শাখা।
১৯৭২ সাল থেকে পুরোপুরিভাবে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দিনে দিনে তার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষ কর্মকর্তারা তাদের মেধা দিয়েছেন এতে। এখনো মেধাবী অফিসারে পূর্ণ ব্যাংক। এ অবস্থায় কেমন করে বলি যে ব্যাংকটি অদক্ষতার শিকার, কেমন করে বলি তার জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে? তবে কি ব্যাংকটি খামখেয়ালিপনার শিকার? যে যুক্তিতে এটি অদক্ষ ব্যাংক নয়, একই যুক্তিতে একে খামখেয়ালিপূর্ণ ব্যাংক বলা যায় কি?
তাহলে কী বলব? বলব কি ব্যাংকটি শেষ পর্যন্ত ধনী-অতিধনীদের কবলে পড়েছে? তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার শিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উদাহরণ দিই। যদি তারা ধনী-অতিধনীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হতো, তাহলে কী করে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সুদের হার ঠিক করে বড় একটি হোটেলে বসে? সুদ তো ঠিক করবে বাজার।
এ কথা বলেই বাজার অর্থনীতি চালু করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক সুদের হার নির্ধারণের জন্য ব্যাংকগুলোর হাতেই দক্ষতা অর্পণ করা হয়। এমন কী ঘটল যে, হঠাৎ হোটেলে বসে সুদের হার ৯-৬ ঘোষণা করতে হলো? কখন? পূর্ববর্তী এক গভর্নরের আমলে, যার জন্য সরকার তার মেয়াদকাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়।
| ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এ জন্য আইন বদল করতে হয়। কত সৌভাগ্যবান গভর্নর! আইন পরিবর্তন গভর্নরের জন্য-অতীতে কখনো এমনটি হয়নি। শুধু সুদের হার নয়, আরও অনেক ক্ষেত্র আছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিবর্তন করেছে ধনীদের, অতিধনীদের স্বার্থে। যেমন-পরিচালকদের মেয়াদ বৃদ্ধি, এক পরিবারের পরিচালক সংখ্যা বৃদ্ধি, ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের নীতিমালা, প্রভিশন নীতিমালা, পুঁজি সংরক্ষণ নীতিমালা, আরও কত কী! ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি, ঋণ পুনর্গঠন, ঋণের সুদ হিসাবে মোরেটরিয়াম, বিশেষ সুযোগ ইত্যাদি।
যুক্তি আছে অবশ্যই। করোনা মহামারির কথা বলা হয়েছে, এখন বলা হচ্ছে যুদ্ধের কথা। এ সবই সত্য কথা। সবচেয়ে বড় কথা, ‘ওয়ান পলিসি ফিট অল’-এটা ব্যবসা-শিল্পে হয় না। সারা দুনিয়া চলবে, ব্যাংকিং চলবে বিশ্বায়নের নীতিতে। এটা যে কত অকার্যকর নীতি, এতদিন পর কি তা বোঝা যাচ্ছে না? দুনিয়ার প্রায় সব দেশ ‘এক নীতি’ অনুসরণের নীতি ত্যাগ করে যার যার পথ ধরেছে। স্যাংশন ইত্যাদিও কাজে লাগছে না। অথচ দেখা গেল আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বের কথা বলে, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের (বিআইএস) কথা বলে ব্যাংকিংয়ের সব সুবিধা ধনী-অতিধনীদের পক্ষে নিয়ে গেল। কোনো বাছ-বিচার করা হলো না। এর ফলই হলো নয়-ছয় সুদ নীতি।
‘নয়-ছয়’ শব্দ দুটিই গণ্ডগোলে। সাধারণের চোখে এ দুটি খুবই খারাপ শব্দ। অথচ এই নয়-ছয়ই কার্যকর করা হলো। দেখা হলো ধনী-অতিধনীদের স্বার্থ-ব্যবসা ও শিল্পায়নের কথা বলে। অথচ কখনো বলা হলো না, ১০০ টাকার জিনিস তৈরি করতে সুদ খরচ কত। ভাবটি করা হলো এমন যে, সুদই একমাত্র খরচ, যার বোঝার কারণে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। অধিকন্তু ব্যবসায়ীদের, অতিধনীদের একবারও বলা হলো না-যাও শেয়ারবাজারে, ওখান থেকে পুঁজি তোলো।
এতে খরচ কম হবে। ব্যাংকের ওপর থেকে বোঝা কমবে। দেশবাসী বাঁচবে, আমানতকারীরা বাঁচবে। এসব কোনো কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে নয়-ছয় করে দেওয়া হলো। সুদ নীতি-হোটেলে বসে! অথচ বিবেচনায়ই নেওয়া হলো না আমানতকারীদের স্বার্থ। তাদের দুঃখ কী, তাদের বক্তব্য কী, তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে কিনা-কোনোকিছুই বিবেচনায় নেওয়া হলো না। এমনকি আজও না।
দুনিয়া ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশে মানুষ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সরকারি হিসাবেই প্রায় ১০ শতাংশ। গত মঙ্গলবারের একটি কাগজে দেখলাম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একটি হিসাব। এতে নয়টি অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের হিসাব দেওয়া হয়েছে। পণ্যগুলো হচ্ছে মোটা চাল, সরু চাল, খোলা আটা, খোলা ময়দা, খোলা সয়াবিন তেল, মসুরের ডাল, চিনি, ডিম ও ব্রয়লার মুরগি।
এ নয়টি পণ্যের দাম ২০২০-এর জানুয়ারি থেকে গত ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত কত বেড়েছে? প্রদত্ত হিসাব অনুযায়ী, সর্বনিম্ন বেড়েছে ৪১ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ বেড়েছে ৯৬ শতাংশ। সব থেকে বেশি বেড়েছে খোলা আটার দাম-৯৬ শতাংশ। ছিল কেজিপ্রতি ২৮ টাকা, এখন হয়েছে ৫৫ টাকা।
অন্য হিসাবের দরকার নেই। যে পণ্যগুলোর হিসাব রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে, বলা বাহুল্য, এগুলো ছাড়া আমাদের চলে না। দেখা যাচ্ছে, যেখানে বৃদ্ধির পরিমাণ সর্বনিম্ন ৪৪ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ, সেখানে সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের মতো। ভাবা যায় হিসাবের কেরামতি!
