বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

ব্যাংক নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের ঋণ দেবে

নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। এই ঋণের তিন হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হবে নারীদের মাঝে।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (এফআইডি সার্কুলার লেটার নং-০২/২০২১) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও দেখুন:
◾ ঋনের ঝুঁকি বা খেলাপী ঋন কমিয়ে আনতে করণীয়

সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, করোনার প্রাদুর্ভাব প্রলম্বিত হওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উত্তরণ ও তাদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার কোটি টাকার একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এমএফআই সদস্যভুক্ত একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা দিতে পারবে। আর গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ৫ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ঋণ দেওয়া যাবে।

তবে তফসিলি ব্যাংকের সরাসরি নির্বাচিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এই স্কিম থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে। আর ৫ সদস্য বিশিষ্ট যৌথ প্রকল্পে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে। ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে গ্রেস পিরিয়ড ছাড়া এক বছরের মধ্যে ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে। আর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার সময়সীমা দুই থেকে তিন বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই স্কিম থেকে যারা ঋণ নেবেন, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে তারা তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ড পাবেন। উদ্যোক্তা পর্যায়ের এই ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে স্টাম্প, এসএমএস চার্জ ও সরকারি আবগারি শুল্ক ব্যতীত অন্য কোনও চার্জ বা ফি আদায় করা যাবে না।

অবশ্য গত বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে তিন হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছিল, সেটি আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।

স্কিমের নামঃ
স্কিমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’।

তহবিলের উৎস ও পরিমাণঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল ৩ হাজার কোটি টাকা, তবে প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবে।

স্কিমের মেয়াদঃ
স্কিমের মেয়াদ হবে ৩০ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button