সাম্প্রতিক ব্যাংক নিউজ

টাকা পে কার্ড স্কিমের পাইলটিং করছে ৮ ব্যাংক

টাকা পে কার্ড স্কিমের পাইলটিং করছে ৮ ব্যাংক- বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নয়, এবার দেশীয়ভাবেই ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড বা টাকা পে কার্ড স্কিম চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম পর্যায়ে পাইলটিং করছে ৮টি ব্যাংক। বিদেশি স্কিমের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশের ব্যাংকিং খাতে বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তির ডেবিট, মাস্টার কার্ড, অ্যামেক্সের মতো বিভিন্ন কার্ড চালু রয়েছে। এসব কার্ড ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে স্বল্প সময়েই অর্থ লেনদেন করেন গ্রাহকরা। অনেক সময় জটিলতার কারণে বন্ধ রাখা হয় এসব কার্ডের কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে বাজারে জাতীয় ডেবিট কার্ড বা টাকা পে-কার্ড নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিগগিরই তা উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, সবগুলো স্কিম বিদেশি। সবাই যদি একসঙ্গে দেশ ছেড়ে চলে যায়, তাহলে কি আমরা কোনো লেনদেন করতে পারব না? সে জায়গায় আমাদের লেনদেন অব্যাহত রাখার জন্যই আমাদের যদি নিজস্ব স্কিম থাকে, তাহলে আমাদের ওপর সেক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।

টাকা পে কার্ডের কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে পাইলটিং করছে ৮টি স্থানীয় ব্যাংক। সেগুলো হচ্ছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নিজস্বতার নতুন মোড়ক উন্মোচন হলে এক কার্ডেই মিলবে একাধিক ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের সুবিধা। চার্জ ও ফি কমবে গ্রাহকের।

এ বিষয়ে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি ন্যাশনাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ উদ্যোগ ইতিবাচক জানিয়ে বহুমুখি লেনদেন সক্ষম কার্ড চালুর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সাধারণ এটিএম কার্ডের মধ্যে যদি এটি নিয়ে আসা হয় যে সব ব্যাংকে বাধ্যতামূলক করে দেয়া হলো, সেক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে গেল। তখন পাশাপাশি এই ভিসা বা মার্স্টার কার্ডের যে বিষয়গুলো আর চলবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ডেবিট কার্ড করাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এরপরে হয়তো আমরা ক্রেডিট কার্ডে যাব। তারপর হয়তো এনএফসি কার্ডে যাব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। টাকা পে কার্ড চালু হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও চাপ কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button