বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণের নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে ঋণ দিচ্ছে, তা আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সংক্রান্ত নথিপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণের নথি নির্দিষ্ট শাখার পাশাপাশি বিকল্প কোনো স্থানে সংরক্ষণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৯ মে, ২০২২) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঋণ তদারকি ও অর্থ আদায়ে জটিলতা দেখা দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীকালে ঋণ বিতরণসংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় নথি ঋণ বিতরণকারী সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে সংরক্ষিত থাকা অত্যাবশ্যক। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

আরও দেখুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার

এ জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে—প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের বিতরণ করা ঋণ হিসাবের আবেদন, ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়ন, অনুমোদন, নবায়ন, পুনঃ তফসিল বা পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন, সুদ মওকুফের জন্য পর্ষদ সভায় উপস্থাপিত স্মারক ও সভার সিদ্ধান্ত এবং ঋণের হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট ঋণ আদায়ের মাধ্যমে সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

৫০ লাখ টাকা ও এর বেশি অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে যে শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, সে শাখা ছাড়াও কমপক্ষে একটি বিকল্প শাখা অফিস বা প্রধান কার্যালয়ে নথি সংরক্ষণ করতে হবে। ঋণের নথির অনুলিপি অনলাইন মাধ্যমেও সংরক্ষণ করা যাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণ করা ঋণের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে কি না, তা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার মাধ্যমে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে যাচাই করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে।

নিরীক্ষায় নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণে অনিয়ম পাওয়া গেলে নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সাত কর্মদিবসের মধ্যে তা ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button