তবু তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশ। এর বিপরীতে মানুষের মজুরি-আয় কত বেড়েছে? যৎসামান্যই। আবার প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যাংকের আমানতে সুদ দেওয়া হয় কত? বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে গড় সুদের হার মাত্র ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এ হিসাবে দেখা যাবে, ব্যাংকে টাকা রাখা মানে ১০০ টাকায় কমপক্ষে ৫ টাকা লোকসান, লাভ তো দূরের কথা।
এ কথা কি কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানে না? কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধনী-অতিধনীদের স্বার্থে কত নিয়ম-কানুন বানাচ্ছে, শিথিল করছে, পরিবর্তন-পরিমার্জন করছে, কই তারা তো আমানতের সুদের বিষয়ে কোনো কথা বলছে না! ব্যাংকাররা বলছেন, তাদের ফান্ডের সংকট তৈরি হয়েছে। নিয়মিত ডলার কিনতে হচ্ছে।
গত এক বছরে ব্যাংক আমানত লক্ষাধিক কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। ব্যাংকে টাকা রাখা এখন লোকসানি কারবার দেখে মানুষ ব্যাংকমুখী হচ্ছে না, উৎসাহী হচ্ছে না। ‘ক্যাশ’ জমছে অনেকের হাতে। ভয়ে তারা শেয়ারবাজারে যায় না। দুবার এ বাজার লুট হয়েছে। চিহ্নিতরা লুট করেছে। কোনো বিচার নেই। এ অবস্থায় ডাকলেই কি মানুষ শেয়ারবাজারে যাবে? যেতে পারত সোনার বাজার, জমিজমা ও ফ্ল্যাটের বাজারে। কিন্তু এসবের উচ্চমূল্য। বিনিয়োগের জায়গা নয় সাধারণের জন্য।
এসব দেখেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো কথা বলছে না। এটা দক্ষতার অভাবে? নিশ্চয়ই না। সহানুভূতিহীনতার কারণে? তাও না। তাহলে বাকি থাকে ভয়-অতিধনীদের ভয়। ‘রেপো’ রেট (যে হারে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ধার দেয়) বাড়ানো হলো। অথচ ঋণের ওপর সুদের হার বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
এটা হলে আমানতের ওপর সুদের হার বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হতো। না, তা হচ্ছে না। নট নড়ন-চড়ন। এদিকে এর ফলে সঞ্চয়কারী/ আমানতকারীদের হচ্ছে সর্বনাশ। হাজার হাজার মানুষ, যারা সুদের টাকায় সংসার চালাত, তাদের বাজছে বারোটা নয়-চোদ্দটা। এরাও দাঁড়াচ্ছে টিসিবির লাইনে স্বল্পমূল্যে পণ্য পাওয়ার আশায়। তারা হাত পাততে পারে না। কিন্তু এখন নামছে রাস্তায়। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন তিনটি কথা: কৃষি উৎপাদন বাড়ান-এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।
তিনি বলছেন মিতব্যয়ী হতে, সঞ্চয় করতে। আগামী বছর বিশ্বব্যাপী মন্দা ও খাদ্য সংকটের কথাও তিনি গুরুত্বসহকারে বলে চলেছেন। যথার্থ সতর্কতা, সাবধানতার কথা। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটা বলা তার দায়িত্ব। প্রশ্ন হলো, এসব পরামর্শ/ নির্দেশের বিষয়টি কি আমলা-কামলা বন্ধুরা বুঝতে পারছেন? বুঝতে পারছেন আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা? কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হলে কৃষকের লাগবে সার, বীজ, সেচের পানি, কীটনাশক ইত্যাদি। এসবের দাম বাজারে অনেক বেশি, যা কৃষকের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।
একমাত্র সম্ভব কৃষিঋণ পাওয়া গেলে। সাধারণ কর্মসূচিতে নয়, জরুরি কর্মসূচি হিসাবে কৃষিঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। সুদের হার কমাতে হবে। অকৃপণের মতো ঋণ দিতে হবে। এতে যদি ছোট ছোট কৃষক-চাষিরা ঋণের টাকা অপরিশোধিত রাখেন, তবু সই। যদি কৃষিঋণ এবার খেলাপিও হয়, তবু সই।
এ সুযোগ প্রদানের ফলে যদি কৃষি উৎপাদন/চাল উৎপাদন ১০ লাখ টন বেশি হয়, তবেই বাঁচা গেল। মনে রাখা দরকার, কৃষকরা উৎপাদন বাড়াতে কখনো পেছপা নন। তারা সরকার বলার আগেই তা করেন। এখানে শুধু উপকরণের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে যান্ত্রিকীকরণের সুবিধা প্রয়োজন, সেখানে তা দিতে হবে। আশা করি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদের বিষয়টি বুঝতে পারছেন।
দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে মিতব্যয়িতা ও সঞ্চয়। বলা দরকার, দেশে বহু মানুষ আছেন, যাদের মিতব্যয়ী হওয়ার কোনো জায়গা নেই। কর্মহীন, চাকরিচ্যুত, কর্মচ্যুত, ব্যবসা ও পেশাচ্যুত মানুষদের মিতব্যয়ী হওয়ার জায়গা আর নেই। তাদের অনেকেই নতুন করে আরও দরিদ্র হচ্ছেন। মধ্যবিত্ত হচ্ছেন নিম্নবিত্ত; নিম্নবিত্ত পড়ে যাচ্ছেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। তারা এখন খোলাবাজারে লাইন দিয়ে টিসিবির পণ্য কেনেন। আগে তা হতো না।
অতএব, এদের মিতব্যয়ী হওয়া নয়-এদের সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে বাঁচানোই হচ্ছে কাজ। এক্ষেত্রে দেশের অতিধনীরা যথেষ্ট অবদান রাখতে পারেন। যে টাকা তাদের বিদেশে রয়েছে, তার একাংশ দেশে এনে গরিবদের বাঁচার ব্যবস্থা করতে পারেন।
তবে একটা শ্রেণি দেশে এখনো আছে, যারা কিছুটা সঞ্চয় করতে পারেন এবং বস্তুত তারা করছেনও। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নয়-ছয় সুদ নীতিতে হতাশ। দুনিয়ার কত দেশ আমানতের ওপর সুদের হার বাড়িয়েছে মূল্যস্ফীতির নিরিখে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার চাপে/পরামর্শে সুদের হারের ওপর তাদের ‘ক্যাপ’ তুলে নিচ্ছে না? বাজার অর্থনীতির কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে ‘কন্ট্রোল্ড ইকোনমি’ চালু করা হয়েছে। বাজারের বাইরে গিয়ে সব সিদ্ধান্ত। ডলারের মূল্য নির্ধারণেও তা-ই।
আরও দেখুন:
◾ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিটিজেন’স চার্টার বাস্তবায়নের নির্দেশ
অনেক ক্ষতি হওয়ার পর ডলারের মূল্য নির্ধারণে এখন কিছুটা বাজারনীতি অনুসৃত হচ্ছে। তাহলে কেন আমানতকারীদের সঞ্চয়ের ওপর সুদের হার বাড়ানো হবে না। এটা তো বাড়ানো নয়-মানুষ চায়, সঞ্চয়কারীরা চায় তাদের টাকার ক্রয়ক্ষমতা ঠিক থাকুক। বস্তুত এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটা নির্দেশনাও রয়েছে। সুদের হার মূল্যস্ফীতির নিচে হবে না। কাউকে অসন্তুষ্ট না করার নীতিতে অবিচল আগের গভর্নর এ আদেশ জারি করেছিলেন বলেই জানি।
কিন্তু এ আদেশ যে পালিত হচ্ছে না, তার খবর কি তারা রাখেন না? রাখেন তো বটেই। তাহলে কেন কোনো পদক্ষেপ নেই? কার ভয়ে, কার কথায়? যদি ভয়ই হয়, তাহলে আদেশ প্রত্যাহার করা হোক। নতুবা আদেশ বাস্তবায়িত করা হোক। শত হোক, অকার্যকর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেউ আমরা চাই না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভাগ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেখতে চাই না। অতিধনীদের হাতের পুতুল কেন্দ্রীয় ব্যাংকও আমরা চাই না। সঞ্চয়ের পরিবেশ সমুন্নত রাখা হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ‘সঞ্চয় করুন’-নীতিকে বাস্তবায়িত করা হোক। সঞ্চয় আমাদের ভীষণ দরকার। শত হোক, সঞ্চয়ের টাকাতেই ব্যবসায়ীদের ঋণের টাকা হয়-তাই নয় কি?
লেখকঃ ড. আর এম দেবনাথ: অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।






